আসছে ১৬ মার্চ দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে হালুয়াঘাট পৌরসভার নির্বাচন।এতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান পৌর মেয়র মো. খাইরুল আলম ভূঞা।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মনোনয়ন প্রাপ্তির বিষয়টি জানানো হয়।
এর আগে বিকেল ৪টায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসবভনে অনুষ্ঠিত হয়।সভায় সভাপতিত্ব করেন মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মনোনয়ন প্রাপ্তির খবরে উদ্ছাসিত মেয়র সমর্থকদের।
গত ২৩ জানুয়ারি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী উপজেলার হালুয়াঘাট পৌরসভার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।এর পর থেকে শুরু হয় সম্ভাব্য আওয়ামী প্রার্থীদের দৌড়যাপ।
সীমান্তবর্তী এই পৌরসভা গঠিত হয় ২০১৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর।কিন্তু সীমানা জটিলতা থাকায় দীর্ঘ ৪ বছর নির্বাচন কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর সীমানা জটিলতা নিরসন শেষে ২০১৮ সালের ২৯ মার্চ প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয় পৌর নির্বাচন।এতে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেন মো. খায়রুল আলম ভূঞা।ওই নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১৪৪২৭ জন। এর মধ্যে ভোট প্রয়োগ হয়েছিল ১১১০৮ জন।শতকরা প্রায় ৭৭ শতাংশ।তিনি (নৌকা) প্রতীকে তিন হাজার ৮৩৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়ে প্রথমবারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী বিএনপির মনোনীত প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুল হামিদ (ধানের শীষ) পেয়েছেন তিন হাজার ৫১ ভোট।
নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ১৭ হাজার ৯৫৪ জন। ১৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন।এতে সকল ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ১৯ ফেব্রুয়ারি।মনোনয়নপত্র বাছাই ২০ ফেব্রুয়ারি ও প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৭ ফেব্রুয়ারি।পরে ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রাপ্তির বিষয়ে জানতে চাইলে খায়রুল আলম ভূঞা বলেন, আমি প্রথম বারের মতো মেয়র হয় নৌকা প্রতীক নিয়ে।আমি চেষ্ঠা করেছি পৌরসভাকে এগিয়ে নেওয়ার।হালুয়াঘাট পৌরসভা সি থেকে বি ক্যাটাগরিতে উত্তীর্ণ হয়।আমি যদি আবারো নির্বাচিত হই তাহলে পৌরসভাকে প্রথম শ্রেণীতে রূপান্তর করব।আমি আশা করি পৌরবাসী নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবে।