চারিদিকে হানাহানি, অবিশ্বাস, প্রতিশোধের নেশা, একে অপরকে আক্রমণ করার মনোভাব এসব বিরাজ করছে।শান্তির জন্য সবাই কেমন মরিয়া হয়ে ছুটছে।প্রত্যেকেই সুখের খোঁজ পেতে পৃথিবীর এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত চষে বেড়াচ্ছে।কিন্তু সুখ পাচ্ছে কি? সংকীর্ণতায় আবদ্ধ হয়ে সুখ খোঁজার বৃথা এই চেষ্টা।তবুও আমরা ছুটছি।থেমে থাকারও তো কোন উপায় নেই।
আমাদের বাস্তব জীবনেও বন্ধু বা বন্ধুত্বের সুযোগে ক্ষতি করার বহু উদাহরণ রয়েছে।আমাদের প্রত্যহ চলার পথে যে সবথেকে বেশী সময় সঙ্গ দেয় সে বন্ধু।তাই খাঁটি বন্ধু প্রতিটি মানুষের জীবনেই আবশ্যক।দুর্ভাগ্যবান তারাই যাদের প্রকৃত বন্ধু নেই।প্রত্যেক নতুন জিনিসকেই উৎকৃষ্ট মনে হয় কিন্তু বন্ধুত্ব যতই পুরাতন হয় ততই উৎকৃষ্ট হয়।এসব মন্তব্যের অর্থ হলো বন্ধুত্ব নামক সম্পর্কটি চির নতুন, চির উদ্দীপনায় ভরা, চির সুখময়।তবে তা যদি প্রকৃত বন্ধুত্ব হয়।
তবে আজকাল সবকিছুর মধ্যেই যে হারে ভেজাল ঢুকে গেছে বন্ধুত্ব নামক এই সম্পর্কটিও গুটি কয়েক কুবন্ধুর কারণে কুলষিত হচ্ছে।ছোটবেলা থেকেই আমরা দুই বন্ধু ও ভাল্লুকের গল্পটা জানি।যেখানে এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে রেখেই নিজে বাঁচার তাগিদে গাছে উঠে পরে।যদিও অন্য বন্ধু তাৎক্ষণিক বুদ্ধির জোরে বেঁচে যায়।কিন্তু এই গল্পটার মোরাল হলো বিপদের সময় যে বন্ধু তোমাকে ত্যাগ করে সে প্রকৃত বন্ধু নয়।তার সঙ্গ পরিত্যাগ করাই উত্তম।
এ ধরনের বিপদের সময় গাছে উঠে যাওয়া বন্ধু বা গাছে তুলে মই টান দেওয়া বন্ধু আমাদের সমাজে ক্রমেই বেড়ে চলেছে।কথায় কথায় আমরা বলি সৎসঙ্গে স্বর্গ বাস অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ।বন্ধু শব্দটি খুব ছোট কিন্তু এর অর্থেও ব্যাপকতা সিমাহীন।কোন সুনির্দিষ্ট গন্ডীতে বন্ধুত্বের সম্পর্ককে আবদ্ধ করে রাখা যায় না।সে চেষ্টা করা কেবল অর্থহীন শক্তির অপচয় মাত্র।
বন্ধু মানে একে অপরের সুহৃদ।দুটি হৃদয় যখন সকল সংকীর্ণতা, সকল হিংসা, কপোটতা, সকল ক্রোধ মুক্ত হয়ে একত্র হয়, পাশে থাকে, পরামর্শ দেয় সেই বন্ধু।সেই হাত প্রকৃত বন্ধুত্বের হাত।যা সারাজীবন বাড়িয়েই থাকে।
এখন প্রশ্ন কে বন্ধু হতে পারে? হ্যা অবশ্যই বন্ধু কে হবে সেটা চিনতে ভুল হলে শত্রুর চেয়েও ভয়ঙ্কর ক্ষতি তার মাধ্যমে হতে পারে।তবে মূর্খ ব্যাক্তির সাথে বন্ধুত্ব করো না।কথায় আছে শিক্ষিত শত্রু ভালো মূর্খ বন্ধুর চেয়ে!!