শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০০ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘যমুনা প্রতিদিন ডট কম’

বিলুপ্ত হচ্ছে বাহাদুর শাহ পার্ক!

পুরান ঢাকার অন্যতম ঐতিহাসিক নিদর্শন বাহাদুর শাহ পার্ক।জানা যায় ব্রিটিশ রানী ভিক্টোরিয়া এখানে এসেছিলেন যার কারনে প্রথমে এর নাম রাখা হয় রানী ভিক্টোরিয়া পার্ক।১৮৫৬ সালে ভারতবর্ষ জুড়ে মহাবিদ্রোহ শুরু হলে এই পার্কে স্থানীয় সেনারা বিদ্রোহ গড়ে তুলে। তখন এর নাম করা হয় আন্টাঘরের ময়দান। মহা বিদ্রোহে ভারতীয় সেনাদের পরাজয় ঘটে এবং প্রধান নেতা শেষ সম্রাট বাহাদুর শাহ’কে রেংজ্ঞুনে নির্বাসনে পাঠানো হয়। জানা যায় সেখানেই তিনি ইন্তেকাল করেন।

শেষ মোঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ এবং ভারতবর্ষের প্রথম সশস্ত্র বিদ্রোহের স্মৃতিতে এর নাম করা হয় বাহাদুর শাহ পার্ক।ব্যস্ত শহরে দু দন্ড প্রশান্তির জন্য মানুষ প্রায় যায় এই স্থানটিতে।

কিন্তু এত বড় ঐতিহাসিক স্থানকে কতটা মর্যাদা দিচ্ছে পুরান ঢাকা প্রশাসন।চারদিকে ভাসমান দোকান আর আবর্জনায় ভরপুর এই পার্কটি।ঐতিহাসিক এই পার্ককে এক প্রকার ব্যাবসা কেন্দ্রে পরিনত করেছে মানুষ।চারদিকে ময়লা আর দুর্গন্ধে দু দন্ড দাড়ানো মুশকিল।

আর রাতের আঁধারে শুরু হয় মাদকের আড্ডা। পার্কের বিভিন্ন স্থানে ভাসমান মানুষেরা পাল্লা দিয়ে মাদক সেবন করতে দেখা যায়। নারী পুরুষ এমনকি নাবালক শিশুরা পর্যন্ত এই মাদকের নেশায় আচ্ছন্ন। তাছাড়া স্থানীয় স্কুল এবং কলেজের শিক্ষার্থীদের দল বেধে ধুমপান করতে দেখা যায়।

তাছাড়া নানা সময়ে ঘটে যায় নানা অপরাধ চুরি ছিনতাই হয়ে থাকে প্রায় সময়। যার কারনে নিরাপত্তা জনিত শংকায় ভুগছে অনেকে।তাই সাধারন মানুষের ব্যবহারের প্রায় অনুপযোগী হয়ে উঠছে স্থানটি।

চারদিকে দোকান গড়ে উঠেছে।যার ফলে স্বাভাবিক সময় কাঠানো প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে।তাছাড়া পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভাবে নানা প্রায় সময় কাটানোর অনুপযোগী হয়ে উঠেছে।

এসব সমস্যা সমাধানে সম্প্রতি গড়ে উঠেছে নানা সংঘ।তবে প্রশাসনের ভূমিকা নেই বললেই চলে।দীর্ঘ দিন ধরে যত্নের অভাবে নষ্ট হতে যাচ্ছে পার্কটি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − one =


অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ

x