রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:১০ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
সারিয়াকান্দিতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে ইউএনও তৌহিদুর রহমান ফরিদপুর-১: আপিলে মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা, ভোটের মাঠে লড়বেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুর রহমান দোলন লাখাইয়ে দেড় লক্ষাধিক লোকের জন্য ডাক্তার ২ জন,চরম ভোগান্তিতে সেবা নিতে আসা রোগীরা নাটোরের সিংড়ায় দুই সন্তানের জননীর গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা জনগনকে রাস্তা কিনে গোদাগাড়ী চর আষাড়িয়াদহ যেতে হয় রাজশাহীতে নানা আয়োজনে বেগম রোকেয়া দিবস পালন তাহেরপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আলো খন্দকারের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত সারিয়াকান্দিতে সংবাদ সম্মেলনে স্বীকার করলেন ঘর তোলার কথা! সারিয়াকান্দিতে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস পালিত সারিয়াকান্দিতে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিত
নোটিশ :
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘যমুনা প্রতিদিন ডট কম’

নড়াইলে ভরা মৌসুমে পাট বাজারে ধস,বিপাকে চাষিরা

ড়াইলে ভরা মৌসুমেও পাট বাজারে ধস নেমেছে।পাটের ভালো ফলনে লাভের আশায় বুক বাধলেও দাম পড়ে যাওয়ায় ব্যাপক লোকসানের শঙ্কায় রয়েছেন এ জেলার চাষিরা।

জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য বলছে, এ বছর জেলায় মোট ২৩ হাজার ৬৪৫ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে; যার বিপরীতে দুই লাখ ৭০ হাজার ১৪০ বেলপাট উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন হাটে দেখা যায়, এবার পাটের ফলন ভালো হয়েছে।তাইতো নতুন পাটে সয়লাব এখানকার হাটবাজার।

জেলার সবচেয়ে বড় পাটের মোকাম মাইজপাড়া, মিঠাপুরসহ বিভিন্ন হাটে নানা প্রয়োজনে বিক্রির জন্য চাষিরা তাদের উৎপাদিত পাট নিয়ে আসছেন।এতে বেলা বাড়তে না বাড়তেই ক্রেতা-বিক্রেতার ব্যাপক সমাগমে হাট কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে।তবে দর নিয়ে হতাশায় পড়েন চাষিরা।

মাইজপাড়ার হাটে গিয়ে দেখা গেছে, বেশিরভাগ পাট প্রতি মণ ১৫০০ থেকে শুরু করে ১৯০০ টাকা দরে কেনাবেচা হচ্ছে।তবে মানভেদে কিছু পাট ১৩০০ এবং সামান্য কিছু সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকায় বিক্রি হয়।

তবে এ হাটে পাট বিক্রি করতে আসা চাষিরা জানান, চড়া দামে ডিজেল, সার, শ্রম কিনে ফসল ফলাতে গিয়ে এবার পাটের উৎপাদন খরচ বেশি পড়েছে।

এ দিকে নতুন পাট ঘরে উঠতে না উঠতেই বাজার পড়ে যাওয়ায় লাভ দূরে থাক খরচও ওঠা নিয়ে তারা শঙ্কায় পড়েছেন।ধারদেনা শোধ করা নিয়ে পড়েছেন দুশ্চিন্তায়।এ অবস্থায় তারা বর্তমান উৎপাদন খরচের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বাজার দর নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন।

এ দিকে মাইজপড়ার পাট ব্যাপারী বিশ্বজিৎ কুণ্ডু ও গোবিন্দ কুণ্ডু জানান, পাটকল বর্তমানে দর কমিয়ে দিয়েছে, তাছাড়া পাট বিক্রি করে তাদের অনেক টাকা বাকি পড়েছে; তাই পাটকল পাট নেওয়াও কমিয়ে দিয়েছে।ফলে পাট বাজার পড়ে গেছে।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান জানান, নড়াইলে প্রধানত ভারতীয় জে আর ও ৫২৮ জাতের পাটের আবাদ হয়।তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বি জে আর আই তোসা পাট ৮ জাতের আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে।অনুকূল আবহাওয়ার পাশাপাশি যথাযথ পরিচর্যা ও অন্যান্য পারিপার্শ্বিকতায় এবার পাটের ভালো ফলনও হয়েছে।ফসলের উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনতে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে আধুনিক নানা চাষাবাদ পদ্ধতি ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।এছাড়া পাট চাষ সম্প্রসারণে উৎপাদন খরচের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বাজার দর নিশ্চিত জরুরি বলেও তিনি অভিমত দেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ