বিদেশে নেওয়ার নাম করে অন্য এক কাতার প্রবাসী থেকে ব্যাপক টাকা নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে চাঁদপুরের পাল বাজারের মোঃ সজিব(রনি)।এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নরসিংদী জেলার মাধবদী থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন।অভিযোগ নং-৩৬২৬ তারিখ ২৩-১২-২০২৩।
অভিযোগের আলোকে জানা যায়, মোঃ সজিব (রনি) দীর্ঘদিন কাতারে প্রবাস জীবন যাপন করতেন।একপর্যায়ে কাজের সাইডে তার সাথে পরিচয় হয় নরসিংদী জেলার মাধবদী থানার আলগীচর ইউনিয়নের নুরালাপুরের ফরিদ মিয়ার ছেলে মোস্তফার সাথে এবং একপর্যায়ে সজীব রনি ও মোস্তফার সাথে গভীর বন্ধুত্বের সম্পর্ক হয়।এক সময় সজীব রনি বলে তার হাতে কয়েকটি ভালো ভিসা আছে।সজীব রনির ভিসার প্রলোভনে পড়ে মোস্তফা তার চাচা আমির হোসেনর জন্য একটি ভিসা নিবে বলে রনিকে কথা দেয়।পরে কথাবার্তা ফাইনাল হলে নগদ টাকা ৩ লাখ এবং বিকাশ নাম্বার ০১৫১৬১৮৫০৫১, ০১৭৭২২০১৪৯৩, ০১৭৪১৯১৯১২০।রকেট ০১৮৬৮৭৭৪১৪৪ ও ডাচ-বাংলা ব্যাংক এসি নং ৭০১৭৩৩১৩৬৬৫৪০ তে ২লাখ ১৮ হাজার ২৫০ টাকা দেয়।পরে সজিব রনি মোস্তফার চাচা আমির হোসেন কে নেই নিচ্ছি বলে তাল বাহানা শুরু করে।একপর্যায়ে সজিব রনি কাতারে বসবাসরত স্থান থেকে উধাও হয়ে যায়।পরে সজিব রনির নির্দিষ্ট নাম্বারে ফোন দিলে তিনি উল্টাপাল্টা কথা বলেন এবং মোস্তফাকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখাতে থাকেন।সজীব রনি বর্তমানে চাঁদপুরেই অবস্থান করছেন বলে মোস্তফা এই প্রতিনিধিকে জানান।
মোস্তফা আরো বলেন, সজীব রনি, কাতারে বসবাসরত স্থান থেকে কয়েকজন পাকিস্তানি, নেপাল ও নোয়াখালী প্রবাসীদের কাছ থেকেও টাকা নেয়।সজিব রনির সাথে মোস্তফার বন্ধুত্বের সম্পর্ক থাকার কারণে পাকিস্তানি, নোয়াখালী এবং নেপালির টাকা এখন তার শোধ করতে হয়।
বিষয়টি নিয়ে নরসিংদী জেলার মাধবদী থানার দায়িত্ব রত এএসআই আব্দুল করিমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা সজিব রনির খোজে চাঁদপুরে একাধিকবার তার নির্দিষ্ট স্থানে অভিযান দিয়েছি।কিন্তু তাকে পাওয়া না গেলেও তার এক স্ত্রীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সজীব রনি একাধিক বিয়ে করেছেন সে কখন কোথায় থাকে তা আমরাও জানি না।
তিনি আরো বলেন, সজীব রনিকে গ্রেফতারের জন্য চাঁদপুরের পুলিশের সহযোগিতায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি।কেউ সজীব রনির খবরা-খবর জানাতে পারলে মোস্তফা ঐ ব্যক্তিকে উপযুক্ত সম্মাননা দিবেন বলে ঘোষণা দেন।সচিব রনির খবর জানাতে ০১৭৮২২২৯১৩৪ নাম্বারে ফোন দেওয়া অনুরোধ জানান।