জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেল-এঁর ৬০তম জন্মদিন ও শেখ রাসেল দিবস’ পালন করেছে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ।

আজ ১৮ অক্টোবর বুধবার বেলা ১১.০০ ঘটিকায় জেলা আওয়ামী লীগের রানীবাজারস্থ দলীয় কার্যালয়ে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার সরকার-এর পক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মোঃ একরামুল হক-এর সভাপতিত্বে এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ দারা’র সার্বিক তত্বাবধান ও পরিচালনায় রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক পূর্বঘোষিত কর্মসূচি মোতাবেক শিশু-কিশোরদের সঙ্গে নিয়ে কেক কেটে শহীদ শেখ রাসেলের শুভ জন্মদিন ‘শেখ রাসেল দিবস’ পালন এবং দোয়া মাহফিল সহ উপযোগী অন্যান্য সকল কর্মসূচি পালিত হয়।

শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন ‘শেখ রাসেল দিবস’ পালন এবং দোয়া মাহফিল সহ সার্বিক আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, জেলাধীন সর্বস্তরের আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, আওয়ামী লীগের জেলাধীন সর্বস্তরের সকল সহযোগী ও ভাতৃপ্রতীম সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং দলীয় জনপ্রতিনিধিবৃন্দ।

আলোচনা সভায় শহীদ শেখ রাসেলের শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভার সভাপতি অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মোঃ একরামুল হক এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ দারা সহ বক্তৃতা রাখেন ছাত্রলীগ নেতা মুমিনুল ইসলাম মোহন, ছাত্রলীগ নেতা মোঃ মোর্শেদ আলম, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান নয়ন, জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক বিপাশা খাতুন, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ আবু সালেহ, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোঃ সাইফুল ইসলাম বাদশা, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ( অবঃ) মোঃ আমজাদ হোসেন নবাব।

পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন এবং দোয়া পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মোঃ রেজওয়ানুল হক পিনু মোল্লা, পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করেন জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক প্রদ্যুৎ কুমার সরকার।

আলোচনা সভায় যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. মোঃ আব্দুস সামাদ এবং জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক প্রদ্যুৎ কুমার সরকার।

নেতৃবৃন্দ তাঁদের বক্তৃতায় উল্লেখ করেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি-বিজড়িত ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মগ্রহণ করেন।১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট মানবতার ইতিহাসের সবচেয়ে ঘৃণ্য শত্রু ও খুনি-ঘাতকচক্রের নির্মম বুলেটের হাত থেকে রক্ষা পাননি বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে নরপিশাচরা নিষ্ঠুরভাবে তাঁকেও হত্যা করে।তখন তিনি ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিরা তাঁকে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল।ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় তাদের সেই অপচেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে।শহীদ শেখ রাসেল আজ বাংলাদেশের শিশু-কিশোর, তরুণ, শুভবুদ্ধিবোধসম্পন্ন মানুষদের কাছে পরম আদরের একটি আদর্শিক নাম।অবহেলিত, পশ্চাৎপদ, অধিকারবঞ্চিত শিশুদের আলোকিত জীবন গড়ার আদর্শিক প্রতীক হয়ে গ্রাম-গঞ্জ-শহর তথা বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ জনপদ ও লোকালয়ে শেখ রাসেল আজ এক মানবিক সত্তায় পরিণত হয়েছেন।মানবিক চেতনাসম্পন্ন সকল মানুষ শেখ রাসেলের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের শোককে হৃদয়ে ধারণ করে বাংলার প্রতিটি শিশু-কিশোর তরুণের মুখে হাঁসি ফোটাতে আজ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

নেতৃবৃন্দ তাঁদের বক্তৃতায় বলেন, বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর শিশুপুত্র শেখ রাসেলের দণ্ডপ্রাপ্ত খুনিরা এখনও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পলাতক রয়েছে।সেই সকল দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করা আজ সকলের কাছে সময়ের যৌক্তিক দাবিতে পরিণত হয়েছে।নেতৃবৃন্দ তাঁদের বক্তৃতায় আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় এনে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা’কে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসানোর দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, একইরুপ কর্মসূচি জেলাধীন আওয়ামী লীগের সকল সাংগঠনিক উপজেলা সহ সর্বস্তরে দলীয় নেতা-কর্মী সহযোগে পালন করার জন্য জেলাধীন সকল সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক-এঁর প্রতি ইতোপূর্বে আহবান জানানো হয়।