ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার কাতিহার মাধবপুরের মামলুত নামে এক গ্রাম্য কবিরাজের ভুল চিকিৎসায় এক অসহায় অন্ধ প্রতিবন্ধী রোগীকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে দিনাজপুর এম.আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা নিরিক্ষা করে বলছে এই রোগী লিভার সমস্যাজনিত রোগে ভুগতেছেন।অত:পর ওই হাসপাতালেই লিভারের সমস্যা নিয়ে চিকিৎসাধীর রয়েছেন তিনি।
এদিকে পারিবারিক দারিদ্রতার কারণে প্রতিবন্ধীর পরিবারের পক্ষ থেকে চিকিৎসার খরচ যোগাতে কোনমতেই সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান পরিবারের সদস্যরা।
শুক্রবার (১৯ মে) সরেজমিনে গেলে প্রতিবদ্ধীর ভাই শামসুল হক বলেন মাসখানের পূর্বে ঘন প্রসাবের যন্ত্রনায় স্থানীয় কবিরাজ মামলুতের নিকট আমার অন্ধ প্রতিবদ্ধী ভাই আমিরুল ইসলাম (৩৮) কবিরাজি ঔষুধ খায়।
এরপর হতে তার পেট ফুলতে থাকে বর্তমানে চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর এম.আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।সেখানকার মেডিসিন বিভাগের কর্তব্যরত চিকিকিৎসক ডাঃ ফজলে এলাহী জানান ভুল কবিরাজি চিকিৎসার কারণে আমিরুলের পেট ফুলা, লিভার ফুলা ও পেটের নারীগুলির পচন ধরেছে।তবে আমরা সাধ্যমত চিকিৎসা দিচ্ছি।
ঘটনাস্থলে জাকিন নামে এক প্রতিবেশি বলেন, আমাদের কাতিহার বাজারে কবিরাজের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে।সামান্য গাছ গাছালি দিয়েই চিকিৎসার নামে তারা অনেকের কাছে নগদে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ।এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
এ প্রসঙ্গে প্রতিবন্ধীর কবিরাজ (চিকিৎসক) মামলুত জানান, ঘন প্রসাবের কারণে প্রতিবন্ধী আমিরুলকে হরতোকি, বহরা ও বেলের চাম খাওয়ানো হয়েছিল।তাছাড়া আমিতো এত বড় কবিরাজ নই।অন্যের কাছে ওষুধ নিয়ে ছামে কুটে রোগীদের ওষুধ দেই।আমার কোন সরকারি বৈধ্য লাইসেন্স নেই শহরের বকুল কবিরাজ আমার গুরু।
এ বিষয়ে রাণীশংকৈল হাসপাতালের আরএমও ডাঃ ফিরোজ আলম বলেন, কবিরাজদের কোন চিকিৎসার বৈধ্যতা থাকেনা, তারা মুখের উপর চলে।তাছাড়া হরতোকি, বহরা ও বেলের চাম এক সাথে খেলে কিডনি ও লিভারের সমস্যা হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, এরকম গ্রাম্য কবিরাজদের ভুল চিকিৎসার জন্য তাদের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।