বাংলাদেশের নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন।তাকে নিয়ে তৈরি হয়েছে গান।শিরোনাম ‘তুমি হার না মানা অগ্নিশিখা তসলিমা নাসরিন’।কণ্ঠ দেওয়ার পাশাপাশি গানটির কথা, সুর ও সঙ্গীতায়োজন করেছেন স্বাধীন বাবু।
সম্প্রতি লেখিকার ফেসবুক থেকে গানটি অবমুক্ত হয়েছে।গানের ভিডিওতে মডেল হয়েছেন এই প্রজন্মের মডেল সামিয়া মিতু, হোসাইন রনি ও আফরোজা শিল্পী।গানটি ভিডিও নির্মাণ করেছেন স্বাধীন বাবু নিজেই।
গানের পোস্টে উল্লেখ করে তসলিমা নাসরিন লেখেন, গান লিখেছেন, সুর দিয়েছেন, গেয়েছেন স্বাধীন বাবু।যা করেছেন ভালোবেসে করেছেন।অনেকদিন আগেই আমাকে মেসেঞ্জারে গানের কথা পাঠিয়েছেন, ‘সাহিত্য-বিশারদ’ শব্দ নিয়ে আমি আপত্তি করেছিলাম।আমার আপত্তি তিনি শোনেননি।স্বাধীন বাবুর সহজ সরল ভালোবাসা আমাকে আপ্লুত করেছে, আমাকে কৃতজ্ঞতা পাশে আবদ্ধ করছে।
গানটি নিয়ে স্বাধীন বাবু বলেন, ফেসবুকের কল্যাণে তসলিমা দিদিকে খুঁজে পেয়েছি।লিরিক টিউন করে গানটি খালি গলায় গেয়ে আমার ফেজবুক পেইজে অংশ বিশেষ আপলোড করেছিলাম।হঠাৎ বৃষ্টির মতো গানটি দিদির চোখে পড়ল।শেয়ার করে দিলেন তিনি।তিনি শেয়ার করার পরই গানটি নির্মাণের কাজ শুরু করি উপহার দেব বলে।
তিনি আরো বলেন, তসলিমা দিদিকে ছোট বেলা থেকেই চিনি আমার বড় বোন সুমি আফরোজের মাধ্যমে।তিনি সাহিত্য চর্চা করতেন।তসলিমা নাসরিনের বই পড়তেন।আমাকে তসলিমা দিদির নির্বাসিত হওয়ার গল্প শোনাতেন।আমিও সেই থেকে টুকটাক তসলিমা দিদির বই পড়া শুরু করলাম।জীবনে দিদির লেখা বই আমি প্রথম হাতে তুলেছি।তসলিমা দিদির লেখা ৩৪টি বই আমি সংরক্ষণ করেছি।মনে মনে ভেবেছি দিদির নির্বাসিত হওয়ার প্রতিবাদ করব।তাই নিজেকেও সাহিত্যে চর্চায় জড়িয়েছি।দেশবরেণ্য শিল্পী মনির খানের গান বাজিয়ে শুনে শুনে তার সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে গান শিখতাম।বড় বোন সুমি গানের স্কুলে ভর্তি করে দিলো।বড় হতে লাগলাম সময় আমাকে সঠিক জায়গায় নিয়ে এলো।আজ আমি আমার ‘হার না মানা অগ্নিশিখা তসলিমা নাসরিন’ গানটি দিয়ে দিদির নির্বাসিত হবার প্রতিবাদ করলাম।সত্যি সাধনা করলে ফল মেলে।আমার এ গানই তার প্রমাণ।