অবশেষে স্থগিত করা হলো সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের নরিনা উচ্চ বিদ্যালয়ের বিতর্কিত নিয়োগ কার্যক্রম।
মঙ্গলবার এ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী ও আয়া এদুটি শুন্য পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
আগে থেকেই খবর ছড়িয়ে পড়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দুজনের নিয়োগ চুড়ান্ত করে রেখেছে বিদ্যালয়ের সভাপতি শ্রী সঞ্জিত কুমার রায় এবং প্রধান শিক্ষক শামসুল আলম হ্যাপী।দুটি পদে ১৯ জন আবেদন করলেও অন্যান্য নিয়োগ প্রার্থীকে আইওয়াশ করার জন্য একটি নিয়োগ পরীক্ষার নাটক সাজানো হয়েছে।
এখবর ছড়িয়ে পড়ার পর এলাকায় চরম উত্তেজনা দেখা দেয়।পরে বিদ্যালয়ের নিয়োগ বোর্ডে ডিজির প্রতিনিধি উল্লাপাড়া মার্চেন সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নান ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এসএম শাহাদত হোসেন সন্ধ্যায় নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করে বিদ্যালয় ত্যাগ করেন।নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করায় এলাকায় তাৎক্ষণিক আনন্দ উল্লাস করে জনগণ।
দীর্ঘদিন ধরে এ বিদ্যালয়ে নিয়োগের নামে অফিস সহকারী পদে শাহীন ও আয়া পদে নাছিমা নামে এ দুজন প্রার্থীর নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে গোপনে নিয়োগ চুড়ান্ত করে রাখা হয়েছিলো বলে এলাকায় খবর ছড়িয়ে পড়েছিলো অনেক আগেই।এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনাও বিরাজ করছিলো।মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিতের খবর ছড়িয়ে পরার পর এলাকার পরিবেশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
ফেরদৌস হাসান নামে অফিস সহকারী পদে আবেদনকারী এক প্রার্থী নিয়োগ পরীক্ষা স্বচ্ছ করার দাবিতে প্রধান শিক্ষক বরাবর একটি লিখিত দিলেও কোন তোয়াক্কা করেনি প্রধান শিক্ষক।
এদিকে সঠিক প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছভাবে যোগ্য প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
এবিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুল আলম হ্যাপী সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন এগুলো সব মিথ্যা।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এসএম শাহাদত হোসেন ও ডিজির প্রতিনিধি আব্দুল হান্নান বলেন, নিয়োগ স্থগিত করা হলো।বিস্তারিত পরে জানানো হবে।