আপেল মাহমুদ:
নওগাঁর মান্দায় নিয়োগ বোর্ডের আগে অর্থ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলী ও সভাপতি নগেন্দ্রনাথ প্রমাণিকের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত সেকেন্দার আলী উপজেলার গোয়াল মান্দা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসাবে আছেন।প্রতিবাদে বিদ্যালয় মাঠেই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭সেপ্টেম্বর) স্কুল চলাকালীন সময় উক্ত বিদ্যালয়ের মাঠে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার প্রধান শিক্ষক এবং সভাপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।ভুক্তভোগী আরিফা খাতুন গোয়ালমান্দা গ্রামের জামাল শিলানের স্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবার জানান, গত ১৪ আগষ্ট সরকারি বিধি মোতাবেক “গোয়ালমান্দা” উচ্চ বিদ্যালয়ের জন্য একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী, একজন নিরাপত্তা কর্মী ও একজন আয়া পদে দরখাস্তের আহ্বান করেন।সেই মোতাবেক ভুক্তভোগী গৃহবধু আয়া পদে দরখাস্ত করেন।এরপর ভুক্তভোগীর শুশুর খোরশেদ আলম প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলী, সহকারি শিক্ষক তোফাজ্জল হোসেন ও সভাপতি নগেন্দ্রনাথ প্রামানিকের সাথে পুত্রবধু আরিফা খাতুনের আয়া পদে চাকরির জন্য ১২ লক্ষ টাকা চুক্তিবদ্ধ হয়ে ৮ লক্ষ টাকা অগ্রিম প্রদান করেন।ভুক্তভোগী গোপনে জানতে পারেন যে,তাকে চাকরি দিবেনা মর্মে অন্য তিনজন প্রার্থীর নিকট থেকে ১৬ লক্ষ টাকা নিয়ে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।এমন ঘটনার পেক্ষিতে ভুক্তভোগী সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলী ও সভাপতি নগেন্দ্রনাথ প্রমাণিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, এখনো নিয়োগ প্রক্রিয়ার কাজ শেষ হয়নি।তবে আমাদের বিরুদ্ধে যে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।