খুলনাবাসীর দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের ফসল খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়েছিলো।গতকাল ২৫শে নভেম্বর ৩৩ বছর পূর্তি উপলক্ষে শনিবার বিকাল ৩ঘটিকায় সেই সময় যারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন এবং তৎকালীন সময়ের শিক্ষামন্ত্রীর হাতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় করার যে স্মারকলিপিটি দিয়েছিলেন ড .এ কে এম নূরুল ইসলাম।তৎকালীন সময় একটি বুলেটিন প্রকাশ হয়েছিল এ এইচ এম জামাল উদ্দীনের প্রচেষ্টায়।বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন খুলনার সুধীজনদের নিয়ে।
বাংলাদেশ ডিবেটিং সোসাইটির পরিচালক এ এইচ এম জামাল উদ্দীন স্যারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠান সূচির মধ্যে ছিল শুভেচ্ছা বিনিময়, ধন্যবাদ জ্ঞাপন, শুভেচ্ছা র্যালি ও আলোচনা সভা।
এসময় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দীর্ঘ ৩৩বছরের আন্তরিক ভালোবাসা, নিরলস সাধনা আর সৃজনশীলতায় বাংলাদেশর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় পরিনত হয়েছে খুলনাবাসীর গর্বের ও গৌরবের প্রতীক।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি রেজিস্টার সৈয়দ মিজানুর রহমান, শিক্ষাবিদ এ কে এম গোলাম আযম, সাবেক উপাধ্যক্ষ মকবুল হোসেন জোয়াদ্দার, কবি ও গবেষক শেখ মনিরুজ্জামান, প্রখ্যাত জাদু শিল্পী এন সায়মন, মেট্রো পুলিশ লাইন হাই স্কুল এর সিনিয়র শিক্ষিকা নাঈমা সালাম।
মিলন বলেন, সকলের চেয়ে আমি নবীন কিন্তু এই মহতী সুন্দর আলোচনা সভায় আমি খুলনা আর্ট একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হিসেবে আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম বাংলাদেশ ডিবেটিং সোসাইটি কতৃক।বিকাল ৩ঃ০০ টা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত গুণীজনদের সাথে থেকে আমি নিজেকে ধন্য মনে করেছি একজন গুণী মানুষ হতে গেলে কি করনীয় এটা সবাই জানে না।আমি অত্যন্ত সাধারণ একজন শিল্প প্রেমী ব্যক্তি।ওখানে আরো উপস্থিত ছিলেন স্কুল পড়ুয়া নবীন শিক্ষার্থীরা।যারা একসময় বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ হবেন।তাদের সকলকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে ফুলের মালা গলায় পরিয়ে দিয়ে শিশুদের মনে যে অনুভূতি জাগ্রত করে দিয়েছেন সেই অনুভূতির স্থান থেকে খুলনা জেলার মধ্যে এসএসসিতে সর্বোচ্চ নম্বর অধিকারীনি মেধাবী শিক্ষার্থী আয়শা সুলতানা অনুভূতি বক্তব্য রাখেন।আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হব এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে পারি এমনটা দোয়া করবেন আমার জন্য।আমি বিশ্ববিদ্যালয় পড়তে পারিনি কিন্তু আমার হাত ধরে ২১৮ জন শিক্ষার্থী পড়ার সুযোগ পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়।তাই বারবার সম্মাননা পেয়েছি কিন্তু আজ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে যখন আমাকে ফুলের মালা পরিয়ে দিয়েছে তখন দুচোখ থেকে আনন্দের জল নেমে আসলো।আমার সঙ্গে আমার ছোট মেয়ে ছিলো।বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যখন বের হয়ে আসছি ওর কাছে জানতে চাইলাম তোমার আজকের অনুভূতি বলো তখন ও উত্তর দিল আমিও এই বিশ্ববিদ্যালয় পড়তে চাই আজ থেকে আরো ভালো করে পড়ালেখা করবো।তাই বলবো গুণীজনরা এভাবে যদি নবীনদের উৎসাহিত করেন তবেই আমাদের নবীন প্রজন্মরা ভবিষ্যতে নতুন স্বপ্ন নিয়ে দেশের জন্য ভালো কিছু করবেন।আমি হয়তো অনুভূতি প্রকাশ করতে পারিনি যথাযথভাবে শুধু বলেছি আপনারা আমাকে আশীর্বাদ করবেন আমি যেন নবীনদের সেবায় নিজেকে সর্বদা নিয়োজিত রাখতে পারি।আমি আমার বাবাকে স্মরন করে পথ চলি।আজ আমার বাবা নেই ২০২২ সালের ৩০শে অক্টোবর থেকে বড়ই কষ্টের সময় অতিবাহিত করছি। আজ অনেক আনন্দিত বাবা বলেছিলেন তুমি অনেক বড় হবে।সেই স্বপ্ন নিয়ে সর্বদা চেষ্টা করি নিজেকে ভালো কাজের সাথে সংযুক্ত রাখার।ছবি আঁকা, গান ,কবিতা লিখে সময় অতিবাহিত করি।সমাজ পরিবর্তন করার জন্য শিল্পচর্চার মাধ্যমে পৌঁছে দিতে চাই নিজের প্রচেষ্টা।
আপনারা সবাই আমার জন্য শুভ কামনা করবেন এবং গুরুজনরা আশীর্বাদ করবেন আমি যেন শিল্প সাধনায় ক্ষণস্থায়ী জীবন নিয়ে দীর্ঘস্থায়ী সময়ে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকতে পারি এমন প্রত্যাশায় মিলন।