নিজস্ব প্রতিনিধি : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ -৪৯ (মান্দা-৪) আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসাবে কাজ করে যাচ্ছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ডাঃ ইকরামুল বারী টিপু।

তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজে অধ্যয়ন কালে ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী হিসেবে রাজনীতি শুরু করেন। অদ্যবধি দলকে সুসংগঠিত করতে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। ১৯৯৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে দল তাকে মনোনয়ন দেয়ার আগ্রহ দেখালেও তিনি গ্রহণ না করে বিএনপি’র সাবেক এমপি সামসুল আলম প্রামাণিককে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেন বলে তিনি জানান। জাতীয়তাবাদী মান্দা উপজেলা শাখার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন কালে ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত দুইবার সামসুল আলম প্রামাণিক এমপি নির্বাচিত হন।

সেই সময় তিনি মান্দা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসাবে এবং নওগাঁ জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দুই বার দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে তিনি উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য ও নওগাঁ জেলা শাখার ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০৯ সালে তিনি বিপুল ভোটে মান্দা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ডাঃ টিপু ২য় প্রার্থী হিসেবে মনোনীত ছিলেন বলে তিনি জানান। বর্তমানে সাবেক এমপি সামসুল আলম প্রামাণিক-এর মৃত্যুর কারণে দলের প্রার্থী হিসাবে কাজ করছেন তিনি।
অদ্যাবধি থেকে এখন পর্যন্ত তিনি চিকিৎসক হিসাবে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবাসহ বহুমুখী সেবা করে যাচ্ছেন।

করেনাকালীন সময়ে তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাধারণ মানুষের জন্য সেবা করে গেছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালে তিনি এলাকায় সীমিত সুযোগের মধ্যেও যথেষ্ট উন্নয়নমূলক কাজ করে সাধারণ মানুষের সুনাম অর্জন করেছেন। এজন্য তিনি রাজশাহী বিভাগের শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে সম্মাননা পেয়েছিলেন। বিএনপি’র চলমান একদফার আন্দোলনে ব্যাপক জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর জন্য তিনি গ্রামেগঞ্জে গণসংযোগ করে নেতাকর্মীদের উদ্বুদ্ধ করছেন। দলের সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সাথে সমন্বিতভাবে আন্দোলন কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশগ্রহণ করছেন। এই অবস্থায় বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে সাংগঠনিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে দলকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছেন।

মনোনয়নের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই মূহুর্তে বিএনপি একদফার আন্দোলনে আছে সেহেতু বিএনপি নির্বাচন নিয়ে আপাতত ভাবছে না, তবে আন্দোলনে সফলতার পরে দলীয় হাইকমান্ড সার্বিক বিবেচনায় তাঁকেই মনোনয়ন দিবেন বলে তিনি আশাবাদী। তিনি আরো বলেন, এই আসন বরাবর বিএনপি’রই আসন ছিল। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের তামাশার নির্বাচনে আসনটি আওয়ামী লীগ নিয়ে গেলেও বর্তমান দুঃশাসন, নির্যাতন-নিপীড়ন ও দুর্ণীতির কারণে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। আগামি দ্বাদশ সংসদ জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিকেই ভোট দিবেন। আগামীতে মনোনয়ন দিলে বিজয় সুনিশ্চিত হবে বলে তিনি দাবী করেন।