অফিসের জনবল কম থাকার পরেও চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে সেবা নিয়ে হাসি মুখে ঘরে ফিরছে প্রতিটি গ্রাহক।
জানা গেছে, গত একমাসে ৫০২৪ টি আবেদন জমা পড়ে তার মধ্যে ৪৪৮৪ টি পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়েছে বাকি ৫৪০ আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।তার মধ্যে ৩৫২ টি জরুরী ই-পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস গিয়ে সরেজমিনে দেখা যায় দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে লোকজন পাসপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে।
পাসপোর্ট অফিসের সহকারী কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান জানান, আমাদের পাসপোর্ট অফিসে কোনো প্রকার হয়রানী ছাড়া দালাল বিহীন সেবা মিলছে।তবে অফিসে জনবল কম থাকার পরেও আমরা সাধ্যমত কাজ চালিয়ে যাচ্ছি এবং দালান চক্রের হাত থেকে গ্রাহকদের দুরত্ব বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ব্যাবস্হা গ্রহণ করছি।আবেদন জমা কারি গ্রাহকরা বলছে জনবল কম থাকার কারণে সেবা গ্রহীতাদের দুর্ভোগ বেড়েছে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আবেদন জমা দেওয়া নেওয়ার কাজ চলছে।ফলে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে।সেইসাথে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের বাইরে ফরম পূরণ করছে বেশ কিছু কম্পিউটার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান তারা জানায় আমারা নির্ভুলভাবে ফরম পূরণ করে দিচ্ছে খুশি হয়ে অনেকে ন্যায্য মূলের চেয়েও ৫০/১০০ টাকা বাড়তি প্রদান পূর্বক সন্তোষ প্রকাশ করছেন।
এতে করে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সেবা গ্রহিতাদের মধ্যে অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায়, নির্ভুল সেবা পেয়ে তারা অনেকটা সন্তুষ্ট, তবে গ্রাহকদের দাবি দ্রুত জনবল বৃদ্ধি করা সেই সাথে অভ্যন্তরীণ পরিবেশের দিকে কর্তৃপক্ষর সুদৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
পাসপোর্ট অফিসের সহকারী কর্মকর্তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, লোকবল সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন।
এবিষয়ে বিশিষ্ট সাংবাদিক সমকালের এ কে এস রোকন বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে জনবল কম থাকলেও তাদের সেবার মান অক্ষুণ্ণ রয়েছে।তবে সেবা দেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জনবল সংকটে সেবা কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত আমরা আশা করছি সরকার এ অঞ্চেলের মানুষের কথা ভেবে সরকারি প্রতিটি অফিসের শুন্য পদে নিয়োগ দিয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ বাসীর দাবি অবিলম্বে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে জনবল নিয়োগ দিয়ে এ অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগের হাত থেকে রক্ষা করতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে।