খুলনার প্রানকেন্দ্র ইকবাল নগর ৩৬, আয়েশা কটেজে খুলনা আর্ট একাডেমি অবস্থিত।এটি একটি শিল্প সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান।চিত্র শিল্পী মিলন বিশ্বাস ২০০৩ সাল থেকে এই প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন এজন্য খুলনা তথা দেশের অনেক গুণীজনের সাথে পরিচয় ঘটেছে।তাদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম মল্লিক একজন প্রিয় মানুষ কারন তিনি শিশুদের খুব ভালো বাসেন আর মিলন বিশ্বাস ও শিশুদের নিয়ে স্বপ্ন দেখেন।
শিশুদের প্রতি তার যে ভালো বাসা তৈরি হয়েছে এতে করে প্রতিষ্ঠানকে তিনি সন্তানের মতো ভালোবাসেন।সাজানো সুন্দর স্বপ্ন হঠাৎ করে শুরু হয় মহামারী করোনা।তখন চিত্র শিল্পী মিলন বিশ্বাস খুবই ভেঙে পড়েন।তিনি চিন্তা করেন এই প্রতিষ্ঠানকে রক্ষা করতে পারবো কিনা।তখন খুলনা আর্ট একাডেমির যারা শুভাকাঙ্ক্ষী রয়েছে তাদেরকে একাডেমির পক্ষ থেকে স্মৃতি স্বরুপ কিছু দেওয়ার উদ্যোগ নেন।
খুলনার কিছু গুনী মানুষের প্রতিকৃতি এঁকে উপহার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে প্রতিষ্ঠানের চারুকলা ভর্তি কোচিং এর প্রিয় শিক্ষার্থী শিব শংকর মন্ডল সবাইকে ছবি এঁকে দেওয়ার দ্বায়িত্ব নেয়।
খুলনার সাহিত্যাঙ্গনের সুপরিচিত ভালোবাসার মানুষ সাইফুল ইসলাম মল্লিক হঠাৎ করে ১৩ই জানুয়ারি সন্ধ্যার সময় খুলনা আর্ট একাডেমিতে প্রবেশ করেন।তিনি একজন গুণী মানুষ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত আছেন।তাকে দেখে চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস অত্যন্ত আনন্দিত হন।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন ত্রিদীপ অধিকারী লাইব্রেরি কর্মকর্তা, ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি, খুলনা বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র।
করোনার সময় সাইফুল মল্লিকের একটি ছবি চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস অংকন করে ছিলেন।সাইফুল ইসলাম মল্লিকের হাতে সেই ছবিটি তুলে দেন চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস।ছবিটি হাতে পেয়ে সাইফুল ইসলাম মল্লিক অনেক আনন্দিত।
চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস সাইফুল ইসলাম মল্লিকের মতো একজন গুণী মানুষের হাতে স্মৃতির পাতায় ২০২১উপহারটি প্রদান করে মনের আশা ব্যক্ত করেন।হয়তো একদিন আমি থাকবো না, থাকবেনা এই প্রতিষ্ঠান।এই স্মৃতি খানি অমর হয়ে থাকবে এমন পরিকল্পনা নিয়েই এই ক্ষুদ্র উপহার তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এমন আশা ব্যক্ত করেন চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস।