শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘যমুনা প্রতিদিন ডট কম’

শীতার্ত মানুষ কষ্টে : ভাগাভাগিতেই শেষ কম্বল

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাট। হিমালয়ের অনেক নিকটে হওয়ায়র কারণে দিন দিন কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রা। ফলে কনকনে শীতের সঙ্গে বৃষ্টির মতো মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশার দাপটে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এ জেলার হাজারো গরিব, অসহায় ও খেটে খাওয়া মানুষ। সরকারী ভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও তা পাচ্ছে না শীতার্ত মানুষজন। শীতবস্ত্র ভাগাভাগির মাধমে চলে যাচ্ছে বিভিন্ন জনের কাছে।

বিভিন্ন এলাকায় সরজমিনে দেখা যায়, শীতবস্ত্রের অভাবে গরিব অসহায় ও নিম্ন আয়ের মানুষরা খড়কুটোয় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।

আবহাওয়া অফিস জানায়,প্রতিবছর এ জেলায় অক্টোবরের শেষের দিকে ও নভেম্বরের প্রথম দিকে শীত নামলেও ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি এ তিন মাসে শীত বেশি অনুভূত হয়। হিমালয়ের ঠান্ডা বাতাসের কারণে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে।

জানা যায়, জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তার তীরবর্তী বেশিরভাগ লোকজন দিনমজুর। যারা দিন এনে দিন খান। শীতকাল এলে এসব মাঠেঘাটে খেটে খাওয়া ও দিনমজুররা পড়েন চরম ভোগান্তিতে। ঘন কুয়াশা ও হাড়কাঁপানো শীতে তারা তেমন কাজে যেতে পারেন না। তাছাড়া এই শীত নিবারণের জন্য তাদের পর্যাপ্ত গরম কাপড় নেই৷ গরম কাপড় কেনার সামর্থ্য না থাকায় অনেকে শীত নিবারণের জন্য বাড়ির আঙিনায় খড়কুটোয় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে।

এসব মানুষের জন্য প্রতিবছর সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলো শীতবস্ত্র বিতরণ করলেও নিম্ন আয়ের এ মানুষ গুলোর দাবি তারা শীতকালে পায় না কোনো সহযোগিতা। উপজেলায় ভাগাভাগিতেই শেষ হয় এসব কম্বল। বিভিন্ন জনপ্রতিনিধির কাছে একটি কম্বলের আকুতি জানালেও ফিরে আসতে হয় তাদের মলিন মুখে। ফলে শীতের কারণে মানবেতর জীবন যাপন করতে হয় তাদের।

জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার ১২ ইউনিয়নের গরিব, অসহায় ও শীতার্ত মানুষদের জন্য জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৯ হাজার শীতবস্ত্র ইতিমধ্যে এসে পৌছেছে। কিন্তু এসব শীতবস্ত্র উপজেলা পরিষদেই ভাগাভাগিতেই শেষ হচ্ছে। ফলে অনেক গরিব, অসহায় ও শীতার্ত মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে শীতবস্ত্রের অধিকার থেকে।

স্থানীয় বঞ্চিত, শীতার্ত ব্যক্তিরা বলেন, আমরা গরিব মানুষ, শীতকাল এলে আমরা কনকনে শীতের কারণে কাজে বের হতে পারি না। তাছাড়া শীত নিবারণের জন্য আমাদের গরম কাপড়ও নাই। শীতকালে সবাই কম্বল পায় কিন্তু আমাদের মতো গরিবদের কেউ কম্বল দেয় না। চেয়ারম্যান ও মেম্বাদের কাছে গেলে তারা আশা দিয়ে রাখে। প্রতিবছর যে শীতবস্ত্র বা কম্বল আসে, এগুলো কোথায় যাচ্ছে। আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ করছি আমাদের মতো গরিব অসহায় মানুষেদের জন্য ব্যবস্থা করবেন শীতবস্ত্রের নয়তো কনকনে শীতে আমরা মারা যাব।

হাতীবান্ধা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম শাহ জানান, শীতার্থদের জন্য যে পরিমান শীতবস্ত্র এসেছে তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই কম। আমরা সবগুলোই বিতরণ করেছি। আরও বরাদ্দ চেয়ে চাহিদা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ আসলে বিতরণ করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × one =


অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ

x