জনতার রোদন
শেখ আলমগীর হোসেন বাদশা :-
আয়-ব্যয়ের হিসাবে নেই
সমান তালে ছন্দ
যেমন-তেমন উপার্জনে
হর-হামেশাই দ্বন্দ্ব।
দ্রব্যমূল্য নিত্য বাড়ে
নেই তো কোন মিল
ব্যয়ের ভারে জীবন ঠাসা
অর্ধ পেটে খিল।
বাজার এখন বড্ড চড়া
সবকিছুই আছে
মাছ কিনে কাচা বাজারে
থাকেনা টাকা কাছে।
তেলের ঘাটতি পূর্ণ করলে
আলু পিয়াজ হয়না
আর যা কিছু লাগবে কেনা
গিন্নি ভয়ে কয়না।
ষাটের কোঠায় চালের কেজি
জ্বালানির দাম বেশী
পোল্ট্রি মুরগী শ-দুই আড়াই
চারশো হলো দেশী।
সাতশো টাকায় গরু মাংস
কিনবো কেমন করে !
ছেলে মেয়ে মাঝেমধ্যে
বায়না যদিও ধরে।
সন্তানাদির লেখা পড়ার
খরচ জোগান কষ্ট
রান্না গ্যাস বা বিদ্যুৎ বিলে
মাথাটা হয় নষ্ট।
প্রাইভেট-ব্যাচ মাসের বেতন
হাত খরচও সাথে
এতো টাকার যোগান দিতে
যাবো কোন পথে।
গাড়ী ভাড়া দিগুণ হলো
জ্বালানির দাম বেড়ে
ঘর ভাড়াটা হলে দেরি
মালিক আসে তেড়ে।
মাসের শেষে অনেক সময়
পকেট শূন্য থাকে
খাই বা না খাই প্রতিবেশী
খোঁজ খবর না রাখে।
খাওয়ার সময় ছেলে মেয়ের
মুখটা মলিন দেখে
কষ্ট গুলো নিজের মনে
চলছি চাঁপা রেখে।
বেশতো ছিলাম সুখেই ছিলাম
এমন কেন হলো
মাছে ভাতে বাঙালীদের
সুদিন কোথায় গেলো?
সদা আছি আঁধার নিয়ে
যাচ্ছে কেটে দিন
ধিরে ধিরে বাজেট ভারে
বাড়ছে শুধুই ঋণ।