বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১২:৫১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
রাজশাহীতে দৈনিক মানবিক বাংলাদেশ পত্রিকার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন দুর্গাপুরে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে রাতের আঁধারে আবাদি জমিতে পুকুর খনন মোহনপুরে মদ্যপান অবস্থায় বাইক আরোহী নিহত,আহত ২ মান্দায় মহান মে দিবস পালিত মে দিবসে খাবার স্যালাইন,ক্যাপ ও পানি বিতরণ করল রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড জাতীয় শ্রমিক লীগ রাজশাহী মহানগরের উদ্যোগে মহান মে দিবস পালন সারিয়াকান্দিতে দর্জি শ্রমিক ইউনিয়নের মহান মে দিবসে র‌্যালি ও শ্রমিক সমাবেশ সারিয়াকান্দিতে মে দিবস উপলক্ষে শ্রমিক দলের র‍্যালী ও শ্রমিক সমাবেশ সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা সারিয়াকান্দিতে প্রতিপক্ষের হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে কুতুবপুর গ্রামের বাসিন্দা
নোটিশ :
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘যমুনা প্রতিদিন ডট কম’

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর নায়ক এখন রাজনৈতিক নেতারা

ওয়ালিউর শেখ ::

প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে কোনো অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি, অন্যান্য অতিথি হিসেবে গুরু দায়িত্ব পালন করেন রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক আদর্শের জ্ঞানভাণ্ডার নেতা-নেত্রীরা।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মানুষ তৈরির কারিগর-এ কথা অনেক আগে থেকে শুনে আসছি কিন্তু দিন যত গেছে, বয়স যত বেড়েছে তাতে মনে হয়নি একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই মানুষ তৈরির কারিগর।এর বাইরেও অনেক প্রতিষ্ঠান আছে।তবে যেটুকু শিক্ষা দেয়া হয় স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত, সেখানে মনে হয় ঐটুকু শিক্ষা রাজনৈতিক নেতাদের ভিক্ষা স্বরূপ।

কেননা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো বিশ্বাস করে, রাজনৈতিক নেতারাই একমাত্র ব্যাক্তি যারা কিনা প্রতিষ্ঠানের সকল উন্নয়নের কাজে সহযোগীতা করতে পারে।কথা সত্য, রাজনৈতিক নেতা ছাড়া প্রতিষ্ঠান চকচকে হবে না।

কিন্তু প্রশ্ন হলো এত টাকা রাজনৈতিক নেতারা কোথায় পায়? তাদের মূলত সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী কাজ গুলো কি? তারা কি আদৌ যোগ্যতা রাখে এই সকল উন্নয়নে?

তারা ঐ কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের মাঝে যখন নির্দ্বিধায় বলে, আমি এত টাকা এই প্রতিষ্টান কে দেবো, কম্পিউটার দেবো ইত্যাদি ইত্যাদি।তারা এই সহস কই থেকে পায়? আমার বোধগম্য নয়।

আবার যখন একজন রাজনৈতিক নেতা ভাষণ দিতে শুরু করে, বা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি করা হয়।তখন ছাত্র ছাত্রীদের কে ক্লাসে ক্লাসে বইয়ের টপিক পড়ানোর চাইতে বেশি গুরুত্ব দিয়ে বলা হয়, ঘোষণা করা হয় কাল উমুক নেতা আসবে, তোমরা উপস্থিত থাকবে, জমায়েত বেশি হতে হবে, অনুষ্ঠান চার-পাঁচ ঘণ্টা চলবে কেউ চলে যাবে না।আবার এমনও ভয় দেখানো হয়, যদি অনুষ্ঠানে কেউ যোগ না দেই, চলে যায় তাহলে পরীক্ষার নাম্বার কেটে নেওয়া হবে, আরো অনেক কিছু।

একজন ছাত্রর স্বাধীনতাকে রাজনৈতিক নেতার কাছে বলিদান দিতে হয়।একজন ছাত্র জানে না রাজনীতি কি? নেতা কি ? কিন্তু তার মধ্যে “রাজনৈতিক নেতা” এই শব্দটি জোর করে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।এবং প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়া হয় এই ভাবে- দেখো আমি তোমাদের শিক্ষক আমরা কেমন নেতাদের নম নম করছি, প্রনমি জানাচ্ছি, ভবিষ্যতে তোমরাও রাজনৈতিক নেতাদের এমন মোসাহাবি করবে।এটা একেবারে জোর করে একজন স্বাধীন ছাত্রর মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।

তারা তাদের গদি আর প্রতিষ্ঠান চকচকে করতে যে পরিশ্রম করে তার কিঞ্চিৎ পরিশ্রম একজন ছাত্রর পিছনে দিলে দেশ অনেক এগিয়ে যেতে।তারা চিন্তা করে শিক্ষাক হিসেবে আগে একজন ছাত্রকে যতনা চকচকে করে তৈরি করতে হবে, তার থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চকচকে করতে হবে।যাতে করে আমি প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে গর্ব করে কথা বলতে পারি, দেখো এই চকচকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আমি একজন কর্মী।ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে গর্ব করার কিছু নেই, কারণ তারা জানে ছাত্র ছাত্রীরা তাদের নিজের মেধা দিয়ে একদিন ঠিক এগিয়ে যাবে, সেদিন আমরা শুধু বাহবা দেবো।

এর বাইরে আমাদের মোসাহাবি চলবে নেতাদের সাথে।দেখে অবাক হয়, ধোঁয়াশা ভরা সার্টিফিকেট ধারী নেতা যখন বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠান গুলোতে প্রধান অতিথি হিসেবে লম্বা লম্বা বক্তৃতা দেয়, কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম চিবায় আর হাসে। অথচ পাশেই প্রথিতযশা নবীন -প্রবীণ গবেষক, শিক্ষক মাথা নুয়ে বসে থাকে।নিচের দিকে তাকিয়ে নেতাদের বক্তব্য শুনে তালি দেয়।তখন খুব কষ্ট লাগে, মনে মনে কষ্ট পেয়ে স্বাভাবিক শরীর লাল আকার ধারণ করে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মনে হয় এটিকে নতুন গবেষণার ফল হিসেবে দেশে যুক্ত করেছে, ট্রেন্ড চালু হইছে।আমাদের কিছু বলার সুযোগ নেই, কারণ তারা সংখ্যায় বেশি, আমার মত দুই একজন এই ট্রেন্ড না মেনে নিলেও তাদের কোনো কিছু হবে না।তারা এই গুলো করেই যাবে।

এটাও সত্য দুই একজন দিয়ে এই ট্রেন্ড বন্ধ করাও যাবে না।শুধু প্রত্যাশা রাখতে পারি, এই সকল চর্চা বন্ধ হোক।যে যেখানে বসলে, কথা বললে ভালো হবে, সে সেখানে যথাযথ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হোক।রাজনৈতিক নেতাদের বাইরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো যাতে ছাত্র ছাত্রীদের কে নিয়ে ভাবে।যে যত্নে, সম্মানে নেতাদের আপ্যায়ন করে, সেই যত্ন সম্মান যাতে ছাত্র ছাত্রীরা পায়।

লেখক : দপ্তর সম্পাদক,

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি,রাজশাহী মহানগর।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − 6 =


অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ

x