ঢাকা ০৯:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ::
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল 'যমুনা প্রতিদিন ডট কম' এ আপনাকে স্বাগতম...
সংবাদ শিরোনাম ::
চট্টগ্রামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাংবাদিকদের জামিন নওগাঁ জেলা অটো রাইস মিল মালিক সমিতির সাথে বিএসটিআই’র মতবিনিময় সভা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের হীরকজয়ন্তী উদযাপন লাখাইয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার পাইকগাছায় বিপ্লব সাধুর বিরুদ্ধে মানহানির চেষ্টার প্রতিকারে ব্যবসায়ী সমিতির সংবাদ সম্মেলন শিবগঞ্জে লাইভ ভেরিফিকেশন ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নওগাঁর আত্রাই নদীতে বাড়ছে পানি,বন্যা আতঙ্কে দুই পাড়ের মানুষ লাখাইয়ে রোপা আমন ধান চাষে বাম্পার ফলন,অর্জন ৪৯০০ হেক্টর জমি পবায় গ্রীণ অটো ব্রিকস লিমিটেডের বিষাক্ত ধোঁয়ায় ৩০০ বিঘা ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত লাখাইয়ে বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবসে বর্ণাঢ্য র‍্যালী ও আলোচনা সভা

বিলুপ্ত হচ্ছে বাহাদুর শাহ পার্ক!

ফয়সাল আহমেদ:
  • আপডেট সময় : ০৬:০৮:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৩ ১০৭ বার পড়া হয়েছে
যমুনা প্রতিদিন অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পুরান ঢাকার অন্যতম ঐতিহাসিক নিদর্শন বাহাদুর শাহ পার্ক।জানা যায় ব্রিটিশ রানী ভিক্টোরিয়া এখানে এসেছিলেন যার কারনে প্রথমে এর নাম রাখা হয় রানী ভিক্টোরিয়া পার্ক।১৮৫৬ সালে ভারতবর্ষ জুড়ে মহাবিদ্রোহ শুরু হলে এই পার্কে স্থানীয় সেনারা বিদ্রোহ গড়ে তুলে। তখন এর নাম করা হয় আন্টাঘরের ময়দান। মহা বিদ্রোহে ভারতীয় সেনাদের পরাজয় ঘটে এবং প্রধান নেতা শেষ সম্রাট বাহাদুর শাহ’কে রেংজ্ঞুনে নির্বাসনে পাঠানো হয়। জানা যায় সেখানেই তিনি ইন্তেকাল করেন।

শেষ মোঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ এবং ভারতবর্ষের প্রথম সশস্ত্র বিদ্রোহের স্মৃতিতে এর নাম করা হয় বাহাদুর শাহ পার্ক।ব্যস্ত শহরে দু দন্ড প্রশান্তির জন্য মানুষ প্রায় যায় এই স্থানটিতে।

কিন্তু এত বড় ঐতিহাসিক স্থানকে কতটা মর্যাদা দিচ্ছে পুরান ঢাকা প্রশাসন।চারদিকে ভাসমান দোকান আর আবর্জনায় ভরপুর এই পার্কটি।ঐতিহাসিক এই পার্ককে এক প্রকার ব্যাবসা কেন্দ্রে পরিনত করেছে মানুষ।চারদিকে ময়লা আর দুর্গন্ধে দু দন্ড দাড়ানো মুশকিল।

আর রাতের আঁধারে শুরু হয় মাদকের আড্ডা। পার্কের বিভিন্ন স্থানে ভাসমান মানুষেরা পাল্লা দিয়ে মাদক সেবন করতে দেখা যায়। নারী পুরুষ এমনকি নাবালক শিশুরা পর্যন্ত এই মাদকের নেশায় আচ্ছন্ন। তাছাড়া স্থানীয় স্কুল এবং কলেজের শিক্ষার্থীদের দল বেধে ধুমপান করতে দেখা যায়।

তাছাড়া নানা সময়ে ঘটে যায় নানা অপরাধ চুরি ছিনতাই হয়ে থাকে প্রায় সময়। যার কারনে নিরাপত্তা জনিত শংকায় ভুগছে অনেকে।তাই সাধারন মানুষের ব্যবহারের প্রায় অনুপযোগী হয়ে উঠছে স্থানটি।

চারদিকে দোকান গড়ে উঠেছে।যার ফলে স্বাভাবিক সময় কাঠানো প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে।তাছাড়া পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভাবে নানা প্রায় সময় কাটানোর অনুপযোগী হয়ে উঠেছে।

এসব সমস্যা সমাধানে সম্প্রতি গড়ে উঠেছে নানা সংঘ।তবে প্রশাসনের ভূমিকা নেই বললেই চলে।দীর্ঘ দিন ধরে যত্নের অভাবে নষ্ট হতে যাচ্ছে পার্কটি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

বিলুপ্ত হচ্ছে বাহাদুর শাহ পার্ক!

আপডেট সময় : ০৬:০৮:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৩

পুরান ঢাকার অন্যতম ঐতিহাসিক নিদর্শন বাহাদুর শাহ পার্ক।জানা যায় ব্রিটিশ রানী ভিক্টোরিয়া এখানে এসেছিলেন যার কারনে প্রথমে এর নাম রাখা হয় রানী ভিক্টোরিয়া পার্ক।১৮৫৬ সালে ভারতবর্ষ জুড়ে মহাবিদ্রোহ শুরু হলে এই পার্কে স্থানীয় সেনারা বিদ্রোহ গড়ে তুলে। তখন এর নাম করা হয় আন্টাঘরের ময়দান। মহা বিদ্রোহে ভারতীয় সেনাদের পরাজয় ঘটে এবং প্রধান নেতা শেষ সম্রাট বাহাদুর শাহ’কে রেংজ্ঞুনে নির্বাসনে পাঠানো হয়। জানা যায় সেখানেই তিনি ইন্তেকাল করেন।

শেষ মোঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ এবং ভারতবর্ষের প্রথম সশস্ত্র বিদ্রোহের স্মৃতিতে এর নাম করা হয় বাহাদুর শাহ পার্ক।ব্যস্ত শহরে দু দন্ড প্রশান্তির জন্য মানুষ প্রায় যায় এই স্থানটিতে।

কিন্তু এত বড় ঐতিহাসিক স্থানকে কতটা মর্যাদা দিচ্ছে পুরান ঢাকা প্রশাসন।চারদিকে ভাসমান দোকান আর আবর্জনায় ভরপুর এই পার্কটি।ঐতিহাসিক এই পার্ককে এক প্রকার ব্যাবসা কেন্দ্রে পরিনত করেছে মানুষ।চারদিকে ময়লা আর দুর্গন্ধে দু দন্ড দাড়ানো মুশকিল।

আর রাতের আঁধারে শুরু হয় মাদকের আড্ডা। পার্কের বিভিন্ন স্থানে ভাসমান মানুষেরা পাল্লা দিয়ে মাদক সেবন করতে দেখা যায়। নারী পুরুষ এমনকি নাবালক শিশুরা পর্যন্ত এই মাদকের নেশায় আচ্ছন্ন। তাছাড়া স্থানীয় স্কুল এবং কলেজের শিক্ষার্থীদের দল বেধে ধুমপান করতে দেখা যায়।

তাছাড়া নানা সময়ে ঘটে যায় নানা অপরাধ চুরি ছিনতাই হয়ে থাকে প্রায় সময়। যার কারনে নিরাপত্তা জনিত শংকায় ভুগছে অনেকে।তাই সাধারন মানুষের ব্যবহারের প্রায় অনুপযোগী হয়ে উঠছে স্থানটি।

চারদিকে দোকান গড়ে উঠেছে।যার ফলে স্বাভাবিক সময় কাঠানো প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে।তাছাড়া পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভাবে নানা প্রায় সময় কাটানোর অনুপযোগী হয়ে উঠেছে।

এসব সমস্যা সমাধানে সম্প্রতি গড়ে উঠেছে নানা সংঘ।তবে প্রশাসনের ভূমিকা নেই বললেই চলে।দীর্ঘ দিন ধরে যত্নের অভাবে নষ্ট হতে যাচ্ছে পার্কটি।