পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের সুহরী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজা মিয়া বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট ভিত্তিহীন অভিযোগ পাওয়া যায়।
গত ২১/১১/২০২৩ ইং তারিখ গলাচিপা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মহিউদ্দিন আল হেলালের কাছে সবিতা রানী একটি অভিযোগ দেন।
অভিযোগে বলেন, সুহরী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজা মিয়া রাতের আধারে কমিটি বানিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা করেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সুহরী মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে দরখাস্ত কারী সবিতা, স্বামী জয়দেব চন্দ্র হাওলাদার গং এর সাথে জমা-জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসে এবং দুইটি মামলা করে স্কুলের বিরুদ্ধে যার মামলা নং ৩৬/২০০৫ এই মামলাটি হাই কোর্টে চলমান, আর দেয়ানী মামলা নং ২৮৪/২০০৮ এই মামলা পটুয়াখালী জজ কোর্টে চলে আসছে।
এই অভিযোগ বিষয় বিদ্যালয়ের সভাপতি মু: আসাদুজ্জামান বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে সুন্দর এবং সুষ্টু ভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে।বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির কার্যক্রম যথা নিয়মে যথা সময়ে হয়ে থাকে তাছাড়া কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে প্রিজাইডিং অফিসার যথা যথ প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করে থাকেন।বিদ্যালয়ে কোন দুর্নীতি বা অনিয়ম নেই, যারা দরখাস্ত করেছে তাদের সাথে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা থেকেই বিভিন্ন মামলা মোকাদ্দমা চলে আসছে, তারই ধারাবাহিকতায় এই মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন দরখাস্ত করেছে, আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।
বিদ্যালয়ের শিক্ষা অনুরাগী মো: সামচুল হক মৃধা বলেন, দরখাস্তকারীর স্বামী জয়দেব এই স্কুলের শুরু থেকেই জমাজমি নিয়ে ঝামেলা করে আসছে, স্কুলের বিল্ডিং করার সময় বহু মামলা করেছে, ওর ভাইয়ের বউকে আয়া পদে চাকুরী দিয়েছে, জয়দেবের এক ভাই বর্তমান কমিটির সদস্য।এসব করছে স্থানীয় কিছু দুষ্ট চক্রের বুদ্ধিতে।আসলে সব মিথ্যা বানোয়াট দরখাস্ত, আমি এর নিন্দা জানাই।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো: জসিম উদ্দিন বলেন, হিন্দুরা স্কুলের শুরু থেকেই বহু মামলা করে আসছে যাতে স্কুল না হয়।এরা বিল্ডিং করার সময় খুব ঝামেলা করেছে থানায় দরখাস্ত দিয়েছিল।কমিটিতে দরখাস্তকারীর আপন দেবর আছে, তাছাড়া তার আপন জ্যা আয়া পদে চাকুরী করে এই তিন চার বছর, গোপনে বা পকেট কমিটি হয় কি ভাবে।তাদের পরিবারের দুইজন লোক যেখানে স্কুলের সাথে জড়িত।আমাদের সহকারী শিক্ষক শিপন এর বিএড সনদ দারুল এহসান ইউনিভার্সিটির।এ বিষয় এক অভিভাবক দরখাস্ত করায় চন্দ্র শেখর স্যার তদন্তে আসে।সে একটি প্রতিবেদন দেয় এতে দেখাযায় তার সনদ জাল।এই লোক এই দরখাস্তকারীর সাথে মিলে এই ভুয়া মিথ্যা বানোয়াট দরখাস্ত দেয়।আসলে আমাদের স্কুলে কোন অনিয়ম বা দুর্নীতি নাই।
একসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজবাহ উদ্দিন সভাপতি থাকার সময় এই দরখাস্ত কারীর স্বামী জয়দেব রাজা মিয়ার দেওয়া মামলায় জেল খাটে।সবীতা রানী প্রধান শিক্ষক রাজা মিয়ার বিরুদ্ধে এবং বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে দরখাস্ত দিয়ে বিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট করা এবং প্রধান শিক্ষককে হেয় করা এর প্রধান উদ্দেশ্য।