মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০১:৩৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
রাসিক মেয়রের সাথে রাজশাহী অনলাইন সাংবাদিক ফোরামের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ আমি নির্বাচিত হয়ে,মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে চাই: ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউনুছ আলী আমি নির্বাচিত হয়ে ,মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে চাই: ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউনুছ আলী সারিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী লিখন মিয়া সারিয়াকান্দিতে দিনব্যাপী গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক করেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহজাহান আলী সারিয়াকান্দিতে দিনব্যাপী গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক করেছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী লিখন মিয়া বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরন করা হলো না এনজিও কর্মী সঞ্জয়ের সারিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদ নিবার্চন থেকে সরে দাঁড়ালেন চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুস সালাম ও আশিক রাজশাহীতে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের মাঝে গ্লুকোজ বিতরণ রাজশাহীতে দৈনিক মানবিক বাংলাদেশ পত্রিকার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন
নোটিশ :
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘যমুনা প্রতিদিন ডট কম’

যেমন কাটল পূজা

শরতের শুভ্র কাশফুল আর কুয়াশা ভেজা শিউলিই জানান দেয় মহালয়ার ভোর পেরিয়ে দেবীপক্ষের সূচনার।শারদীয় দুর্গাপূজা, সনাতন ধর্মের ১২ মাসে ১৩ পার্বণের মধ্যে সবচেয়ে বড় উৎসব।অঞ্জলি প্রণাম সিঁদুরেই পূজার আসল আনন্দ। পাঁচ দিন ধরে চলে এই মহোৎসব।মন্দিরে মন্দিরে চলে দেবীর আরাধনা এবং ভক্তদের উলুধ্বনিতে মুখরিত থাকে মন্দির প্রাঙ্গণ।সন্তান-সন্ততিসহ মর্তে কাটানোর পর কৈলাসে ফিরেছেন দুর্গতিনাশিনী দেবি উমা।

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের পুজোর দিনগুলোর গল্প তুলে ধরেছেন শ্যামল শীল।

পুজো কেটেছে হরেক রকম উল্লাস-ব্যস্ততায়

সোনালী সরকার স্বর্ণা

২য় বর্ষ, গণিত বিভাগ,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়,

পূজা মানেই যেন একরাশ আনন্দ আর সবার মেলবন্ধন।বছরের অন্যান্য সময় কর্মণ্ডব্যস্ততার কারণে অনেকের সঙ্গেই দেখা হয় না তবে পূজার সময় সবাই একত্র হতে পারি।পূজার এই পাঁচটি দিন যেন চোখের পলকে কেটে যায়, হরেক রকম উল্লাস-ব্যস্ততায়।পূজার সময় সবাই মিলে ঘোরাফেরা, খাওয়া-দাওয়া, নাচণ্ডগানের মধ্য দিয়েই দিন কেটে যায়।আর দশমীর দিন মনটা খারাপ হয়ে যায় এই ভেবে যে আবার একটি বছর অপেক্ষা করতে হবে এই আনন্দমেলার জন্য।প্রতিবারের মতোই অপেক্ষায় থাকি, আকাশে সাদা মেঘের ভেলা, সঙ্গে কাশফুলের উঁকি-ঝুঁকি দেখেই আন্দাজ করে ফেলি এই তো আর কয়টা দিন।অবশেষে কাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত, কাঙ্ক্ষিত প্রহর এসে হাজির হয়।মহাধুমধামে মহালয়া দিয়ে শুরু হলো বিশেষ দিনগুলোর।এবারের পুজো অনেক আনন্দের মধ্য দিয়ে কেটেছে।ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী উল্লাস করে হই-হুল্লোড় করে কেটেছে।ধর্মীয় আরাধনা পারিবারিক মেলবন্ধন, সবার একান্ত অংশগ্রহণ কতটা চমৎকার তা লিখে প্রকাশ করা একপ্রকার অসম্ভব।তবে নবমীর দিন বৃষ্টি এসে মনটা একটু খারাপ করে দিয়েছে বটে, ‘মা’ চলে যাবেন বলেই কি এই মেঘমালার অশ্রু! এবার গ্রামের ছেলেমেয়েরা মিলে এক দারুণ উপভোগ্য নাটক উপস্থাপন করেছেন, অনেই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন ব্যাস্ততা আর ভিড় জমানো হয়ে ওঠেনি সবার সঙ্গে।তবে দশমীতে অনেক মজা-হুল্লোড় করে কাটিয়েছি মায়ের বিসর্জন দিয়ে চোখ মুছে আবার এক বছরে অপেক্ষা নিয়ে এবারের পূজা শেষ হলো।আলগোছে নিজেকে সান্ত¡না দিলাম, ‘আসছে বছর আবার হবে’।

দুর্গাপূজা যেন এক আন্তরিকতার উৎসব

পূজা সরকার

১ম বর্ষ, ফার্মেসি বিভাগ,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

দুর্গাপূজা আমাদের জন্য এক বিশাল আবেগঘন মহোৎসব।বরাবরের মতো এবারও পরিবারের সঙ্গেই নিজ পিত্রালয়ে দুর্গাপূজার উৎসবে মেতে উঠেছিলাম।পঞ্চমীতে মায়ের চক্ষুদানের মাধ্যমে শুরু হলো মায়ের আরাধনা।প্রতিবারের মতোই বাড়িতে মা-কাকি-মাসি-মামিদের রাত জেগে নাড়ু, সন্দেস, মুড়ি-চিড়ার লাড্ডু বানানো।আর আমরা ভাইবোনরা বানানোর মধ্যেই এক-আধটা হজম করে ফেলি।পঞ্চমীর দিন বিকেলে পুজোর কেনাকাটা করতে হই।বছরের এই এক উৎসবে সবাইকে একসঙ্গে কাছে পাওয়ার আনন্দ আর উল্লাস, খুবই চমৎকার একটি ব্যাপার।তারপর ষষ্ঠী থেকে সপ্তমী ঢাকের তালে নাচ, আর নিত্যনতুন খাওয়া-দাওয়া, পুজোমণ্ডপে আড্ডা আর উলুধ্বনি, চেয়ার-বালিসখেলার আসর উপভোগ করেছি।অষ্টমীতে মহাভোগের প্রসাদ বিতরণের হুড়ুমদুড়ুম।।শত মানুষের আয়োজন বলে কথা।আর রাতে বন্ধু-ভাই-বোনদের সঙ্গে শহরের সব এলাকার পুজো দর্শন করতে বের হওয়া।এবার প্রায় ৫০-এর ঊর্ধ্বে পুজোমণ্ডপ ঘুরেছি।নবমীর দিন ধুনুচি নাচের মাহোল।ঢাকির চমৎকার বাজনায় পুজো মণ্ডপে সবার ধুনুচি নাচ।এবার পুজোতে নেচেই হয়তো কিছু ওজন কমিয়ে নিয়েছি।নবমীর রাতে কিছুটা মন খারাপ ছিল, মা চলে যাবেন এই ভেবে।দশমীর সকালে মা-বোনরা সিঁদুর খেলায় উঠল।আনন্দ মিছিল করে মা দুর্গার বিসর্জনের মধ্য দিয়েই শেষ হলো ৫ দিনের বাধভাঙা আনন্দণ্ডউল্লাস।তবে পুরো ৩৬৫ দিনের মনোবল-চিত্তপ্রশান্তি এই পাঁচ দিনেই পেয়ে গিয়েছি।

আদিশক্তির উপাসনার উৎসব

দুর্গাপূজা হলো মাতৃশক্তি বা আদিশক্তির উপাসনা।পূজাকে পূজার মতন পালন করাই যুক্তিযুক্ত।এ বছরের দুর্গাপূজা আমার সবচেয়ে আনন্দে কেটেছে।শহরের কোলাহল ছেড়ে গ্রামে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে পূজা করার অসাধারণ অভিজ্ঞতা হলো।প্রিয়জনদের সঙ্গে দেখা করা, সময় কাটানো, আড্ডা দেওয়া, দল বেঁধে প্রতিমা দর্শন, নিয়ম করে অঞ্জলি দেওয়া, সবকিছু যেন স্বপ্নের মতো কেটে গেল।ষষ্ঠী থেকে বিজয়া দশমী পর্যন্ত অনেক আনন্দে বিমোহিত ছিলাম।তবে লক্ষণীয় বিষয় পূজাকে সর্বজনীন করতে গিয়ে একপ্রকার ভাঁওতাবাজির অনুসরণ করা হচ্ছে, যা অনুচিত।পূজাকে পূজা থাকতে দেওয়াই ভালো।এটা কার্নিভ্যাল করে দেওয়া মানে আদিশক্তির থেকে দূরে সরে যাওয়া।হে বাঙালি! অনেক তো হলো, আবার ফিরে এসো নিজের সনাতন অতীত ও আদর্শে।মায়ের থেকে দূরে সরা অযাচিত।উৎসব হোক আনন্দের, হোক নিরাপদ।মায়ের আশীর্বাদে সবার মঙ্গল হোক।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two + eighteen =


অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ

x