ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মেডিটেশন ও মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনের ৪০৫ নম্বর কক্ষে এ কর্মশালার আয়োজন করে ‘মনের মনন’।
কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানসিক স্বাস্থ্য ও মেডিটেশন বিষয়ক সংস্থা ‘প্রশান্তি’র প্রতিষ্ঠাতা ও মেডিটেশন প্রশিক্ষক সায়মা সাফীজ সুমি।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় তিনি মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব ও মেডিটেশনের উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করেন।
এছাড়া কর্মশালায় উপস্থিত শিক্ষার্থীদেরকে মেডিটেশনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানটি কমিনিউকেশন এন্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরিন অমিন্তা ও হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সাব্বির হোসেন রূপক যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন।
এদিকে মনঃসাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মূকাভিনয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব ফুটিয়ে তোলা হয়।এতে মূকাভিনয় করেন ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মাইম একশন।
কর্মশালায় প্রশিক্ষক সায়মা সাফীজ সুমি বলেন, “আমাদের সমাজে মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি বরাবরই উপেক্ষিত।মানসিক স্বাস্থ্যের সুস্থতা আামদেরকে অনেক ভয়াবহ অপরাধ ও আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত প্রবণতা থেকে বাঁচিয়ে রাখে।তাই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি আমাদেরকে মানসিক স্বাস্থ্য কীভাবে ভালো রাখা যায় সে বিষয়ে জানা উচিত।অনেক সময় পারিপার্শ্বিকতার চাপে আমরা অনেক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি, মানসিক অশান্তিতে ভুগি।এর থেকে মুক্তি পেতে মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো উচিত।”
উল্লেখ্য, ‘আমার মন, আমার ভালো থাকা’ স্লোগানকে সামনে রেখে সম্প্রতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে যাত্রা শুরু করে প্রজেক্ট ‘মনের মনন’।ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের মাঝে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন ও গুরুত্ব বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে প্রজেক্টটি হাতে নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষার্থী।আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি, আত্মহত্যা, দুশ্চিন্তা, অপরাধপ্রবণতা ও মাদকাশক্তি রোধ এবং মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করবে এই প্রজেক্ট।”
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব খান প্রজেক্টটির সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছেন।
এ ছাড়াও প্রজেক্টটিতে রয়েছেন অর্থনীতি বিভাগের আবুনূর হাসান নাহিব, ব্যবস্থাপনা বিভাগের নুসরাত জাহান মাইশা প্রমুখ।