ঢাকা ০৬:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ::
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল 'যমুনা প্রতিদিন ডট কম' এ আপনাকে স্বাগতম...
সংবাদ শিরোনাম ::
আনোয়ারায় চুরি ঠেকাতে রাত জেগে পাহারা দেন ইউপি সদস্য মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন ঠাকুরগাঁওয়ে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস পালন উপলক্ষ্যে আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণ নন্দীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা কবিতা: হেড স্যার একযুগ পর মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অপারেশন থিয়েটার চালু,প্রসুতি ময়নার সফল সিজার রায়গঞ্জে কাবিখা প্রকল্পে নাম মাত্র মাটি কর্তন করে সিংহভাগ টাকা হরিলুটের পাঁয়তারা রায়গঞ্জের শালিয়াগাড়ী মেলায় ইজারাদারদের দাপটে দোকানদাররা জিম্মি শার্শার সীমান্তে ১৪টি সোনার বার উদ্ধার সুনামগঞ্জ পৌরসভায় বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত চলচ্চিত্রে নতুন নায়িকা পারিশা

ব্যর্থতা কাটিয়ে জীবনে সফল হওয়ার উপায় : বাহাউদ্দীন তালুকদার

বাহাউদ্দীন তালুকদার :
  • আপডেট সময় : ১০:৪১:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ মে ২০২৩ ৮০৪ বার পড়া হয়েছে
যমুনা প্রতিদিন অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সফল হওয়া সহজ কাজ নয়।নারী বা পুরুষ যেকোন মানুষের জন্যই কঠিন কাজ সেটি।একজন নারীর জন্য সেটা আরো কঠিন।কিন্তু ব্যর্থতা কাটিয়ে জীবনে সফল হতে হলে কয়েকটি মূলমন্ত্র অনুসরণ করতে পারলে তা যে কাউকে সফল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য করবে।

১. “সবার আগে নিজেকে গুরুত্ব দিন”

জীবনের যে ক্ষেত্রেই আপনি সফল হতে চান, আপনাকে নিজের যত্ন নিতে শিখতে হবে।যদি আপনি নিজেকে সবচাইতে বেশি গুরুত্ব দিতে না পারেন, তাহলে আপনি জীবনের ভারসাম্য খুঁজে পাবেন না।এক্ষেত্রে নিজের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিতে হবে। সফল হতে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী জরুরী।এরপরই আসবে আপনার সবচাইতে কাছের মানুষেরা, মানে পরিবার ও ঘনিষ্ঠ মানুষেরা।তাদের জীবনের দৈনন্দিন খবরাখবর রাখুন।”যদিও হয়ত রোজ এ কাজটি করা কঠিন, তবু চেষ্টা করুন।এর পর শুরু করুন নিজের কাজ।

২. “সামনে এগিয়ে যাওয়া থামাবেন না”

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির অসউইজ কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প থেকে ফিরে আসা মনোবিজ্ঞানী এডিথ এজের নিজেকে সবসময় পর্বতারোহী মনে করেন।”একজন পর্বতারোহী যখন ওপরে উঠতে থাকেন, তিনি পিছলে পড়েন, দুই তিন ধাপ নিচে নেমে যান।কিন্তু ওপরে ওঠা থামান না তিনি।আমি সেরকম, পিছলে পড়ি কিন্তু ওপরে ওঠা থামাই না আমি, কোনদিন থামাবও না।৬০ ও ৭০ এর দশকে পশ্চিমা দেশগুলোতে নারীরা কাজ করেছেন পোশাক কারখানায়।অসউইজ কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে এডিথের বাবা মায়ের মৃত্যুদণ্ড হয়েছিল, তিনি বেঁচে যান।পরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসেন এবং মনোবিজ্ঞান নিয়ে পড়ালেখা করেন।”মানুষ আমাকে মারতে পারবে, অত্যাচার চালাতে পারবে।কিন্তু আমার আত্মা আর এগিয়ে যাবার চেতনা কেউ শেষ করে দিতে পারবে না।”

৩. “অন্যরা কী ভাবছে তা ভাবার দরকার নেই”

অন্যরা আপনার সম্পর্কে কী পাত্তা দেবার অত দরকার নেই।কারণ নিজের সম্পর্কে আপনার যে ধারণা তা অন্যের অনুমোদনের ছাড়াই আপনি বিশ্বাস করতে পারেন।”আমি ভাবি না অন্যেরা আমার সম্পর্কে কী ভাবছে।আমি আমার নিজের চেহারা পছন্দ করি, কিন্তু আরো বহু মানুষ তা পছন্দ করে না বলেই মনে হয়।”আমি বিশ্বাস করতে শিখেছি, আমাকে কেমন দেখায় সেটা সব সময় গুরুত্বপূর্ণ নয়।”আমার বন্ধু বা যারা আমাকে ভালোবাসে তাদের কাছেও সেটা ততটা বড় ব্যপার না।এটা মনে রাখা জরুরী বলে আমি মনে করি।”

৪. “দৃষ্টিভঙ্গি বদলান”

অনেক সময়ই কোন খারাপ মুহূর্তে আমরা ভাবি আমাদের কবর হয়ে গেছে, বা আমরা ডুবেছি।কিন্তু সেটা অন্যভাবে ভাবা যায়, যেমন আমরা ভাবতে পারি নতুন কোন কিছুর বীজ বোনা হয়েছে।”আমার স্থির বিশ্বাস, আপনাকে আসলে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আপনি নিজের জীবন বা সিদ্ধান্ত সম্পর্কে কেমন মনোভাব পোষণ করেন।ইতিবাচকভাবে দেখার অভ্যাস করা দরকার আমাদের।দৃষ্টিভঙ্গি বদলিয়ে ইতিবাচক হিসেবে দেখুন ব্যর্থতাকে।

“ডুবে যাওয়া বা বীজ বোনা-দুটোই কিন্তু মাটি বা পানির নিচে হচ্ছে।কিন্তু দুই ক্ষেত্রে দুই রকম মানে হয়, একটায় অত্যন্ত নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ পায়।অন্যটায় ইতিবাচক একটা মনোভাব বোঝা যায়, যা আপনার চিন্তা প্রক্রিয়ায় ছাপ ফেলে।”আমার জীবনে এমন অনেক মুহূর্তআছে যখন আমার মনে হয়েছে আমি মরে গেছি, কিন্তু সেসব মুহূর্তেই আবার আমি নতুন করে সব শুরু করেছি।”

৫. “ইতিবাচক মানুষের চারপাশে থাকুন”

কারো চারপাশে যদি ইতিবাচক মানুষ সব সময় থাকে, তাহলে নিজের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা কিংবা ব্যর্থতা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত থাকার কথা নয় তার।”আমার এজেন্সিতে আমরা এমন মানুষ নিয়োগ দেই, যারা আলো ছড়ান চারপাশে, যারা অন্যকে হীনমন্যতায় ডুবিয়ে দেন তাদের নয়।”যারা সব সময় সব পরিস্থিতিতে ইতিবাচক থাকেন, সব কাজ ‘পারব’ বলে রাজি হয়ে যান ও সেটা পাবার জন্য নিজের সেরাটা দেন এমন মানুষ পছন্দ আমাদের।”যারা নিজেরা এনার্জিতে ভরপুর থাকেন, তারা অন্যকেও উৎসাহ দিতে পারেন।যদি উন্নতি করতে চান, তাহলে যারা মনমরা থাকেন বা অহমপূর্ণ আচরণ করেন তাদের থেকে দূরে থাকুন।”

৬. “মাথা খাটান”

যেকোন পরিস্থিতিতে নিজের বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করুন। “আমার মা বলতেন আমরা কোথায় যাব জানি না, আমাদের জীবনে কী ঘটবে আমরা জানি না।কিন্তু আমাদের মাথার ভেতরে কী আছে সেটা যেমন অন্যরা জানে না, তেমনি সেটা কেউ ছিনিয়ে নিতেও পারবে না।কিন্তু আমি সবাইকে বলি মানুষের সবচেয়ে বড় শক্তি তার মাথা খাটানোর ক্ষমতা।”

৭. “নিজেকে মাঝে-মধ্যে ছুটি দিন”

একজন মানুষ সব সময় একই রকমভাবে সফল হবে না, সেটা সম্ভব নয়।আর সফল না হতে পারলে মুষড়ে পড়ার কিছু নেই।”আমাদের সব সময় শেখানো হয় আমাদের সবকিছু পারতে হবে।আমাদের সব সময় সৃষ্টিশীল হতে হবে।কিন্তু আমাদের তো বিশ্রাম আর নতুন করে ভাবার জন্যেও সময় চাই।”নিজের ভেতরকার শূণ্যতা পূরণের জন্য সময় দরকার একজন মানুষের, সেই সাথে নিজের কাজকর্ম মূল্যায়নের জন্যেও তো অবসর লাগে।সেটা দিনের শেষে পাঁচ মিনিট সময় হতে পারে, আলাদা করে ভাবুন সারাদিনে কী কী কাজ করলেন, কেমন ভাবে করলেন, আরো ভালোভাবে কিভাবে করা যেত।এই সময়ে ফোন ঘাটা বাদ দিয়ে, টিভি না দেখে কেবলই নিজেকে কিছুটা সময় দিন।

৮. “ব্যর্থতা জীবনের শেষ কথা নয়”

কোন কাজে ব্যর্থ হলে ভাববেন না আপনার জীবন শেষ।বরং ভাবুন এটা আপনার জীবনের একটা ‘কমা’ মানে স্বল্প বিরতি, ‘ফুলস্টপ’ বা শেষ নয়।”আমি সব সময় নিজেকে বলি, কোনকিছু ‘নেতিবাচক’ হওয়া মানে সেটা ‘না’ হয়, বরং সেটা হচ্ছে ‘এখন নয়’।এখন বা এই মুহূর্তে হয়নি বা হওয়ার সম্ভাবনা নেই এমন কিছু কাল হবে না, তার কোন মানে নেই।

লেখকঃ- বাহাউদ্দীন তালুকদার
সিনিয়র রিপোর্টার : দৈনিক অগ্নিশিখা
সাবেক মফস্বল সম্পাদক : দৈনিক আমাদের নতুন সময়।
সাবেক বার্তা সম্পাদক : দৈনিক সরেজমিন বার্তা
সদস্য : ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)
সদস্য : বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ব্যর্থতা কাটিয়ে জীবনে সফল হওয়ার উপায় : বাহাউদ্দীন তালুকদার

আপডেট সময় : ১০:৪১:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ মে ২০২৩

সফল হওয়া সহজ কাজ নয়।নারী বা পুরুষ যেকোন মানুষের জন্যই কঠিন কাজ সেটি।একজন নারীর জন্য সেটা আরো কঠিন।কিন্তু ব্যর্থতা কাটিয়ে জীবনে সফল হতে হলে কয়েকটি মূলমন্ত্র অনুসরণ করতে পারলে তা যে কাউকে সফল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য করবে।

১. “সবার আগে নিজেকে গুরুত্ব দিন”

জীবনের যে ক্ষেত্রেই আপনি সফল হতে চান, আপনাকে নিজের যত্ন নিতে শিখতে হবে।যদি আপনি নিজেকে সবচাইতে বেশি গুরুত্ব দিতে না পারেন, তাহলে আপনি জীবনের ভারসাম্য খুঁজে পাবেন না।এক্ষেত্রে নিজের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিতে হবে। সফল হতে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী জরুরী।এরপরই আসবে আপনার সবচাইতে কাছের মানুষেরা, মানে পরিবার ও ঘনিষ্ঠ মানুষেরা।তাদের জীবনের দৈনন্দিন খবরাখবর রাখুন।”যদিও হয়ত রোজ এ কাজটি করা কঠিন, তবু চেষ্টা করুন।এর পর শুরু করুন নিজের কাজ।

২. “সামনে এগিয়ে যাওয়া থামাবেন না”

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির অসউইজ কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প থেকে ফিরে আসা মনোবিজ্ঞানী এডিথ এজের নিজেকে সবসময় পর্বতারোহী মনে করেন।”একজন পর্বতারোহী যখন ওপরে উঠতে থাকেন, তিনি পিছলে পড়েন, দুই তিন ধাপ নিচে নেমে যান।কিন্তু ওপরে ওঠা থামান না তিনি।আমি সেরকম, পিছলে পড়ি কিন্তু ওপরে ওঠা থামাই না আমি, কোনদিন থামাবও না।৬০ ও ৭০ এর দশকে পশ্চিমা দেশগুলোতে নারীরা কাজ করেছেন পোশাক কারখানায়।অসউইজ কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে এডিথের বাবা মায়ের মৃত্যুদণ্ড হয়েছিল, তিনি বেঁচে যান।পরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসেন এবং মনোবিজ্ঞান নিয়ে পড়ালেখা করেন।”মানুষ আমাকে মারতে পারবে, অত্যাচার চালাতে পারবে।কিন্তু আমার আত্মা আর এগিয়ে যাবার চেতনা কেউ শেষ করে দিতে পারবে না।”

৩. “অন্যরা কী ভাবছে তা ভাবার দরকার নেই”

অন্যরা আপনার সম্পর্কে কী পাত্তা দেবার অত দরকার নেই।কারণ নিজের সম্পর্কে আপনার যে ধারণা তা অন্যের অনুমোদনের ছাড়াই আপনি বিশ্বাস করতে পারেন।”আমি ভাবি না অন্যেরা আমার সম্পর্কে কী ভাবছে।আমি আমার নিজের চেহারা পছন্দ করি, কিন্তু আরো বহু মানুষ তা পছন্দ করে না বলেই মনে হয়।”আমি বিশ্বাস করতে শিখেছি, আমাকে কেমন দেখায় সেটা সব সময় গুরুত্বপূর্ণ নয়।”আমার বন্ধু বা যারা আমাকে ভালোবাসে তাদের কাছেও সেটা ততটা বড় ব্যপার না।এটা মনে রাখা জরুরী বলে আমি মনে করি।”

৪. “দৃষ্টিভঙ্গি বদলান”

অনেক সময়ই কোন খারাপ মুহূর্তে আমরা ভাবি আমাদের কবর হয়ে গেছে, বা আমরা ডুবেছি।কিন্তু সেটা অন্যভাবে ভাবা যায়, যেমন আমরা ভাবতে পারি নতুন কোন কিছুর বীজ বোনা হয়েছে।”আমার স্থির বিশ্বাস, আপনাকে আসলে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আপনি নিজের জীবন বা সিদ্ধান্ত সম্পর্কে কেমন মনোভাব পোষণ করেন।ইতিবাচকভাবে দেখার অভ্যাস করা দরকার আমাদের।দৃষ্টিভঙ্গি বদলিয়ে ইতিবাচক হিসেবে দেখুন ব্যর্থতাকে।

“ডুবে যাওয়া বা বীজ বোনা-দুটোই কিন্তু মাটি বা পানির নিচে হচ্ছে।কিন্তু দুই ক্ষেত্রে দুই রকম মানে হয়, একটায় অত্যন্ত নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ পায়।অন্যটায় ইতিবাচক একটা মনোভাব বোঝা যায়, যা আপনার চিন্তা প্রক্রিয়ায় ছাপ ফেলে।”আমার জীবনে এমন অনেক মুহূর্তআছে যখন আমার মনে হয়েছে আমি মরে গেছি, কিন্তু সেসব মুহূর্তেই আবার আমি নতুন করে সব শুরু করেছি।”

৫. “ইতিবাচক মানুষের চারপাশে থাকুন”

কারো চারপাশে যদি ইতিবাচক মানুষ সব সময় থাকে, তাহলে নিজের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা কিংবা ব্যর্থতা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত থাকার কথা নয় তার।”আমার এজেন্সিতে আমরা এমন মানুষ নিয়োগ দেই, যারা আলো ছড়ান চারপাশে, যারা অন্যকে হীনমন্যতায় ডুবিয়ে দেন তাদের নয়।”যারা সব সময় সব পরিস্থিতিতে ইতিবাচক থাকেন, সব কাজ ‘পারব’ বলে রাজি হয়ে যান ও সেটা পাবার জন্য নিজের সেরাটা দেন এমন মানুষ পছন্দ আমাদের।”যারা নিজেরা এনার্জিতে ভরপুর থাকেন, তারা অন্যকেও উৎসাহ দিতে পারেন।যদি উন্নতি করতে চান, তাহলে যারা মনমরা থাকেন বা অহমপূর্ণ আচরণ করেন তাদের থেকে দূরে থাকুন।”

৬. “মাথা খাটান”

যেকোন পরিস্থিতিতে নিজের বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করুন। “আমার মা বলতেন আমরা কোথায় যাব জানি না, আমাদের জীবনে কী ঘটবে আমরা জানি না।কিন্তু আমাদের মাথার ভেতরে কী আছে সেটা যেমন অন্যরা জানে না, তেমনি সেটা কেউ ছিনিয়ে নিতেও পারবে না।কিন্তু আমি সবাইকে বলি মানুষের সবচেয়ে বড় শক্তি তার মাথা খাটানোর ক্ষমতা।”

৭. “নিজেকে মাঝে-মধ্যে ছুটি দিন”

একজন মানুষ সব সময় একই রকমভাবে সফল হবে না, সেটা সম্ভব নয়।আর সফল না হতে পারলে মুষড়ে পড়ার কিছু নেই।”আমাদের সব সময় শেখানো হয় আমাদের সবকিছু পারতে হবে।আমাদের সব সময় সৃষ্টিশীল হতে হবে।কিন্তু আমাদের তো বিশ্রাম আর নতুন করে ভাবার জন্যেও সময় চাই।”নিজের ভেতরকার শূণ্যতা পূরণের জন্য সময় দরকার একজন মানুষের, সেই সাথে নিজের কাজকর্ম মূল্যায়নের জন্যেও তো অবসর লাগে।সেটা দিনের শেষে পাঁচ মিনিট সময় হতে পারে, আলাদা করে ভাবুন সারাদিনে কী কী কাজ করলেন, কেমন ভাবে করলেন, আরো ভালোভাবে কিভাবে করা যেত।এই সময়ে ফোন ঘাটা বাদ দিয়ে, টিভি না দেখে কেবলই নিজেকে কিছুটা সময় দিন।

৮. “ব্যর্থতা জীবনের শেষ কথা নয়”

কোন কাজে ব্যর্থ হলে ভাববেন না আপনার জীবন শেষ।বরং ভাবুন এটা আপনার জীবনের একটা ‘কমা’ মানে স্বল্প বিরতি, ‘ফুলস্টপ’ বা শেষ নয়।”আমি সব সময় নিজেকে বলি, কোনকিছু ‘নেতিবাচক’ হওয়া মানে সেটা ‘না’ হয়, বরং সেটা হচ্ছে ‘এখন নয়’।এখন বা এই মুহূর্তে হয়নি বা হওয়ার সম্ভাবনা নেই এমন কিছু কাল হবে না, তার কোন মানে নেই।

লেখকঃ- বাহাউদ্দীন তালুকদার
সিনিয়র রিপোর্টার : দৈনিক অগ্নিশিখা
সাবেক মফস্বল সম্পাদক : দৈনিক আমাদের নতুন সময়।
সাবেক বার্তা সম্পাদক : দৈনিক সরেজমিন বার্তা
সদস্য : ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)
সদস্য : বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)।