নওগাঁর মান্দায় আয়া ও নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগে ৩৬ লাখ টাকা বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে কোঁচড়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট সোহরাব হোসেনের বিরুদ্ধে।
মাদ্রাসার নিরাপত্তাকর্মী পদে দাতা সদস্যের ছেলেকে চাকরি না দিয়ে একই পদে অন্য একব্যক্তিকে চাকরি দেওয়ায় চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নিরাপত্তাকর্মী পদে মাদ্রাসারা দাতা সদস্য রহিমুদ্দীনের ছেলে আলম সরদারকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৭ লাখ ২৯ হাজার টাকা নেন সুপার সোহরাব হোসেন। ওই পদে তাঁকে চাকরি না দিয়ে ১৭ লাখ টাকা নিয়ে মাহাতাব হোসাইন নামে একব্যক্তিকে চাকরি দেন তিনি। এছাড়া আয়া পদে ঠাকুরমান্দার এক মেয়েকে নিয়োগ দিয়ে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির সুপার।
ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী অনিয়ম ও দুর্নীতের অভিযোগ এনে গত সোমবার সকালে মাদ্রাসাতে অবস্থান নেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এর আগে রবিবার বিকেলে সুপারের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেন এলাকাবাসী।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন চাকরিপ্রার্থী আলম সরদার, তোতা মিয়া, রুবেল হোসেন, রিয়াজ উদ্দিন, শাহাদত হোসেন, দুলাল সরদার, আবদুল মজিদ, নুরজাহান বেগম প্রমূখ।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, মাদ্রাসার দাতা সদস্য রহিমুদ্দীন সরদারের ছেলে আলম সরদারকে নিরাপত্তাকর্মী পদে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৩ বছর আগে ৭ লাখ ২৯ হাজার টাকা নেন মাদ্রাসার সুপার সোহরাব হোসেন। এরপর বিভিন্ন অজুহাতে টালবাহানা করেন তিনি।
এ অবস্থায় গত শনিবার (২৮ জানুয়ারি) ওই পদে নিয়োগবোর্ড অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু আলম সরদারকে চাকরি না দিয়ে ১৭ লাখ টাকার বিনিময়ে মাহাতাব হোসাইনকে চাকরি দেন। এছাড়া আয়া পদে ১২ লাখ টাকার নিয়ে এক মেয়েকে নিয়োগ দেন। এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে সুপারের পদত্যাগের দাবি করেন তারা।
দাতা সদস্যদের ছেলে আলম সরদার বলেন,এই প্রতিষ্ঠানে আমরা ১ একর জমি দান করেছি কিন্ত আমাদের পরিবারের কেউ চাকরি পায়নি এখানে। সুপারের কথা মতন অনেক কষ্টে নিরাপত্তাকর্মী পদ চাকরির জন্য ৭ লাখ ২৯ হাজার টাকা দিয়েছি। এখন আমাকে চাকরি না দিয়ে ১৭ লাখ টাকার বিনিময়ে অন্য একজনকে নিয়োগ দিয়েছে। এছাড়া আয়া পদে ঠাকুরমান্দার এক মেয়ে কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা নেন। এখন আমি চাকরি ও টাকা কোনটাই পায়নি।
নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ অস্বীকার করে মাদ্রাসা সুপারিনটেনডেন্ট সোহরাব হোসেন বলেন, আমি কিছু আগে নাচোল উপজেলায় এসেছি, বিধিমোতাবেক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রার্থী আলম সরদারের কাছ থেকে নেওয়া টাকা ফেরত দেওয়া হবে।