শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০২:১২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সারিয়াকান্দিতে জিপিএ-৫ পেয়েও অর্থের অভাবে কলেজে ভর্তি অনিশ্চিত সাকিবুল হাসানের সারিয়াকান্দিতে ইউএনও’র সাথে নবনির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যানের শুভেচ্ছা বিনিময় সারিয়াকান্দিতে সরকারি খাদ্য গুদামে ইরি-বোরো ধান ও চাল সংগ্রহের শুভ উদ্বোধন সারিয়াকান্দিতে ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার-২ নালিতাবাড়ী খাদ্য গুদামে ধান-চাল সংগ্রহের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত সারিয়াকান্দিতে অভিবাসী কর্মীদের পুনঃএকত্রীকরণে রেইজ প্রকল্পের ভূমিকা’ শীর্ষক ওরিয়েন্টেশন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে লালমনিরহাট জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের শ্রদ্ধা সারিয়াকান্দিতে পূর্ব শত্রুতার জেরে এক যুবককে ছুরিকাঘাত শাহজাদপুরে সাংবাদিকদের সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মুস্তাক আহমেদের মতবিনিময় অনুষ্ঠিত সারিয়াকান্দিতে বিশ্ব মা দিবস পালিত
নোটিশ :
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘যমুনা প্রতিদিন ডট কম’

রাজশাহীতে নানা আয়োজনে বেগম রোকেয়া দিবস পালন

রাজশাহীতে নানা আয়োজনে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ এবং বেগম রোকেয়া দিবস-২০২৩ পালন করা হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে ৯ ডিসেম্বর শনিবার বেলা ১১ টায় জেলা প্রশাসন ও জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘জয়িতা অন্মেষণে বাংলাদেশ’ শীর্ষক কার্যক্রমের আওতায় আলোচনা সভা ও জয়িতাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সভায় জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।

এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন, পুলিশ সুপার মো. সাইফুর রহমান, বিশিষ্ট সমাজসেবী শাহীন আকতার রেনী, জাতীয় মহিলা সংস্থা চেয়ারম্যান মর্জিনা পারভীন, মহিলা বিষয়ক অধিদফতর রাজশাহীর উপপরিচালক শবনম শিরিন প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ‘নারীর অধিকার নিশ্চিত করতে হলে সবার আগে মানসিকতার পরিবর্তন আনতে হবে।তাদের শুধু কাজ-কর্ম করার সুযোগ করে দিলেই হবে না, দিতে হবে প্রতিটি ক্ষেত্রে সমান অধিকার ও মর্যাদা।’

তিনি আরও বলেন, ‘অতীতে যে প্রাচীনত্ব ও হিংস্রতা আমাদের সমাজের মধ্যে ছিল-সেখান থেকে বের হয়ে এসে একটি দেশকে পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার কাজটি বাংলাদেশ করতে পেরেছে।আর সেই জন্যই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জননেত্রী হয়েছেন, হয়েছেন অনন্য ও অদ্বিতীয়।’

বেগম রোকেয়ার জীবনের ওপর আলোকপাত করে জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, ‘বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে নারীদের কাজ করতে হবে।একজন নারীকে কীভাবে প্রতিকূল পরিবেশ পার করে এগোতে হয়, সেটা বেগম রোকেয়া দেখিয়েছেন।তাঁর আদর্শকে বুকে ধারণ করে, নারীদের এগিয়ে যেতে হবে।সব ধরনের স্বার্থ ত্যাগ করে সমাজ ও দেশের জন্য কাজ করতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার দেখানো পথে আজ নারীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছেন।এর ফলে নারী-পুরুষের বৈষম্য ভেদ করে সকল ক্ষেত্রে সমানাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।এছাড়াও নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে দেশ আজ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট সমাজসেবী শাহীন আকতার রেনী বলেন, বাংলার নারী জাগরণের স্বপ্নদ্রষ্টা বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত।তার স্বপ্ন ছিল সমাজে নারী-পুরুষ সমান মর্যাদা ও অধিকার নিয়ে বাঁচবে।সারা জীবন তিনি সেই স্বপ্নের কথা লিখে গেছেন তাঁর গল্প-উপন্যাস-প্রবন্ধগুলোতে।যা আজও দিকনির্দেশনা হিসেবে সামনে রয়েছে।তাই তো বেগম রোকেয়ার জীবন আচরণ ও নারী শিক্ষার প্রসারে তাঁর কাজ চির স্মরণীয় হয়ে রবে।তিনি এই লড়াই চালিয়ে গেছেন আমৃত্যু।সেই জন্যই তিনি ২০০৪ সালে বিবিসি বাংলার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জরিপে ষষ্ঠ স্থানে ছিলেন।

উল্লেখ্য, আলোচনা সভা শেষে জেলা পর্যায়ে পাঁচ জন ও সিটি করপোরেশন পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ পাঁচ জয়িতার হাতে সম্মাননা পদক তুলে দেওয়া হয়।

তাঁরা হলেন-অর্থনৈতিক ভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটগরীতে জেলা ও মহানগর উভয় পর্যায়ে জয়িতা হয়েছে সোনিয়া খাতুন, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেছে যে নারী ক্যাটগরীতে জেলা ও মহানগর উভয় পর্যায়ে জয়িতা হয়েছে মর্জিনা, সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী ক্যাটগরীতে জেলা ও মহানগর উভয় পর্যায়ে জয়িতা হয়েছে মো. মুহিত (মোহনা), সফল জননী নারী ক্যাটগরীতে জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতা হয়েছে মোসা. জায়েদা বেগম ও মহানগর পর্যায়ে জয়িতা হয়েছে জাহানারা করিম।

এছাড়াও শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটগরীতে জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতা হয়েছে শিউলী আক্তার এবং মহানগর পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতা হয়েছে রেজওয়ানা করিম।

প্রসঙ্গত, নারী জাগরণের পথিকৃৎ মহীয়সী নারী বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দের এক নিভৃত পল্লীতে জন্মগ্রহণ করেন।এ মহীয়সী নারী ১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।মৃত্যুর পর তাকে উত্তর কলকাতার সোদপুরে সমাহিত করা হয়।তাই প্রতিবছর ৯ ডিসেম্বর ‘রোকেয়া দিবস’ হিসেবে দিনটি সরকারিভাবে পালন করা হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 + 1 =


অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ

x