রাজশাহীতে মহানগর আ’লীগের উদ্যোগে ২৬ই মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযোগ্য নানা কর্মসূচিতে পালন করা হয়েছে।
২৬ই মার্চের প্রথম প্রহরে ভোর ৬টায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগর-এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ ডাবলু সরকারের নেতৃত্বে কুমারপাড়া দলীয় কার্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বরে সকল শহীদদের স্মরণে বঙ্গবন্ধু সহ জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্প স্তবক অর্পণ করেন।
এ সময় ডাবলু সরকার বলেন, ২৬ মার্চ বাংলার ইতিহাসের এক অনন্য গৌরবের দিন, মুক্তিযুদ্ধের সম্মুখ সূচনার ক্ষণ এবং অকুতোভয় বীর বাঙ্গালীর দৃঢ় সংকল্পের প্রতীক।বাংলার অবিসংবাদিত নেতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলার মানুষ খুঁজে পায় মুক্তির পথ এবং লাখো শহিদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বিশ্ব মানচিত্রে জন্ম হয় লাল সবুজের পতাকাশোভিত স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশর।৭ই মার্চ তিনি ১৮ মিনিটের সেই মূল বক্তব্য দেন “বীর বাঙালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর, তোমার আমার ঠিকানা-পদ্মা মেঘনা যমুনা” সেই দিন মহেন্দ্রক্ষণ লাখ মানুষের ঢল নামে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনার অপেক্ষায়, বঙ্গবন্ধুর কন্ঠে বাঙালির স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাঙালি জাতির মনে স্বপ্ন জাগে।সেই স্বপ্ন পূরণ হয় বাঙালি জাতি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পাই, বঙ্গবন্ধু যখন দেশে ফিরে এসে এ বিধ্বস্ত দেশটিকে পরিপূর্ণ করার চেষ্টা করছে ঠিক সেই সময় আবারো সেই কালো থাবা পরাজিত শক্তিরা একত্রিত হয়ে দেশি বিদেশি চক্রান্ত এবং সেনাবাহিনীর কিছু কুচক্র মহল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ সপরিবারকে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট নির্মমভাবে হত্যা করে।শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা জার্মানিতে থাকার কারণে তিনারা আল্লাহর রহমতে প্রাণে বেঁচে গেছিলেন, বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে যারা এই দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারতেন, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারতেন সেই জাতীয় চার নেতাকে কারাগারের অভ্যন্তরে নির্মমভাবে হত্যা করে।এরপর এই বাঙালি জাতির স্বাধীন রাষ্ট্রে সেই বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ, বঙ্গবন্ধুর সেই স্বাধীনতার ঘোষণা, বঙ্গবন্ধুর ২৩ বছরের আন্দোলন সংগ্রামের যে ইতিহাস ছিল বাংলাদেশকে ঘিরে, সেই ইতিহাসকে কুলুষিৎ করার চেষ্টা করা হয়েছিল।দিনের পর দিন বাংলার মানুষের উপরে অত্যাচার অন্যায় অবিচার করছে সেই অপশক্তিরা।ঠিক সেই সময় বাঙালি জাতির দুঃখ কষ্ট দেখে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার জন্য এই বাঙালি জাতির কাছে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধুর তনয়া।বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া স্বপ্ন পূরণ করছেন, আজকে ১৭ কোটি মানুষের মাঝে বঙ্গবন্ধুর তনয়া জননেত্রী শেখ হাসিনা তিনি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ ও দেশের মানুষকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখে ছিলেন সেই স্বপ্নকে আজ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা স্বপ্ন পূরণে নিরলসভাবে কাজ করছেন, এই স্বপ্ন পূরণে বিগত দিনে বাধাগ্রস্থ করেছে তারা এখনও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এই স্বাধীনতা বিরোধী ও অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী সহ সাধারণ সকল জনগণকে সাথে নিয়ে আগামী দিনে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সকল নেতৃবৃন্দের প্রতি উদার্ত আহ্বান জানান ও শপথ নেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি মোঃ রেজাউল ইসলাম বাবুল, মোঃ বদিউজ্জামান খায়ের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আজাদ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ রবিউল ইসলাম রবি, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মুকিদুজ্জামান জুরাত, উপ-দফতর সম্পাদক পঙ্কজ কুমার দে, উপ-প্রচার সম্পাদক মোঃ সিদ্দিক আলম, সদস্য সৈয়দ মন্তাজ আহমেদ, মোঃ ইসমাইল হোসেন, মোঃ আশরাফ উদ্দিন খান, মোঃ মুজিবুর রহমান, মাসুদ আহমেদ, আশীষ তরু দে সরকার অর্পণ, মোঃ আলিমুল হাসান সজল, মোঃ খাইরুল বাসার শাহীন, ১২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক বিপন্ন সরকার, ২২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ নেওয়াজ সরকার সেডু, জাতীয় শ্রমিক লীগ রাজশাহী মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ শরীফ আলী মুনমুন, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জেডু সরকার, বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ মাহমুদ আলী জন, গৌতম দাস, মোতিহার থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মানিক ইসলাম, শাহ মুখদুম থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফিরোজ খান ফরহাদ, রাজপাড়া থানা আওয়ামী লীগের সদস্য মোঃ মারুফ হোসেন, ২০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল মান্নান লাল, ২৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আশিকুর রহমান আশিক, রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি শাহাদত হোসেন বাদশা, ১৬ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাজীব শেখ, রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সাবেক সদস্য মোঃ মুরসালিন হক রাবু, মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সুলতানুর আরেফিন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আবেদ আলী, সদস্য মোঃ শাহিনুর রহমান, রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান, রাজশাহী মহানগর কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গাফফার শামীম, বোয়ালিয়া থানা (পূর্ব) কৃষক লীগের সভাপতি মোঃ জিয়াউর রহমান লিটন, রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোঃ মেহেদী হাসান রিমেল রিগেন, নয়ন কুমার ধর, ইসলামি ব্যাংক মেডিকেল কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ডাঃ মোঃ মাফতাহুল মোস্তাকিম রাতুল, রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাবেক নেতা মোঃ আল আমিন প্রমুখ।