মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৯ তম জন্মবার্ষিকী ও সপ্তাহ ব্যাপী মধুমেলার উদ্বোধন করা হয়েছে।
যশোর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ২৫জানুয়ারী বিকালে মধুকবির জন্মভূমি সাগরদাঁড়ীতে ফিতাকেটে মধুমেলার উদ্বোধন করেন সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এমপি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, মধুসূদন দত্ত অভুতপূর্ব এক মহা পুরুষ ছিলেন।তিনি পুরানো ধ্যান ধারনা উপেক্ষা করে বাংলা সাহিত্যের নতুন পথ দেখিয়েছেন।আধুনিক বাংলা সাহিত্যে তিনি শুধু দেশ নয় পৃথিবীর বুকে অন্যতম উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।
স্থানীয় সরকারের যশোরের উপপরিচালক মোঃ হুসাইন শওকত এর সভাপতিত্বে মধুমেলার উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন যশোর ৬ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ শাহীন চাকলাদার, ২ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ নাসির উদ্দীন, যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, কেশবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলাম, কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রহুল আমিন, কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মফিজুর রহমান, যশোর প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মোস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত।
স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মধুমেলা উদ্যাপন কমিটির সদস্য সচিব এম এম আরাফাত হোসেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাটক ও যাত্রাপালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপস্থাপনা করেন সহকারি কমিশনার সৈয়দা তামান্না হোরায়রা ও যশোর জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সাধন দাস।
এ সময় সাগড়দাঁড়িতে মধুসূদন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনের দাবিতে সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রীকে এম খালিদ,এমপি কে স্মারকলিপি প্রদান করেন মধুসূদন সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবু বকর সিদ্দিক সহ নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন কবি ও সাহিত্যদের নামে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় আছে।চতুর্থ বিশ্ববিদ্যালয়টি সাগরদাঁড়িতে অবস্থিত হবে ইনশাআল্লাহ।