লক্ষ্মীপুরে বেসরকারি আইটি সেন্টার ক্লাসি টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এর শিক্ষার্থীদের সাথে গুণীজনদের মতবিনিময় সভা হয়েছে।
২২জুলাই (শনিবার) শহরের একটি অভিজাত রেস্তোঁরায় আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আধুনিকায়ন এবং ডিজিটাল এ যুগে আইটি সেক্টরে দক্ষতা অর্জন করে দেশবিদেশের বিভিন্ন কাজে অংশ নিচ্ছে দেশের লক্ষ লক্ষ বেকার জনগোষ্ঠী।এতে তাদের যেমন দক্ষতা অর্জন হচ্ছে তেমনি তারা আর্থিকভাবেও সফলতার মুখ দেখছে।
পড়াশুনা শেষে অথবা পড়াশুনা চলাকালীন এ দেশের নিম্ন এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীদের কপালে পড়ছে চিন্তার ভাঁজ।কেউ বিদেশ গিয়ে নিজের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন করতে পারলেও আবার কেউবা হতাশার গ্লানি নিয়ে ফেরতও আসছেন।তবে আইটি ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করে কেউ বেকার বসে নেই।দেশে বসেই অর্জন করছে বৈদেশিক মুদ্রা।কেউ কেউ মাসে লাখ টাকা গুনছেন দেশে বসে কম্পিউটারে কাজ করে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে।নিজের ঘরকে বানাচ্ছেন নিজের অফিস।এভাবেই সফলতা হাতছানি দিচ্ছে আইটি দক্ষদের দুয়ারে।
ক্লাসি টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট তাদের প্রশিক্ষণার্থীদের নিয়ে জেলার গুণীজনদের সাথে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।তাদের ধারনা এ ধরনের আয়োজনের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের পাঠ্য কিংবা প্রশিক্ষণের বাহিরেও আরো দক্ষতা অর্জন করতে পারবে, এতে তাদের বাস্তব জীবনেও এ ধরনের আয়োজন অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
গুণীজনদের মধ্যে দক্ষতা অর্জনে প্রেরণামূলক বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড’র জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব আলম, লক্ষ্মীপুর টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের সুপারিন্টেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মফিদুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মোঃ খোরশেদ আলম।
ক্লাসি টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের পরিচালক মোঃ মোশাররফ হোসেনের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম শিবলু, রাজীব হোসেন রাজু, মোঃ সাইফুল ইসলাম পারভেজ, শোয়েব মেহেদি, জেলা ইউডিসি সাধারণ সম্পাদক সেকান্তর আলী, সঙ্গীতশিল্পী শান্তন দাস, ইংলিশ ইন্সট্রাক্টর আবদুল হালিম হৃদয়, কোরিয়ান ল্যাংগুয়েজ ইন্সট্রাক্টর মোঃ সেলিম হোসেন প্রমূখ।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে তথ্য প্রযুক্তি তথা আইসিটিতে দক্ষ হওয়ার বিকল্প নেই।তাই আমাদের সবার উচিত আইসিটিতে দক্ষতা অর্জন করা।আইসিটিতে দক্ষ হলে প্রশিক্ষণ নেওয়ার বিকল্প নেই।
উল্লেখ্য যে, ক্লাসি টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ২০২০সাল থেকে কার্যক্রম শুরু করে এবং বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে প্রশিক্ষণার্থীদের পরীক্ষার পর সরকারি সনদপত্র প্রদান করা হয়।প্রতিষ্ঠানটি তিন এবং ছয় মাস মেয়াদে কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন, গ্রাফিক্স ডিজাইন অ্যান্ড ফ্রিল্যান্সিং, ডিজিটাল মার্কেটিং অ্যান্ড ফ্রিল্যান্সিং, ওয়েব ডিজাইন ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ফ্রিল্যান্সিং, কোরিয়ান ভাষা প্রশিক্ষণ, ভিডিয়ো অ্যাডিটিং অ্যান্ড ফ্রিল্যান্সিং, অটোক্যাড (2ডি, 3ডি)+ফ্রিল্যান্সিং, হার্ডওয়্যার অ্যান্ড নেটওয়ার্কিং, স্পোকেন ইংলিশ, একাডেমিক ইংলিশ, আইএলটিএস এবং জাপানিজ ভাষা প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।