রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরন করা হলো না এনজিও কর্মী সঞ্জয়ের সারিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদ নিবার্চন থেকে সরে দাঁড়ালেন চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুস সালাম ও আশিক রাজশাহীতে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের মাঝে গ্লুকোজ বিতরণ রাজশাহীতে দৈনিক মানবিক বাংলাদেশ পত্রিকার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন দুর্গাপুরে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে রাতের আঁধারে আবাদি জমিতে পুকুর খনন মোহনপুরে মদ্যপান অবস্থায় বাইক আরোহী নিহত,আহত ২ মান্দায় মহান মে দিবস পালিত মে দিবসে খাবার স্যালাইন,ক্যাপ ও পানি বিতরণ করল রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড জাতীয় শ্রমিক লীগ রাজশাহী মহানগরের উদ্যোগে মহান মে দিবস পালন সারিয়াকান্দিতে দর্জি শ্রমিক ইউনিয়নের মহান মে দিবসে র‌্যালি ও শ্রমিক সমাবেশ
নোটিশ :
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘যমুনা প্রতিদিন ডট কম’

শিশু দিবসের সূচনা

চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস ::

জাতির পিতার স্মরণে বাঙ্গালীদের পথ চলা

১৯২০ সালের ১৭ মার্চ অভিজাত এক বংশে শেখ লুৎফর রহমান ও শেখ সায়েরা খাতুনের ঘরে জন্ম নেয় এক ফুটফুটে শিশু।বাবা-মা আদর করে নাম রাখলেন ‘খোকা’।টুঙ্গিপাড়ার একটি বনেদী পরিবারের নাম শেখ পরিবার।এই পরিবারের উত্তরসূরী শেখ পরিবারের সুপরিচিত ব্যক্তি শেখ হামিদ গড়ে তোলেন একটি টিনের ঘর।শেখ হামিদের একমাত্র পুত্র শেখ লুৎফর রহমান একজন সজ্জন ব্যক্তি।টুঙ্গিপাড়ায় এক সাধারণ পরিবারে জন্ম নেওয়া শেখ মুজিবুর রহমান।

মুজিববর্ষ-মানে আমরা এটা বুঝি “শতবর্ষের সাক্ষী”

বঙ্গবন্ধু তুমি মহান, জন্ম তোমার এই দেশের ইতিহাস।দেশ আজ মহীয়ান তুমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।“জাতির পিতা রক্ত দিয়ে স্বাধীন করে গেছেন।তার রক্তের ঋণ বাঙ্গালীদের শোধ করতে হবে।”

চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাসের একটি গান

“একটি শিশু জন্মেছিল বাংলার মাটিতে
বাংলা নিয়ে স্বপ্ন তাহার ছিল হৃদয়েতে
দেশের জন্য ছোট থেকে করেছেন লড়াই
ভালো কাজে থাকতেন তিনি করতেন না বড়াই
বাংলা ভাষার জন্য তিনি নেমেছেন আন্দোলনে
ভাষার জন্য কি না করছে জানেন সর্বজনে
পাকিস্তানিকে তাড়ালো মায়ের ভাষার জন্যে
বাংলা মায়ের জন্য তিনি জেল খেটেছে।

পঞ্চান্ন বছর বয়সে হায়নারা মেরেছে গভীর রাতে

পিতার দায়িত্ব পালনে জাতির পিতা হলেন সে

বাংলাদেশে এমন পুরুষ জন্ম নেয়নি আগে
ছোট-বড় বাংলার সবাই জাতির পিতা বলে।

শেখ মুজিবুর রহমান ছোটদেরকে ভীষণ ভালোবাসতেন।কচিকাঁচার মেলা ও খেলাঘর ছিল তাঁর প্রিয় সংগঠন।কৈশোরে আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কচিকাঁচার আসরে ভর্তি করিয়ে দিয়েছিলেন।তাঁর জীবনের শেষ দিনটি তিনি কাটিয়েছেন এই সংগঠনের ভাই-বোনদের মাঝে।তাঁর জন্মদিনটিকে এখন আমরা জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করি।শিশুদের কাছে দিনটি আনন্দের।

এসব যার সুনিপুণ হাত ধরে বাস্তবায়িত হচ্ছে তিনি আর কেউ নন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা আমাদের বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন করা হয় ব্যাপকভাবে।এ আয়োজনে সকল বয়স ও শ্রেণিপেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করা হবে।শিশু,তরুণ,যুবক- সকলের জন্য আলাদা কর্মসূচি থাকে।আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যদি ঘাতকের নিষ্ঠুর বুলেটে প্রাণ না হারাতেন তবে আজ তাঁর বয়স হতো ১০৪বছর।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর তাঁর স্বপ্নে গড়ে ওঠা বাংলাদেশ।হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালিকে জাতি হিসেবে আমরা মাত্র ৫৫ বছর ৪ মাস বাঁচতে দিয়েছি।বাংলাদেশের বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার সে দেশের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রিয় নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম বার্ষিকী উপলেক্ষ্য ২০২৪ সালে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছে।

আমাদের সন্তানরা ছবি আঁকা সংগীত আবৃত্তি নিয়ে যে যার মত করে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।তাই আমাদের সন্তানদের জাতির জনকের জন্মদিনে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অংশগ্রহণ করালে তার সম্পর্কে কিছুটা জানতে পারবে এতে তার আদর্শ কিছুটা হলেও শিক্ষার্থীদের জীবনের সাথে যুক্ত হতে পারে,হয়ে উঠতে পারে একজন দেশ প্রেমিক।তাই আমাদের সন্তানদের এই শুভদিনে ছবি আঁকা সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি আমি চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস।আমি দীর্ঘদিন ধরে শিশুদের নিয়ে কাজ করে যে শিক্ষা অর্জন করেছি সেই স্থান থেকে বলব শিশুরা শিক্ষা গ্রহণ করে জীবন থেকে, পরিবারের সদস্যরা যা করে তাই দেখে শিক্ষা গ্রহণ করে। শিশু দিবসে সকল শিশুর মঙ্গল কামনা করি।

বঙ্গবন্ধুর কথা লিখে বা বলে প্রকাশ করা সম্ভব না।যে দেশটির জন্য তিনি আমৃত্যু সংগ্রাম করেছেন, যে দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের কথা নিয়েই যিনি জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত আত্মনিয়োজিত ছিলেন, তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ঘোষিত “মুজিব বর্ষ”টি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।

জয় বাংলা-এ শ্লোগান আমাদের স্বাধীনতার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।তাইতো গত ১০ ডিসেম্বর, ২০১৯ জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা দেন মহামান্য হাইকোর্ট।আর এই স্লোগান যার মুখে মুখরিত ছিলো সে আমাদের সকলের শ্রদ্ধেয় সংগ্রামী বাঙালীর প্রিয় নেতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।যাঁর নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ।

শেখ মুজিবুরের শিক্ষাজীবনঃ

শেখ মুজিবুর এর পিতা শেখ লুৎফর রহমান আদালতে চাকরি করতেন।তার মাতা সায়েরা খাতুন ছিলেন গৃহিনী।পিতা-মাতার স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে তিনি একজন খ্যাতনামা সৎ আইনজীবী হবেন।টুঙ্গিপাড়ার সেই শেখ বাড়ির দক্ষিণে ছিল কাছারি ঘর।এখানেই মাস্টার, পন্ডিতও মৌলভী সাহেবদের কাছে ছোট্ট মুজিবের হাতেখড়ি।একটু বড় হলে তাদের পূর্ব পুররুষদের গড়া গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তার লেখাপড়া শুরু হয়।এরপর পিতার কর্মস্থল মাদারীপুরের ইসলামিয়া হাইস্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে কিছুদিন লেখাপড়া করেন।পরবর্তীতে তার পিতা বদলি হয়ে গোপালগঞ্জে যোগদান করলে তিনি।গোপালগঞ্জ মিশন হাইস্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হন।

বিদ্যালয়ের প্রায় প্রতিটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করতেন তিনি।পছন্দ করতেন ইতিহাসের বই।
এসব কারণে প্রধান শিক্ষক গিরিশ চন্দ্রসহ সকল শিক্ষকের প্রিয়পাত্র হয়ে উঠেছিলেন শেখ মুজিব।শিশুকাল থেকেই শেখ মুজিবুর ছিলেন পরোপকারী এবং অন্যায়ের প্রতিবাদী।মানুষের দুঃখ-দুর্দশায় যেমন সহযোগিতার হাত বাড়াতেন-তেমনি কারো প্রতি অন্যায় আচরণ দেখলে প্রতিবাদ করতেন।মাত্র তের বছর বয়সে প্রতিবাদের এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন তিনি।গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র থাকা কালে তৎকালীন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে যোগদানের কারণে প্রথম বারের মতো কারাবরণ করেন শেখ মুজিবকে।

ম্যাট্রিকুলেশন পাসের পর কলকাতায় ইসলামিয়া কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকসহ তৎকালীন প্রথম সারির রাজনৈতিক নেতাদের সান্নিধ্যে আসেন।শৈশব থেকে তৎকালীন সমাজ জীবনে তিনি জমিদার, তালুকদার ও মহাজনদের অত্যাচার, শোষণ ও প্রজা নিপীড়ন দেখেছেন।গ্রামের হিন্দু, মুসলমানদের সম্মিলিত সামাজিক আঙ্গিকে তিনি দীক্ষা পান অসাম্প্রদায়িকতার।আর পড়শি দরিদ্র মানুষের দুঃখ, কষ্ট তাঁকে সারা জীবন সাধারণ দুঃখী মানুষের প্রতি অগাধ ভালবাসায় সিক্ত করে তোলে।

বাস্তুব পক্ষে সমাজ ও পরিবেশ তাঁকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের সংগ্রাম করতে শিখিয়েছে।তাই পরবর্তী জীবনে তিনি কোনো শক্তির কাছে—সে যত বড়ই হোক, আত্মসমর্পন করেননি; মাথানত করেননি।

অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী শেরে বাংলা একে ফজলুল হক একবার তাঁদের স্কুল পরিদর্শনে এসেছিলেন।তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব আর সাহসিকতায় মুগ্ধ হয়ে শেরে বাংলা একে ফজলুল হক তাঁদের স্কুল মেরামতের জন্য অর্থবরাদ্দ করেন।

ছাত্রজীবন থেকেই নিজেকে ছাত্র-যুবনেতা হিসেবে রাজনীতির অঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত করেন, যোগ দেন আওয়ামী মুসলিম লীগে, যা পরে অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে আওয়ামী লীগ নাম নেয়।১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে সাধারণ ধর্মঘট পালনকালে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয়।১৯৪৮ থেকে ১৯৫২ পর্যন্ত তিনি বারবার কারারুদ্ধ হন।১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খানের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬২ সালে শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলনসহ বিভিন্ন জনদাবি আদায়ের আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন শেখ মুজিব।

বাঙালির অধিকার আদায়ের আন্দোলনে শেখ মুজিবকে বারবার কারাগারে যেতে হতে হয়েছে।আর আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় অংশগ্রহণ তাকে নিয়ে যায় বাঙালির নেতৃত্বে।১৯৬৯-এর ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ছাত্র-জনতা শেখ মুজিবকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দেয়।

১৯৭১ সালের ইতিহাসের কথা লিখে শেষ করা সম্ভব নয় তবু নবীনদের উদ্দেশ্যে খন্ড চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করা উচিৎ ১৯৭২-এর ১০ জানুয়ারি তিনি পা রাখেন স্বাধীন ভূমিতে।সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্রের দায়িত্বভার নিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের পুনর্গঠন ও পুনর্বাসনের কাজে আত্মনিয়োগ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু, যদিও ওই সময়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র থেমে ছিল না।১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু জাতির অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে জাতীয় কর্মসূচি ঘোষণা করেন, গঠন করেন বাকশাল; যার ফলে দেশে অন্য সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ হয়, চারটি সংবাদপত্র ছাড়া অন্য সব সংবাদপত্রও বন্ধ করে দেওয়া হয়।তার কিছু দিনের মধ্যে ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট এক দল দেশদ্রোহীদের হাতে নিজ বাসভবনে সপরিবারে নিহত হন বঙ্গবন্ধু।যে দেশের স্বাধীনতার জন্য রাজপথে নেমে কারাগারে যার জীবন কেটেছে, সেই দেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে অবসান ঘটে স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়ক তা আবার বাঙালিদেরই হাতে।

জাতির জনকের আদর্শে পথ চলাঃ

আমি একজন ছবি প্রেমী মানুষ।ছবি আঁকতে ভালোবাসি।জন্মের পর থেকে ভালো মন্দ বোঝার থেকে ছবি আঁকাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছি।ছবি এঁকে ইতিহাস সম্পর্কে অনেক জানার চেষ্টা করছি।ইতিহাসের অধ্যায়ে খুঁজে খুঁজে একটি মানুষকে ছাড়া কারো জীবনকে নিয়ে গর্ব করার মতো পেলাম না।তাই তার আদর্শে জীবনের স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছি।আমার জীবনের সর্বোচ্চ দিয়ে আমি একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করলাম।খুলনা শহরে থাকি বিধায় এটির নামকরণ দেই খুলনা আর্ট একাডেমি।২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত করার পর থেকে এ পর্যন্ত হাজার হাজার শিক্ষার্থী কে আমি শিক্ষা দিয়েছি।২০১০ সালে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির জন্য শিল্পী গড়ার উদ্দেশ্য নিয়ে চারুকলা ভর্তি কোচিং চালু করি।এখানে সবাই উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে আমার কাছে আসে।আমি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির মোকাবেলা করে থাকি।আমার শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২১৮ জন শিক্ষার্থী এই পর্যন্ত পড়াশোনা করার সুযোগ পেয়েছেন।বিশ্বভারতী এবং রবীন্দ্রভারতীতে স্কলারশিপ নিয়ে ১২জন পড়ার সুযোগ পায়।নবীন শিল্পীদের পথনির্দেশিকা দিয়ে থাকি এই জন্য খুলনার বিভিন্ন সংগঠন আমাকে সম্মাননা স্মারক দিয়েছেন।২০১৯ সালের ১৯ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু সাহিত্য একাডেমী এবং মেঠো বাংলা সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থা মিলে আমাকে শিল্পী গড়ার কারিগর হিসেবে সম্মাননা স্মারক দিয়েছেন।এতে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।

আমি মনে করি ক্ষণস্থায়ী জীবনে এই দীর্ঘস্থায়ী সময়ে বেঁচে থাকার জন্য শিল্পচর্চা অন্যতম ভূমিকা রাখবে।তাই ছবি আঁকার পাশাপাশি আমি লেখালেখিকে জীবনের সাথে জড়িয়ে নিলাম।এই পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কয়েকটি গান লিখেছি অসংখ্য কবিতা এবং বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী গতো ২০১৬ সাল থেকে বিভিন্ন পত্রিকায় আমার লেখা প্রকাশিত হয় ।তাই লেখার প্রতি আরও আগ্রহ বেড়ে যায়।বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী কিছু নতুন তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করি।আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে মানুষের কাছে চির অমর হয়ে বেঁচে থাকতে চাই।আমি বঙ্গবন্ধুকে আমার হৃদয়েও স্থান দিয়েছি তার অসংখ্য ছবি এঁকেছি এখনো প্রতিদিন ছবি আঁকতে বসলে তার ছবিটাই আগে আকি।এপর্যন্ত ৫০টি ছবি এঁকেছি।তার ছবি এঁকে আমি শিল্পচর্চার জীবন খুঁজে পাই।আমার ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বিভিন্ন অজানা তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করি এবং তাদের ছবি আঁকার জন্য অনুপ্রেরণা যোগাই। যাতে শিক্ষার্থীরা নবীন শিল্পী হয়ে একজন ভালো মানুষের ছবি এঁকে তাদের জীবনের শুরুটা একজন ভালো আদর্শ মানুষের অঙ্কনে অমরত্ব লাভ করে এমনই প্রত্যাশা রাখি আমার সকল নবীন শিল্পীদের জন্য।তারা যেন একজন বড় চিত্রশিল্পী হয়ে বঙ্গবন্ধুর রূপবৈচিত্র গড়ে তুলতে পারে এই সোনার বাংলার রূপের মাঝে বঙ্গবন্ধুর জীবন ফুটিয়ে তুলতে পারে।আমি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর আদর্শে চলার চেষ্টা করব।

প্রিয় পাঠক-পাঠিকাদের বলব আপনার সংসারে ছোট ছোট শিশুদের এই দেশের ইতিহাসের গল্প শোনাবেন।তাতে ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা জাতির পিতা সম্পর্কে জানতে পারবে এই মাতৃভাষার জন্য যারা জীবন দিয়েছে তাদের সম্পর্কে জানতে পারবে।কত রক্তের বিনিময়ে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে।

প্রিয় এই বাংলাদেশ ছয়টি ঋতু দিয়ে ঘেরা এত সুন্দর রূপবৈচিত্র নেই তো কোথাও আর।প্রিয় আমার জন্মভূমি মায়ের ভাষায় কথা বলি জন্মের পর থেকে।জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে সমস্ত বাঙ্গালীদের জন্য শুভকামনা।ধন্য আমি এমন দেশে জন্মগ্রহণ করে বঙ্গবন্ধুর মতো আদর্শ নেতার জীবনী লিখতে পেরে।

♦ লেখক পরিচিতিঃ প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক খুলনা আর্ট একাডেমি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × three =


অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ

x