ফরিদপুরের মধুখালীতে চলতি বছর ৬৮ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বীজের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে, যা বর্তমান বাজার মূল্যে প্রায় ২০ কোটি টাকা।
কৃষকেরা বলছেন, গত মৌসুমের মতো এবারও যদি ন্যায্যমূল্য পান তাহলে রেকর্ড পরিমান টাকার বীজ বিক্রি করতে পারবেন।এতে হাসি ফুটবে ‘কালো সোনা’ খ্যাত পেঁয়াজবীজ চাষিদের মুখে।
মধুখালী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে, আগামী নভেম্বরে বীজতলা তৈরি করবেন চাষীরা।এর ২০ দিন পর লাগাবেন চারা।যা ভোক্তার দোরগোড়ায় পৌঁছাবে মার্চে শেষ নাগাদ।
তবে৷ পেঁয়াজের দামের ঝাঁজ লেগেছে বীজের দামেও।প্রতি কেজি বিক্রি আশা কমপক্ষে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকায়।
মধুখালী উপজেলার ঝাউহাটি মাঠের পেঁয়াজ বীজ চাষি নাছির হোসেন বলেন, এলাকার অনেকে এখন বীজের চাষ করছেন।যার অল্প জমি রয়েছে, সেও তার জমিতে পেঁয়াজের বীজের চাষ করছেন।আশা করছি, ভালো উৎপাদন হবে।
মধুখালী উপজেলার কোরকদী ইউনিয়নের কলাইকান্দা গ্রামের চাষি আনন্দ সরকার বলেন, গত বছর ৫ একর জমিতে পেঁয়াজ বীজ চাষ করেছিলাম।ভালো দাম পেয়েছি।এবছর সাত একর জমিতে চাষ করেছি।
তিনি আরও বলেন, গত বারের তুলনায় ভালো উৎপাদন হবে।আশা করি, আমরা মণ প্রতি যদি এক লাখ টাকাও পাই তবে আমাদের উপকার হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আলভীর রহমান জানান, পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চায় দেশ।তাই বাড়ানো হয়েছে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা।এ বছর পেঁয়াজের কদম বীজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭০ হেক্টর।উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬৮ মেট্রিক টন।