ধান প্রধান এলাকা হলেও নন্দীগ্রামের কৃষিতে এখন যুক্ত হচ্ছে নিত্য নতুন ফল ও ফসল।এরই ধারাবাহিকতায় এবার যোগ হলো স্ট্রবেরী।স্ট্রবেরী শীত প্রধান দেশের ফসল হলেও বাংলাদেশে বেশ কয়েক বছর আগে অল্প অল্প করে এর যাত্রা শুরু হয়।
উচ্চ মূল্যের ফসল হওয়ায় নন্দীগ্রামের চাকলমা গ্রামের শিক্ষিত তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা মোঃ জাব্বির হোসেন স্ট্রবেরী চাষে মনোযোগী হয়েছেন।
আরডি এডিপি প্রকল্পের আওতায় কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় পঁচিশ শতক জমিতে প্রদর্শনী আকারে শুরু করলেও এর পাশাপাশি আরো সাড়ে তিন বিঘা মিলিয়ে মোট চার বিঘা জমিতে তিনি চাষ শুরু করেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লাইনের পর লাইন মালচিং শিট বিছিয়ে লাগানো হয়েছে স্ট্ররেরী চারা গুলো। আলু সরিষার জমির মাঝে এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ স্ট্রবেরী।
জাব্বির হোসেন জানান, কৃষি বিভাগের সার্বিক পরামর্শ এবং সহযোগিতায় আমি স্ট্রবেরী চাষ শুরু করেছি। চারার বয়স এখন প্রায় এক মাস। প্রতিটি চারার দাম পড়েছে বিশ টাকা। মোট সতের হাজার চারা রয়েছে। ফলসংগ্রহ পর্যন্ত প্রতিটি চারার পেছনে গড়ে খরচ পড়বে ৬০-৬৫ টাকা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে প্রতিটি গাছ থেকে গড়ে ৪০০-৫০০ গ্রাম ফল পাওয়া যাবে। বাজার মূল্য ভাল পেলে এখান থেকে কয়েক লক্ষ টাকা লাভের আশা করছি।
উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ আদনান বাবু জানান, স্ট্রবেরী অত্যন্ত পুুষ্টিমান সমৃদ্ধ একটি ফল।এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এবং মিনারেলস আছে।এটি উচ্চ মূল্যের একটি ফসল। বাজার মূল্য নিশ্চিত করতে পারলে স্ট্রবেরী চাষে দারুণ সম্ভাবনা আছে। নন্দীগ্রামের কৃষির ইতিহাসে এবারই প্রথম আরডি এডিপি প্রকল্পের আওতায় স্ট্রবেরী চাষের যাত্রা শুরু হয়েছে।এর পাশাপাশি কৃষি উদ্যোক্তা মোঃ জাব্বির হোসেন উদ্যোগী হয়ে মোট চার বিঘা জমিতে এটি চাষ করেছেন। ফসলের সার্বিক অবস্থা এখন পর্যন্ত বেশ ভালো।কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে স্ট্রবেরী চাষে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।আগামীদিনে নন্দীগ্রামের কৃষিতে স্ট্রবেরী হতে পারে একটি অনন্য ফসল।