ঢাকা ১০:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ মে ২০২৩, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ::
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল 'যমুনা প্রতিদিন ডট কম' এ আপনাকে স্বাগতম...
সংবাদ শিরোনাম ::
মানুষ মনে করে,দেশের সব মদ আমিই খাই : পরী মণি সাংবাদিক আনহার বিন সাইদ এর প্রবাস যাত্রায় বিশ্বনাথ উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবর্ধনা প্রদান ধামইরহাটে ভুট্টার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি সিলেট বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান অধ্যক্ষ মাওলানা শামছুল ইসলাম আমের বাণিজ্যিক রাজধানী সাপাহারে চলছে পরিপক্ক আম কেনাবেচা মধুপুরে জিয়াউর রহমানের মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও খাবার বিতরণ ভাঙ্গায় অবৈধ স্থাপনাসহ ১৫০ দোকানপাট দখলমুক্ত কমলনগরে ছাত্রলীগের ৬ ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত শিশু শাহজাহানকে উদ্ধার করল গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ দাইপুখুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত বাজেট সভা অনুষ্ঠিত

পাইকগাছায় মন্দিরের কর্তৃত্ব নিয়ে দু’পক্ষের বিরোধ চরমে;লুটপাটের মামলা দিয়ে হয়রানি করার চেষ্টা

মোঃ ফসিয়ার রহমান,পাইকগাছা
  • আপডেট সময় : ০৩:৪১:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ মে ২০২৩ ৩৫ বার পড়া হয়েছে
যমুনা প্রতিদিন অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পাইকগাছায় মন্দিরের কর্তৃত্ব নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়েছেন রাড়ুলী দক্ষিণপাড়া গ্রামের সনাতন ধর্মের শতাধিক পরিবার।এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে হামলা মামলার ঘটনা অব্যাহত রয়েছে।

ইতোমধ্যে প্রশাসন, থানা পুলিশ ও পূজা উদযাপন পরিষদ সৃষ্ঠ বিরোধ নিষ্পত্তির চেষ্টা করলেও কোন চেষ্টায় সফল হয়নি।

গত ৫মে হামলার ঘটনায় দু’পক্ষের মধ্যে পাল্টা-পাল্টি মামলা হয়।এ ঘটনার জের ধরে শিবপদ গংরা লুটপাটের মামলা দিয়ে বিকাশ গংদের হয়রানি করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকার লোকজন।

সৃষ্ঠ এ বিরোধ নিষ্পত্তি করতে না পারলে দু’পক্ষের মধ্যে পুনরায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ সহ চরম ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করছেন এলাকাবাসী।

প্রাপ্ত সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রাড়–লী ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া সার্বজনীন পূজা মন্দিরের কর্তৃত্ব নিয়ে দু’টি পক্ষের সৃষ্টি হয়েছে।অত্র মন্দিরের আওতায় এলাকায় ৮৭ পরিবার সনাতন ধর্মের মানুষ বসবাস করে।মন্দিরটির দীর্ঘদিন সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিল শিবপদ সরকার।শিবপদ-সত্যনন্দ গংদের পক্ষে রয়েছে ২২ পরিবার।অপরদিকে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে মন্দিরের কতর্ৃত্ব রয়েছে বিকাশ-পার্থ সরকার গংদের অনুকূলে।তাদের অনুকূলে রয়েছে ৬৫ পরিবার।ফসলী জমি ও পুকুর সহ মন্দিরের বেশ কিছু সম্পত্তি রয়েছে।যার কর্তৃত্ব নিয়ে বেশ অনেকদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে।বিরোধের কারণে বহু পরিবার মন্দিরে শান্তিপূর্ণভাবে পূজা অর্চনা করতে পারে না।বিরোধ নিয়ে দু’পক্ষই আদালতে মামলা করেছে।থানা পুলিশ ও প্রশাসনের সাথে একাধিক শালিশী বৈঠক হলেও এখনো পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ কোন সমাধান হয়নি।ফলে দু’পক্ষের বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে।

এর জের ধরে গত ৫ মে সন্ধ্যার দিকে এপিসি প্রাইমারী স্কুলের পিছনে শিবপদ গংদের লোকজন বিকাশ গংদের লোকজনের উপর হামলা করে।এতে তারা কুপিয়ে বিকাশ গংদের ৮জনকে গুরুতর জখম করে।

এ ঘটনায় বিকাশ বাদী হয়ে শিবপদ গংদের ১৪ জনকে আসামী করে থানায় মামলা করে।যার নং ১৩/১৪৫, তাং ০৬/০৫/২০২৩ ইং।

এ ঘটনায় সুচিত্রা ওরফে পুতুল বাদী হয়ে বিকাশ গংদের ৯জনকে আসামী করে পাল্টা মামলা করে।এ ঘটনার জের কাটতে না কাটতে লুটপাট মামলা

দিয়ে বিকাশ গংদের হয়রানি করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে শিবপদ গংদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন বিকাশ গংদের লোকজন।

মন্দির কমিটির সাবেক সম্পাদক দিলিপ সরকার জানান, সেপ্টেম্বর ২০২২ থেকে মন্দিরের কতর্ৃত্ব আমাদের অনুকূলে রয়েছে।শিবপদ গংরা আমাদের উপর হামলা করে ক্ষ্যান্ত হয়নি।তাদের অনুসারী সন্ধ্যা রানী সরদার লুটপাট মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি করার ষড়যন্ত্র করছে বলে জানতে পেরেছি।এ ধরণের হয়রানি বন্ধ না হলে এলাকা থেকে চলে যাওয়া ছাড়া আমাদের বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে বলে জানান নিলিমা সরদার।

সন্ধ্যা রানীর প্রতিবেশী গনেশ সরকার জানান, আমরা তার পাশেই বাস করি, কিন্তু ঘটনার দিন রাতে এমন কোন কিছু টের পায়নি।

দুখীরাম জানান, লুটপাট হলে শব্দ হয়, চিল্লাচিল্লি হয়, তেমন কিছুই আমরা শুনতে পায়নি।

ক্যাম্প ইনচার্জ ইমরান হোসেন জানান, সোমবার সকাল ১১ টায় ৯৯৯ ফোনের ভিত্তিতে আমি সন্ধ্যা রানীর বাড়ীতে যায়।তিনি অভিযোগ করেন ২১ মে রাত ২ টার দিকে ভয় দেখিয়ে তাকে জিম্মি করে ৪০ মন ধান ও স্বর্ণালংকার সহ তার বাড়ী থেকে বিভিন্ন মালামাল লুটপাট করা হয়েছে।বিষয়টি পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।তবে প্রাথমিক তদন্তে সন্ধ্যা রানীর অভিযোগ এবং তার কথার মাঝে কিছুটা গরমিল রয়েছে।তদন্ত শেষ হলে বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া যাবে বলে ক্যাম্প পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান।

এ দিকে এ ধরণের হয়রানি বন্ধ ও বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সহ সর্বমহলের কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

পাইকগাছায় মন্দিরের কর্তৃত্ব নিয়ে দু’পক্ষের বিরোধ চরমে;লুটপাটের মামলা দিয়ে হয়রানি করার চেষ্টা

আপডেট সময় : ০৩:৪১:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ মে ২০২৩

পাইকগাছায় মন্দিরের কর্তৃত্ব নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়েছেন রাড়ুলী দক্ষিণপাড়া গ্রামের সনাতন ধর্মের শতাধিক পরিবার।এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে হামলা মামলার ঘটনা অব্যাহত রয়েছে।

ইতোমধ্যে প্রশাসন, থানা পুলিশ ও পূজা উদযাপন পরিষদ সৃষ্ঠ বিরোধ নিষ্পত্তির চেষ্টা করলেও কোন চেষ্টায় সফল হয়নি।

গত ৫মে হামলার ঘটনায় দু’পক্ষের মধ্যে পাল্টা-পাল্টি মামলা হয়।এ ঘটনার জের ধরে শিবপদ গংরা লুটপাটের মামলা দিয়ে বিকাশ গংদের হয়রানি করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকার লোকজন।

সৃষ্ঠ এ বিরোধ নিষ্পত্তি করতে না পারলে দু’পক্ষের মধ্যে পুনরায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ সহ চরম ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করছেন এলাকাবাসী।

প্রাপ্ত সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রাড়–লী ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া সার্বজনীন পূজা মন্দিরের কর্তৃত্ব নিয়ে দু’টি পক্ষের সৃষ্টি হয়েছে।অত্র মন্দিরের আওতায় এলাকায় ৮৭ পরিবার সনাতন ধর্মের মানুষ বসবাস করে।মন্দিরটির দীর্ঘদিন সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিল শিবপদ সরকার।শিবপদ-সত্যনন্দ গংদের পক্ষে রয়েছে ২২ পরিবার।অপরদিকে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে মন্দিরের কতর্ৃত্ব রয়েছে বিকাশ-পার্থ সরকার গংদের অনুকূলে।তাদের অনুকূলে রয়েছে ৬৫ পরিবার।ফসলী জমি ও পুকুর সহ মন্দিরের বেশ কিছু সম্পত্তি রয়েছে।যার কর্তৃত্ব নিয়ে বেশ অনেকদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে।বিরোধের কারণে বহু পরিবার মন্দিরে শান্তিপূর্ণভাবে পূজা অর্চনা করতে পারে না।বিরোধ নিয়ে দু’পক্ষই আদালতে মামলা করেছে।থানা পুলিশ ও প্রশাসনের সাথে একাধিক শালিশী বৈঠক হলেও এখনো পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ কোন সমাধান হয়নি।ফলে দু’পক্ষের বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে।

এর জের ধরে গত ৫ মে সন্ধ্যার দিকে এপিসি প্রাইমারী স্কুলের পিছনে শিবপদ গংদের লোকজন বিকাশ গংদের লোকজনের উপর হামলা করে।এতে তারা কুপিয়ে বিকাশ গংদের ৮জনকে গুরুতর জখম করে।

এ ঘটনায় বিকাশ বাদী হয়ে শিবপদ গংদের ১৪ জনকে আসামী করে থানায় মামলা করে।যার নং ১৩/১৪৫, তাং ০৬/০৫/২০২৩ ইং।

এ ঘটনায় সুচিত্রা ওরফে পুতুল বাদী হয়ে বিকাশ গংদের ৯জনকে আসামী করে পাল্টা মামলা করে।এ ঘটনার জের কাটতে না কাটতে লুটপাট মামলা

দিয়ে বিকাশ গংদের হয়রানি করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে শিবপদ গংদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন বিকাশ গংদের লোকজন।

মন্দির কমিটির সাবেক সম্পাদক দিলিপ সরকার জানান, সেপ্টেম্বর ২০২২ থেকে মন্দিরের কতর্ৃত্ব আমাদের অনুকূলে রয়েছে।শিবপদ গংরা আমাদের উপর হামলা করে ক্ষ্যান্ত হয়নি।তাদের অনুসারী সন্ধ্যা রানী সরদার লুটপাট মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি করার ষড়যন্ত্র করছে বলে জানতে পেরেছি।এ ধরণের হয়রানি বন্ধ না হলে এলাকা থেকে চলে যাওয়া ছাড়া আমাদের বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে বলে জানান নিলিমা সরদার।

সন্ধ্যা রানীর প্রতিবেশী গনেশ সরকার জানান, আমরা তার পাশেই বাস করি, কিন্তু ঘটনার দিন রাতে এমন কোন কিছু টের পায়নি।

দুখীরাম জানান, লুটপাট হলে শব্দ হয়, চিল্লাচিল্লি হয়, তেমন কিছুই আমরা শুনতে পায়নি।

ক্যাম্প ইনচার্জ ইমরান হোসেন জানান, সোমবার সকাল ১১ টায় ৯৯৯ ফোনের ভিত্তিতে আমি সন্ধ্যা রানীর বাড়ীতে যায়।তিনি অভিযোগ করেন ২১ মে রাত ২ টার দিকে ভয় দেখিয়ে তাকে জিম্মি করে ৪০ মন ধান ও স্বর্ণালংকার সহ তার বাড়ী থেকে বিভিন্ন মালামাল লুটপাট করা হয়েছে।বিষয়টি পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।তবে প্রাথমিক তদন্তে সন্ধ্যা রানীর অভিযোগ এবং তার কথার মাঝে কিছুটা গরমিল রয়েছে।তদন্ত শেষ হলে বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া যাবে বলে ক্যাম্প পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান।

এ দিকে এ ধরণের হয়রানি বন্ধ ও বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সহ সর্বমহলের কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।