নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানায় সালিসি বৈঠক শেষে দুই পক্ষ থানা থেকে বের হলে এক পক্ষের ওপর কিশোর গ্যাংয়ের হামলার ঘটনা ঘটে।এ সময় মারামারির ছবি তুলতে গিয়ে সাংবাদিকসহ পাঁচজন হামলার শিকার হন।
রোববার সন্ধ্যা ৬টার সময় থানার প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।আহত ওই সাংবাদিকের নাম নুর উদ্দিন মুরাদ।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পারিবারিক একটি ঘটনায় অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুই পক্ষকে নিয়ে বিকেলে কোম্পানীগঞ্জ থানায় সালিস বৈঠক করছিলেন উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ।ওই বৈঠকে এক পক্ষ থানার মধ্যে স্থানীয় কিশোর গ্যাং সদস্যদের ডেকে আনে।সালিসে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মারামারিতে জড়ায় উভয় পক্ষ।এ সময় এক ব্যক্তিকে থানার ভেতর থেকে রাস্তার ওপরে এনে পেটাতে থাকে ওই কিশোরেরা।এ সময় ওই মারামারির ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিক নুর উদ্দিনের ওপর হামলে পড়ে তারা।তখন ওই সাংবাদিককে রক্ষা করতে গিয়ে স্থানীয় আরও চার-পাঁচজন আহত হন।তার আগে তারা থানার সামনের গাড়ি ভাঙচুর করে।
এই বিষয় সাংবাদিক নূরউদ্দিন মুরাদ ফেসবুকে একটা পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছে, থানার সামনে কিশোর গ্যাংয়ের দু পক্ষের লাঠি হাতে মারামারি অতঃপর অসহায় রিকশা ওয়ালাদেরকে বেদম লাঠিপেটা সহ্য করতে পারিনি।এ সন্ত্রাসী কার্যকলাপের ছবি তুলেছিলাম।এজন্য আমার বিচার চাই।আমার উপর হামলে পড়ে কিশোর গ্যাংয়ের চিহ্নিত সদস্যরা।পরে স্থানীয় জনসাধারণ এগিয়ে আসার পর তারা পালিয়ে যায়।এ যে কি বেদনাদায়ক, এ যে দুঃখজনক বুঝানো যাবেনা।
কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান বলেন,থানার ভেতরে কোনো সমস্যা হয়নি।সালিস বৈঠকে আসা উভয় পক্ষের লোকজন থানার সামনে মারামারিতে জড়ান।এ সময় ছবি তুলতে গিয়ে একজন সাংবাদিকও হামলার শিকার হন।এ বিষয়ে থানায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।