শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৭:৩২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
রাজশাহীতে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের মাঝে গ্লুকোজ বিতরণ রাজশাহীতে দৈনিক মানবিক বাংলাদেশ পত্রিকার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন দুর্গাপুরে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে রাতের আঁধারে আবাদি জমিতে পুকুর খনন মোহনপুরে মদ্যপান অবস্থায় বাইক আরোহী নিহত,আহত ২ মান্দায় মহান মে দিবস পালিত মে দিবসে খাবার স্যালাইন,ক্যাপ ও পানি বিতরণ করল রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড জাতীয় শ্রমিক লীগ রাজশাহী মহানগরের উদ্যোগে মহান মে দিবস পালন সারিয়াকান্দিতে দর্জি শ্রমিক ইউনিয়নের মহান মে দিবসে র‌্যালি ও শ্রমিক সমাবেশ সারিয়াকান্দিতে মে দিবস উপলক্ষে শ্রমিক দলের র‍্যালী ও শ্রমিক সমাবেশ সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
নোটিশ :
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘যমুনা প্রতিদিন ডট কম’

দুমকিতে তরমুজের বাম্পার ফলন

পটুয়াখালীর দুমকিতে আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের আঙ্গারিয়া গ্রামে পায়রা নদীর তীরে বিস্তীর্ণ চরে প্রায় ৯৬ বিঘা জমিতে তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে।

ক্ষেতজুড়ে গাছের লতায় লতায় ফুল আর তরমুজ।বিস্তীর্ণ প্রান্তর জুড়ে যতদূর চোখ যায় যেন, সবুজের সমারোহ।দিন যতই যাচ্ছে তরমুজের আকার বেশ বড় হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একসময়ে রবি মৌসুমে খালি পড়ে থাকা বিস্তীর্ণ চরে চাষাবাদ করা হয়েছে তরমুজের।সেচ ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ওই তরমুজ চাষিরা।বড় আকারের তরমুজের ওজন প্রায় ৫ কেজি হয়ে গেছে।আর ৮-১০দিন পরেই তরমুজের আকার আরও বড় হবে।সেই সাথে বাজারেও বিক্রি করা যাবে এই তরমুজ।

চাষিদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, গলাচিপা উপজেলার বোয়ালিয়া সদর ইউনিয়নের হাফেজ গাজী, হিরন মোল্লা, ইসা মুন্সী নামের তিন ভাই ও তাদের ভাগ্নে শাহিন মোল্লা লীজ নিয়ে ওই জমিতে তরমুজের চাষ করেছেন।এছাড়াও উপজেলার মুরাদিয়ায় পাঙ্গাশিয়ায়, পাতাবুনিয়ায়, জলিশায়ও স্থানীয় চাষিরা তরমুজের চাষ করেছেন।তবে তা স্বল্প পরিসরে।

তরমুজ চাষি হাফেজ গাজী জানান, গেল ১৫-১৬ বছর ধরে আমি একাই তরমুজ চাষ করে আসছিলাম।তবে ৫ বিঘার বেশি জমি একা চাষাবাদ করতে পারিনি।চলতি মৌসুমে চার জন মিলে এক হয়ে জমি লীজ নিয়ে তরমুজ চাষ করেছি।সার, কীটনাশক, শ্রমিক খরচসহ সবকিছু মিলিয়ে আমাদের প্রায় অর্ধকোটি টাকার ওপরে ব্যয় হয়েছে।আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ৭০-৮০ গাড়ী তরমুজ হবে বলে আশা রাখি।যার বাজার মূল্য ৭০-৮০ লাখ টাকার ওপরে।

অপর তরমুজ চাষি শাহিন মোল্লা জানান, জমিতে ধান পাট চাষ করতে যে খরচ হয় তরমুজ চাষে খরচ হয় তার অর্ধেক, মুনাফা হয় বেশি।তবে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারনে এবারে খরচ বেশি হয়েছে।তারপরেও আশা করছি কাঙ্খিত ফলন এবং লাভ হবে।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শেখর চন্দ্র দাস বলেন, পুঁথিগত বিদ্যা ও বাস্তব জ্ঞানের আলোকে তাদের নিয়মিত সার্বিক পরামর্শ দিয়ে আসছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মেহের মালিকা বলেন, ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করলে সফলতা আসবেই।তাদের ঐক্যবদ্ধ পরিশ্রম তা প্রমাণ করেছে।

চার চাষির সফলতা কামনা করে তিনি আরও বলেন, কৃষক তাদের উচ্চ মূল্যের ফসল যাতে লাভজনক অবস্থায় নির্বিঘ্নে ঘরে তুলতে পরে সেজন্য কৃষি বিভাগের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 − six =


অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ

x