লালমনিহাটের কালীগঞ্জে সমাজসেবা অধিদপ্তরে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ-আত্বসাতের অভিযোগ উঠেছে রুহুল আমিন (৫৫) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত রুহুল আমিন জেলার আদিতমারী উপজেলার নামুরী দোলাপাড়া এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা আজিজার রহমানের পুত্র।সে নামুরী দোলাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে কর্মরত বলে জানা গেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, প্রায় তিন বছর পূর্বে কালীগঞ্জ উপজেলার মদাতী ইউনিয়নের উত্তর মুশরত মদাতী এলাকার নুর ইসলামের পুত্র আশরাফুল ইসলামের সহিত আদিতমারী এলাকায় রুহুল আমিনের পরিচয় ঘটে।উক্ত পরিচয়ের সুবাদে সাক্ষাতে ও মোবাইল ফোনে কথা বার্তা চলা অবস্থায় প্রায় ২ বছর ৬ মাস পূর্বে বিবাদী তার সহিত দেখা করিয়া মোঃ মোসলেম উদ্দিন, পিতা-মোঃ আলতাব হোসেন, সাং-গোয়ালু নতুনপাড়া, থানা-হাজীরহাট, জেলা-রংপুর কে সমাজসেবার অফিস সহকারী পদে চাকুরী নিয়া দিবে বলে বাদীর নিকট ১৫,০০,০০০/- টাকা দাবি করলে সরল বিশ্বাসে বিবাদীকে চাকুরীর আশায় ১৫,০০,০০০/- টাকার মধ্যে ১২,০০,০০০/- টাকা বাদী রুহুল আমিনকে প্রদান করেন।অভিযুক্ত রুহুল আমিন উক্ত টাকা নেওয়ার পর পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে বাদীর নাতী মোসলেম উদ্দিনের চাকুরীর নিয়োগপত্র প্রদান করবে বলে অঙ্গীকার করেন।
কিন্তু নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পর চাকরি দিতে ব্যর্থ হওয়ায় অভিযুক্ত ব্যক্তির কাছ থেকে পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় অভিযুক্ত ব্যক্তি টাকা ফেরত দেবেন মর্মে নানা প্রকার টালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ শুরু করেন।এমতাবস্থায় অভিযুক্ত ব্যক্তির সাথে আশরাফুল ইসলামের পাওনা টাকা চাওয়া কে কেন্দ্র করে বিরোধের সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে বাদি আশরাফুল ইসলাম বলেন, গত ২১/০৮/২০২৩ইং তারিখ সকাল অনুমান ১০.৩০ ঘটিকার সময় নামুড়ী বাজারে বিবাদীর সহিত দেখা করে চাকুরী বাবদ নেওয়া উক্ত ১২,০০,০০০/- টাকা ফেরত চাই।বিবাদী তাৎক্ষণিক টাকা দিতে না পেরে আদিতমারী শাখার সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের একটি চেকের পাতায় (যাহার চেক নং- ৬৩৫৮৩১৯) ৮০,০০০/- টাকা ও মহিষখোচা শাখার সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের একটি চেকের পাতায় (যাহার চেক নং- ৩৭৭৪৫২৮) ৯,৫০,০০০/- টাকা, সর্বমোট ২টি চেকের পাতায় ১০,৩০,০০০/- টাকা উল্লেখ করিয়া চেক ২টিতে স্বাক্ষর করে আমাকে প্রদান করেন।
তিনি আরও বলেন, আমি বিবাদীর দেওয়া চেকের পাতা ২টি লইয়া গত ১৬/১০/২০২৩ইং উক্ত চেকের পাতা দুটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে প্রদান করলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তার একাউন্টে টাকা নেই বলে জানান।পরে বিবাদী প্রতারক রুহুল আমিনের বাড়িতে গিয়ে আমি তার সঙ্গে দেখা করি এবং পাওনা টাকা ফেরত চাই।তখন প্রতারক রুহুল আমিন আমাকে প্রান নাশের হুমকি দিয়ে বলে তার লোকজন দিয়া আমাকে মারপিটসহ খুন জখম করবে।আমি এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
প্রতারক রুহুল আমিনের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার চেস্টা করেও পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ওসি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।