সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় নির্মাণাধীন গোবিন্দগঞ্জ হসপিটালে আরো ১৪ জন পরিচালক পদে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন হসপিটালের চেয়ারম্যান কাজী আঙ্গুর মিয়া।
রোববার সকালে ৪ তলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট নান্দনিক ভবনের ২য় তলার ছাদ ঢালাই কাজের পরিদর্শন কালে তিনি এই আহবান জানান।
আগামী বছরের জানুয়ারী মাসেই হসপিটালের আনুষ্টানিক কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন নির্মাণাধীন গোবিন্দগঞ্জ হসপিটালের চেয়ারম্যান কাজী আঙ্গুর মিয়া।
জানা যায়, আধুনিক ও উন্নত চিকিৎসা সেবা মানুষের দোর গোড়ায় পৌছে দিতে উপজেলার গোবিন্দগঞ্জে, প্রায় দেড় একর নিজস্ব জায়গার উপর ২৫ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মাণাধিন অত্যাধুনিক গোবিন্দগঞ্জ হসপিটাল।২৭ হাজার স্কয়ার ফিট জায়গা জুড়ে ৪ তলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট নান্দনিক এই ভবনের ২য় তলার ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে।
দেশের অর্থনীতির বিস্ময়কর অগ্রযাত্রা যে কয়টি খাতের ওপর নির্ভরশীল তার মধ্যে অন্যতম রেমিটেন্স বা প্রবাসী আয়।যাদের ঘাম ও শ্রমে উপার্জিত অর্থ দেশে এলেই তাকে আমরা প্রবাসী আয় বা রেমিটেন্স বলে থাকি।দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে প্রবাসীরা।তুলনামূলকভাবে কম খরচে পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ সব স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের দৃষ্টিভঙ্গিকে সামনে রেখেই বেশ কয়েকজন রেমিটেন্স যোদ্ধাদের উদ্দ্যোগে গড়ে উঠছে গোবিন্দগঞ্জ হসপিটাল।
নির্মানাধিন অত্যাধুনিক গোবিন্দগঞ্জ হসপিটালের পরিচালক হলেন, কাজী আঙ্গুর মিয়া, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আইয়ুব করম আলী, কাজী ডা: মোহাম্মদ টুনু মিয়া, আখলাকুর রহমান, ওমর আলী, মো. রইছ আলী, হাজী মোর্হারম আলী, মো. আব্দুল মজিদ, মো. আব্দুল আহাদ, কাজী মোছা: কামিলা রহমান, মো. খালিক মিয়া, মো. আব্দুল মনাফ, মোছা: রোকসানা মনাফ, মো. আব্দুল আজিজ, মো. আব্দুর রউফ, মো. ছৈয়দ ফখরুল আলম, মো. আব্দুর নুর, মো. মাসুক আহমেদ, কাজী মোছা: সাফিয়া বেগম, কাজী মো. সুহান রহমান, মোছা: জোৎসনা বেগম প্রমুখ।
নির্মানাধিন গোবিন্দগঞ্জ হসপিটাল হাওরাঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবার অনন্য প্রতিষ্ঠানে রূপ নেবে।এই অঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষের আস্থার ঠিকানায় পরিনত হবে মনে করছেন নির্মাণাধীন গোবিন্দগঞ্জ হসপিটাল সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে নির্মাণাধীন গোবিন্দগঞ্জ হসপিটালে চেয়ারম্যান কাজী আঙ্গুর মিয়া বলেন, এ পর্যন্ত আমরা ৩৬ জন পরিচালক রয়েছে।সর্বমোট পঞ্চাশ জন পরিচালক পরিচালক পর্যন্ত আমারা সীমাবদ্ধ।দেশ ও বিশেষ করে প্রাবসীদের পরিচালক পদে এগিয়ে আসার আহবান জানান।