মাদারীপুরে সংরক্ষিত আসনে মহিলা এমপি হতে চান বলে জানিয়েছেন সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসা. নারগিস আক্তার।
সোমবার সকালে সদর উপজেলায় যুব মহিলা লীগের এক অনুষ্ঠান শেষে নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে নারগিস আক্তার সংরক্ষিত মহিলা আসনে প্রার্থী হওয়ার কথা জানান।
নারগিস আক্তার সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছাড়াও তিনি দীর্ঘদিন ধরে জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।এছাড়াও নারগিস আক্তার নানা সামাজিক সংগঠন ও কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও জড়িত রয়েছেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মোসা. নারগিস আক্তার বলেন, ‘আমি ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।সাধারণ অসহায় মানুষের সুখে-দুঃখে সর্বত্র তাদের পাশে থেকেছি।জনগণের সেবক হয়ে ছিলাম, আছি ও আগামীতেও থাকবো।
নারগিস আক্তার বলেন, ‘আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশ্বাস করি।তাঁর আদর্শে চলি।তাঁর মতের বিপরীতে গিয়ে কখনোই কোন কাজ করিনি।আগামীতেও করবো না।তাই আমি বিশ্বাস করি আপা যোগ্যতা দেখে আমাকে জনগণের হয়ে কাজ করার একটি সুযোগ প্রদান করবেন।
জেলা, উপজেলা ও পৌর যুব মহিলা লীগ ও আওয়ামী লীগ সহ বিভিন্ন অংঙ্গ সংগঠনের সিনিয়র নেতাদের উদ্দেশ্যে নারগিস আক্তার বলেন, ‘যুব মহিলা লীগের নেত্রী ও আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা আমাকে সামনে এগিয়ে যেতে সাহস যুগিয়েছে।তারা সকলেই আমাকে এই সংরক্ষিত আসনে এমপি হিসেবে দেখতে চায়।এটা আমার দাবি না, এটা সকল মাদারীপুরবাসীর প্রাণের দাবি।তাই আমি এবার নেত্রীর কাছে মনোনয়ন প্রত্যাশী।’
যুব মহিলা লীগ নেত্রী নারগিস আক্তার দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।তিনি ২০০৪ সালে সদর যুব মহিলা লীগের সভাপতি হন।এরপর ২০০৯ সালে জেলা যুব মহিলা লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ২০২২ সালে তিনি সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
নারগিস আক্তার ২০১৯ সালে মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথমবার অংশ নিয়েই তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পারভীন জাহানকে ৩৬ হাজার ৩০০ ভোটে পরাজিত করে বিপুল ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।
নারগিস আক্তার সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের ঝিরহাটি এলাকায় বসবাস করেন।তাঁর স্বামী কাজী সরোয়ার হোসেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী।তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছেন।তার মেয়েও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী।