পটুয়াখালী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান সোহাগের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন আসাদুজ্জামান সোহাগ।
১২ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) রাতে সাংবাদিকদের তিনি জানান, আমার রাজনৈতিক জনপ্রিয়তা দেখে আমার ও আমার পরিবারকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে স্থানীয় একটি কুচক্রি মহল আমার পিছনে অনেক দিন যাবত লেগে আছে এবং তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্যই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে নোংরামি শুরু করছে।
প্রতিবাদে তিনি উল্লেখ করেন, কিছুদিন পূর্বে পটুয়াখালী জেলার কমলাপুর সদর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়ার্ড বিএনপির একটি কমিটি ঘোষনা করা হয়, সেই কমিটিতে তার বাবার নামে নাম মোহাম্মদ আমির হোসেন হাওলাদার নামে একজনকে ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি হিসেবে মনোনীত করা হয়।যার সাথে আসাদুজ্জামান সোহাগ কিংবা তার পরিবারের কোন সম্পৃক্ততা নেই এমনকি তারা তাকে চিনেন ও না।অথচ সেই কমিটির সুত্র ধরে ফেসবুকে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছেন উত্তর ধরান্দী গ্রামের জাকির হাওলাদারের ছেলে মোঃ জুয়েল, কমলাপুর গ্রামের আনোয়ার হাওলাদার ছেলে মোহাম্মদ মহিউদ্দিন হাওলাদার, কেয়াবইন্না গ্রামের হাসিব হোসেন আকিব নামের তিন যুবক।
তারা তাদের নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন যে “হাইব্রিড মুক্ত কমলাপুর চাই বাপ মোহাম্মদ আমির হোসেন হাওলাদার তিনি কমলাপুর ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ডের বিএনপি’র সহ-সভাপতি।অপরদিকে ছেলে মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান সোহাগ তিনি পটুয়াখালী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক।এই হাইব্রিড দলের মধ্যে বুকে বিভেদ করছে।ওর বহিষ্কার দাবি করছি।
আসাদুজ্জামান সোহাগ বলেন, বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে আমার সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এদিকে এ বিষয়টি জানতে কমিটিতে পদায়নকৃত আমির হোসেন হাওলাদার জানান, আসাদুজ্জামান সোহাগের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমলাপুর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি মোঃ তুহিন বলেন, আমরা যাকে কমিটিতে এনেছি সেই আমির হোসেন হাওলাদার বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত তার বাবার নাম মোনাজ উদ্দিন হাওলাদার তার সাথে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়া আমির হোসেন বা আসাদুজ্জামান সোহাগের কোন সম্পৃক্ততা নেই কারন তারা আওয়ামীলীগ পরিবারের রাজনীতির সাথে জড়িত আর তিনি বিএনপির।
এদিকে কমলাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সফিকুল ইসলাম জানান,জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান সোহাগ কে নিয়ে ফেসবুকে যেই মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে পোস্ট করা হয়েছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক আমি এর প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জানাই।
তিনি বলেন, কমিটিতে উল্লেখিত ব্যক্তির সাথে সোহাগের কোন সম্পর্ক নেই, সোহাগের বাবা ২০০৭ সালে সহকারি প্রধান শিক্ষক থাকা অবস্থাতেই অবসর নেন।বর্তমানে বাসায় রয়েছেন অপরদিকে কমিটিতে উল্লেখিত আমির হোসেন হাওলাদার একটি বালিকা দাখিল মাদ্রাসার বর্তমান শিক্ষক।এছাড়াও সোহাগের ছোট ভাই সোহেল বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ডুয়েট শাখার সহ-সম্পাদক ও অপর ছোট ভাই মোঃ মহিউদ্দিন জুয়েল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি, শহীদ ধীরেন্দ্র হল ছাত্রলীগ ও বানিজ্য অনুষদ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন তারা বর্তমানে চাকরিরত অবস্থায় রয়েছেন।
পটুয়াখালী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান সোহাগ আরও বলেন, এ বিষয়ে তিনি আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।