শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ১১:০৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
সারিয়াকান্দিতে জিপিএ-৫ পেয়েও অর্থের অভাবে কলেজে ভর্তি অনিশ্চিত সাকিবুল হাসানের সারিয়াকান্দিতে ইউএনও’র সাথে নবনির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যানের শুভেচ্ছা বিনিময় সারিয়াকান্দিতে সরকারি খাদ্য গুদামে ইরি-বোরো ধান ও চাল সংগ্রহের শুভ উদ্বোধন সারিয়াকান্দিতে ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার-২ নালিতাবাড়ী খাদ্য গুদামে ধান-চাল সংগ্রহের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত সারিয়াকান্দিতে অভিবাসী কর্মীদের পুনঃএকত্রীকরণে রেইজ প্রকল্পের ভূমিকা’ শীর্ষক ওরিয়েন্টেশন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে লালমনিরহাট জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের শ্রদ্ধা সারিয়াকান্দিতে পূর্ব শত্রুতার জেরে এক যুবককে ছুরিকাঘাত শাহজাদপুরে সাংবাদিকদের সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মুস্তাক আহমেদের মতবিনিময় অনুষ্ঠিত সারিয়াকান্দিতে বিশ্ব মা দিবস পালিত
নোটিশ :
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘যমুনা প্রতিদিন ডট কম’

মায়ের আদর

মোঃ জাবেদুল ইসলাম –

আমাদের সংসারে সদস্য সংখ্যা মাত্র চারজন।আমি আনু, বয়স এগারো বছর, আমার ছোট ভাই, পলাশ বয়স আট বছর।আমার মা বাবা সহ মোট চার সদস্যের পরিবার।বাবা সংসারের অর্থ উপার্জন করতে বেশি ভাগ সময়ই বাড়ির বাহিরে কর্ম খোঁজে বেরিয়ে যায় দুরদুরান্তর জায়গায়।বাড়িতে মা একাই সব কাজ সামলিয়ে নেয়।আমিও পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী।পড়াশোনা নিয়ে সবসময় ব্যস্ত থাকি।মাঝে মধ্যে মায়ের কাজে সাহায্য করি, যেমন- থালাবাসন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা, বিছানাপত্র গুছিয়ে নিয়ে ঠিক ঠাক করে রাখা।নিজের, জামাকাপড় গুছিয়ে রাখা।ছোট ভাই পলাশ কে গোসল করে দিয়ে কাপড়চোপড় পরে দেয়া ইত্যাদি কাজগুলো আমি আনু একলাই সামাল দিতে থাকি।মা তার নিজের হাতের কাজ করতে সাহায্যের প্রয়োজন হলে আমাকে ডাকে, ঠিক তখুনি দৌড়ে এসে মায়ের কাজে সাহায্য করি।এজন্যই মা আমাকে সব সময় আদর ও বুক ভরা দোয়া করে এবং ভালবাসে, সাথে পলাশ কেও ভালোবাসে ও আদর করে।আমি আনু সব সময় খেয়াল রাখার চেষ্টা করি।বাবা এবং মা কখনও কোন পারিবারিক কাজের জন্য সমস্যা পরেছে কি না।একবার বাবা কাজের সন্ধানে বেশ কিছু সময়ের জন্য বাহিরে চলে গেলো।তার দুই দিন পরে মা খুব গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে।বিছানা ছেড়ে উঠতে পারছেন না।আমি মা’কে সেবা যত্ন করে সুস্থ করে তুলি।সময়মত খাবার তৈরি করে মা’কে খাবার খাইয়ে দেই ওষুধ খাইয়ে দেই মা’কে বিশ্রাম নিতে বলি।ধীরে ধীরে মা সুস্থ হয়ে উঠে।তার ফাঁকে ফাঁকে আমি নিজের পড়াশুনার কাজও চালিয়ে যেতে থাকি।ছোট ভাই পলাশেরও দেখা শুনা ও যত্ন নেই।এরই মধ্যে বাবা কর্মস্থল হতে বাড়ি ফিরে আসে।অনেক দিন পরে বাবাকে মা আনু আর পলাশ খুব খুশি হলো।আনু বাবা কে হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে আসতে বল্লো।আনু বাবার জন্য খাবার তৈরি করে নিয়ে আসলো এবার।আনু যে এতো তারাতারি সংসারের সব কাজ শিখে ফেলেছে, সেটা আর তাঁর বাবা জানতো না।বাবা মা’কে জিজ্ঞেস করল, আনু এতো তারাতারি পুরো সংসারী হলো কি ভাবে? মা এবার আুনুর পুরো কাজের সুনাম খুলে বল্লো।শুধু সংসারী না।আনু নিজের পড়াশুনার পাশাপাশি সংসারের সব কাজ সামলিয়ে নেয়।পাশাপাশি ছোট ভাই পলাশ কে সে আগলিয়ে রাখে।সে কখন কোথায় যায়, কি করে তারও খোঁজ খবর রাখে।বাবা শুনে খুব খুশি হলো।বাবা মা’কে বারণ করলো, তুমি আনুকে বকাঝকা করবে না।ওকে আর পলাশ কে সব সময়ে আদর সোহাগ ভালোবাসা দিয়ে বড় করে তুলবে।ও একদিন অনেক অনেক ভড় হবে।মা বল্লো আমার আদর ভালোবাসা সবসময় থাকবে।আমি চাই ওরা অনেক অনেক বড় হউক।দেশ ও দশের কল্যান বয়ে আনুক।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two + nineteen =


অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ

x