পাটগ্রামে মা-মেয়ে-ছেলে আত্নহত্যার ঘটনায় সুমি আক্তারের স্বামী রাশেদুজ্জামানকে শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ শনিবার সকালে পাটগ্রাম থেকে তাকে লালমনিরহাট রেলওয়ে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।বর্তমান রাশেদুজ্জামান সদর রেলওয়ে থানায় আছেন।কিছুক্ষনের মধ্যে তাকে আদালতে তোলা হবে।
এ মামলার অপর আসামী সুমি আক্তারের শ্বাশুড়ী রাশেদা বেগমকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে এক সাথে মা-ছেলে ও মেয়ে’র আত্নহত্যা নিয়ে ধুম্ররজাল দেখা দিয়েছে।অনেকেই বলছে ঘটনাস্থল থেকে তার বাড়ির দুরুত্ব প্রায় দুই কিলোমিটার।ওই এলাকায় ছেলে-মেয়েদের সাথে নিয়ে যাওয়ার কোনো কারণ তারা দেখছেন না।
পুলিশ জানান,সুমি আক্তার তার মেয়ে ও ছেলেকে নিয়ে আত্নহত্যা করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে স্বামী রাশেদুজ্জামানের সাথে ঝগড়া হয় সুমি আক্তারের।
অপর একটি সুত্র জানান, ঝগড়ার এক পর্যায়ে সুমির শ্বাশুড়ী (রাশেদুজ্জামানের মা) সুমিকে মারধরও করেন। সকালে ওই ঘটনার জের ধরে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় সুমি আক্তার।
উল্লেখ্য, লালমনিরহাট থেকে বুড়িমারী স্থলবন্দরগামী একটি ট্রেন ঘুন্টি নামক এলাকা পার হওয়ার সময় শুক্রবার সকালে ট্রেনের নিচে মা ও তার ছেলে-মেয়ে পড়ে আত্নহত্যার চেষ্টা করেন। এতে মা সুমি বেগম ও মেয়ে তাসমিরা তাবাসুম তাসিনের ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়। এতে ছেলে তৌহিদ গুরুত্বর আহত হয়।পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পাটগ্রাম হাসপাতালে পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় সুমি আক্তারের স্বামী ও শ্বাশুড়িকে আসামী করে লালমনিরহাট রেলওয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন সুমি আক্তারের বাবা আজিজুল ইসলাম।
লালমনিরহাট রেলওয়ে থানার ওসি ফেরদৌস আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।