নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করবো-আসাদ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ও রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে সাথে নিয়ে কৃষিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তনসহ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সোমবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে মোহনপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত এক বিশাল নির্বাচনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য,আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
এসময় তিনি বলেন, নির্বাচন জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের মাধ্যম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পর আমরা স্মার্ট বাংলাদেশে বির্নিমাণের স্বপ্ন দেখছি। মানবততার মা হয়ে শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বিএনপি বলছে, নির্বাচনে হতে দেওয়া হবে না। এই দেশকে কেউ ধ্বংস করবে আর আমরা বসে থাকবো সেটি কোনদিন হবে না। বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে আসলে আমরা রাজপথেই তাদের উপযুক্ত জবাব দেব। আপনারা অনেক ভাগ্যবান। তৃণমূল থেকে ওঠে আসা একজন রাজনীতিদিব আসাদ আপনাদের আসনে প্রার্থী হয়েছেন। নেত্রী শেখ হাসিনা তাকে মূল্যায়ন করেছেন,মনোনয়ন দিয়েছেন। বাকিটা আপনারা মূল্যায়ন করবেন। সামনে আসছে শুভদিন, ৭ জানুয়ারি সারাদিন, নৌকা মার্কায় ভোট দিন। নৌকা মার্কায় দিলে ভোট উন্নয়ন পাবে ও শান্তিতে থাকবে দেশের লোক।
রাসিক মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। আগামী ৫ বছরে ১ কোটি তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। সেই এক কোটির মধ্যে পবা-মোহনপুরের অনেক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। কৃষি প্রধান অঞ্চল পবা-মোহনপুরে উন্নয়নে ও মানুষের কল্যানে পাশে থাকবো।
নির্বাচনী সভার প্রধান বক্তা নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, এই নৌকা শুধু আওয়ামী লীগের নৌকা নয়। এই নৌকা মানুষের অধিকার আদায়ের নৌকা, এই নৌকা গ্রাম বাংলার কৃষক সমাজের অধিকার আদায়, মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো,৭১-র রণাঙ্গনে বীর মুক্তিযুদ্ধাদের সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকা,গৃহহীন মানুষ থেকে শুরু করে উচ্চ দরবার পর্যন্ত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে এই নৌকা। লড়াই আর সংগ্রামের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের প্রতীকের নাম নৌকা। আজকের এই উৎসাহ উদ্দীপনা ধরে রেখে আগামী ৭ জানুয়ারি ৩’শ আসনের মধ্যে দেশের সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোটার উপস্থিতিতে পবা- মোহনপুর বাসী নৌকাকে বিজয়ী করবে সেই প্রত্যাশা করি। আমি যদি বিজয়ী হই, খায়রুজ্জামান লিটন ভাইয়ের হাত ধরে এই অঞ্চলের উন্নয়নকে বাস্তবায়িত করতে চাই। যেই খায়রুজ্জামান লিটন ভাই রাজশাহীকে বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাশীল শহরে পরিণত করেছে, সেই শহরের সঙ্গে কেন সৌন্দর্যমণ্ডিত, উন্নয়নশীল, কর্মমুখর পবা-মোহনপুর হবে না? লিটন ভাই যেখানে আছেন, সেই কাজগুলো আমরা বাস্তবায়ন করতে পারবো।
নির্বাচনী সভায় ঘাসিগ্রাম ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন বকুলের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন মোহনপুর উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক এনামুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি বেগম আখতার জাহান।
অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলফোর রহমান, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ, সাবেক দপ্তর সম্পাদক ফারুক হোসেন ডাবলু, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য হাবিবুর রহমান বাবু, রাজশাহী জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) আলী আজম সেন্টু, সহ-সভাপতি আলমগীর মোরশেদ রনজু, রাজশাহী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসরিন আকতার মিতা, কেশরহাট পৌরসভার মেয়র শহিদুজ্জামান শহিদ, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মেহেবুব হাসান রাসেল,বিন বিল্লাহসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।