ঢাকা ১০:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩, ১২ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ::
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল 'যমুনা প্রতিদিন ডট কম' এ আপনাকে স্বাগতম...
সংবাদ শিরোনাম ::
কালীগঞ্জে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ,স্থানীয় দালাল চক্রের রফাদফার চেষ্টা দান-সাদকায় মানুষের দুনিয়া ও পরকালের জীবন হয় সম্মান ও গৌরব মণ্ডিত সাংবাদিককে রেল কর্মকর্তার হুমকির প্রেক্ষিতে মহাপরিচালক বরাবর অভিযোগ ৪০০ পথচারী রোজাদারের হাতে ইফতারি তুলে দিলেন  মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত মান্দায় প্রতিপক্ষের মারপিটে নারীসহ আহত ৫ সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়া গলাচিপায় জেলা প্রশাসককে ফুলেল শুভেচ্ছা ঈশ্বরদীতে একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৮ শিক্ষক-কর্মচারীকে শোকজ মোরেলগঞ্জে বিশ্ব যক্ষা দিবস পালন

দুমকিতে তরমুজের বাম্পার ফলন

দুমকি(পটুয়াখালী)প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৯:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ৬৬ বার পড়া হয়েছে
যমুনা প্রতিদিন অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পটুয়াখালীর দুমকিতে আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের আঙ্গারিয়া গ্রামে পায়রা নদীর তীরে বিস্তীর্ণ চরে প্রায় ৯৬ বিঘা জমিতে তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে।

ক্ষেতজুড়ে গাছের লতায় লতায় ফুল আর তরমুজ।বিস্তীর্ণ প্রান্তর জুড়ে যতদূর চোখ যায় যেন, সবুজের সমারোহ।দিন যতই যাচ্ছে তরমুজের আকার বেশ বড় হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একসময়ে রবি মৌসুমে খালি পড়ে থাকা বিস্তীর্ণ চরে চাষাবাদ করা হয়েছে তরমুজের।সেচ ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ওই তরমুজ চাষিরা।বড় আকারের তরমুজের ওজন প্রায় ৫ কেজি হয়ে গেছে।আর ৮-১০দিন পরেই তরমুজের আকার আরও বড় হবে।সেই সাথে বাজারেও বিক্রি করা যাবে এই তরমুজ।

চাষিদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, গলাচিপা উপজেলার বোয়ালিয়া সদর ইউনিয়নের হাফেজ গাজী, হিরন মোল্লা, ইসা মুন্সী নামের তিন ভাই ও তাদের ভাগ্নে শাহিন মোল্লা লীজ নিয়ে ওই জমিতে তরমুজের চাষ করেছেন।এছাড়াও উপজেলার মুরাদিয়ায় পাঙ্গাশিয়ায়, পাতাবুনিয়ায়, জলিশায়ও স্থানীয় চাষিরা তরমুজের চাষ করেছেন।তবে তা স্বল্প পরিসরে।

তরমুজ চাষি হাফেজ গাজী জানান, গেল ১৫-১৬ বছর ধরে আমি একাই তরমুজ চাষ করে আসছিলাম।তবে ৫ বিঘার বেশি জমি একা চাষাবাদ করতে পারিনি।চলতি মৌসুমে চার জন মিলে এক হয়ে জমি লীজ নিয়ে তরমুজ চাষ করেছি।সার, কীটনাশক, শ্রমিক খরচসহ সবকিছু মিলিয়ে আমাদের প্রায় অর্ধকোটি টাকার ওপরে ব্যয় হয়েছে।আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ৭০-৮০ গাড়ী তরমুজ হবে বলে আশা রাখি।যার বাজার মূল্য ৭০-৮০ লাখ টাকার ওপরে।

অপর তরমুজ চাষি শাহিন মোল্লা জানান, জমিতে ধান পাট চাষ করতে যে খরচ হয় তরমুজ চাষে খরচ হয় তার অর্ধেক, মুনাফা হয় বেশি।তবে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারনে এবারে খরচ বেশি হয়েছে।তারপরেও আশা করছি কাঙ্খিত ফলন এবং লাভ হবে।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শেখর চন্দ্র দাস বলেন, পুঁথিগত বিদ্যা ও বাস্তব জ্ঞানের আলোকে তাদের নিয়মিত সার্বিক পরামর্শ দিয়ে আসছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মেহের মালিকা বলেন, ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করলে সফলতা আসবেই।তাদের ঐক্যবদ্ধ পরিশ্রম তা প্রমাণ করেছে।

চার চাষির সফলতা কামনা করে তিনি আরও বলেন, কৃষক তাদের উচ্চ মূল্যের ফসল যাতে লাভজনক অবস্থায় নির্বিঘ্নে ঘরে তুলতে পরে সেজন্য কৃষি বিভাগের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

দুমকিতে তরমুজের বাম্পার ফলন

আপডেট সময় : ০৭:৫৯:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

পটুয়াখালীর দুমকিতে আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের আঙ্গারিয়া গ্রামে পায়রা নদীর তীরে বিস্তীর্ণ চরে প্রায় ৯৬ বিঘা জমিতে তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে।

ক্ষেতজুড়ে গাছের লতায় লতায় ফুল আর তরমুজ।বিস্তীর্ণ প্রান্তর জুড়ে যতদূর চোখ যায় যেন, সবুজের সমারোহ।দিন যতই যাচ্ছে তরমুজের আকার বেশ বড় হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একসময়ে রবি মৌসুমে খালি পড়ে থাকা বিস্তীর্ণ চরে চাষাবাদ করা হয়েছে তরমুজের।সেচ ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ওই তরমুজ চাষিরা।বড় আকারের তরমুজের ওজন প্রায় ৫ কেজি হয়ে গেছে।আর ৮-১০দিন পরেই তরমুজের আকার আরও বড় হবে।সেই সাথে বাজারেও বিক্রি করা যাবে এই তরমুজ।

চাষিদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, গলাচিপা উপজেলার বোয়ালিয়া সদর ইউনিয়নের হাফেজ গাজী, হিরন মোল্লা, ইসা মুন্সী নামের তিন ভাই ও তাদের ভাগ্নে শাহিন মোল্লা লীজ নিয়ে ওই জমিতে তরমুজের চাষ করেছেন।এছাড়াও উপজেলার মুরাদিয়ায় পাঙ্গাশিয়ায়, পাতাবুনিয়ায়, জলিশায়ও স্থানীয় চাষিরা তরমুজের চাষ করেছেন।তবে তা স্বল্প পরিসরে।

তরমুজ চাষি হাফেজ গাজী জানান, গেল ১৫-১৬ বছর ধরে আমি একাই তরমুজ চাষ করে আসছিলাম।তবে ৫ বিঘার বেশি জমি একা চাষাবাদ করতে পারিনি।চলতি মৌসুমে চার জন মিলে এক হয়ে জমি লীজ নিয়ে তরমুজ চাষ করেছি।সার, কীটনাশক, শ্রমিক খরচসহ সবকিছু মিলিয়ে আমাদের প্রায় অর্ধকোটি টাকার ওপরে ব্যয় হয়েছে।আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ৭০-৮০ গাড়ী তরমুজ হবে বলে আশা রাখি।যার বাজার মূল্য ৭০-৮০ লাখ টাকার ওপরে।

অপর তরমুজ চাষি শাহিন মোল্লা জানান, জমিতে ধান পাট চাষ করতে যে খরচ হয় তরমুজ চাষে খরচ হয় তার অর্ধেক, মুনাফা হয় বেশি।তবে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারনে এবারে খরচ বেশি হয়েছে।তারপরেও আশা করছি কাঙ্খিত ফলন এবং লাভ হবে।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শেখর চন্দ্র দাস বলেন, পুঁথিগত বিদ্যা ও বাস্তব জ্ঞানের আলোকে তাদের নিয়মিত সার্বিক পরামর্শ দিয়ে আসছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মেহের মালিকা বলেন, ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করলে সফলতা আসবেই।তাদের ঐক্যবদ্ধ পরিশ্রম তা প্রমাণ করেছে।

চার চাষির সফলতা কামনা করে তিনি আরও বলেন, কৃষক তাদের উচ্চ মূল্যের ফসল যাতে লাভজনক অবস্থায় নির্বিঘ্নে ঘরে তুলতে পরে সেজন্য কৃষি বিভাগের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।