ঢাকা ০৬:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ::
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল 'যমুনা প্রতিদিন ডট কম' এ আপনাকে স্বাগতম...
সংবাদ শিরোনাম ::
আনোয়ারায় চুরি ঠেকাতে রাত জেগে পাহারা দেন ইউপি সদস্য মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন ঠাকুরগাঁওয়ে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস পালন উপলক্ষ্যে আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণ নন্দীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা কবিতা: হেড স্যার একযুগ পর মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অপারেশন থিয়েটার চালু,প্রসুতি ময়নার সফল সিজার রায়গঞ্জে কাবিখা প্রকল্পে নাম মাত্র মাটি কর্তন করে সিংহভাগ টাকা হরিলুটের পাঁয়তারা রায়গঞ্জের শালিয়াগাড়ী মেলায় ইজারাদারদের দাপটে দোকানদাররা জিম্মি শার্শার সীমান্তে ১৪টি সোনার বার উদ্ধার সুনামগঞ্জ পৌরসভায় বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত চলচ্চিত্রে নতুন নায়িকা পারিশা

গৃহিণী থেকে চমক সৃষ্টি করে সিটি মেয়র,কে এই জায়েদা খাতুন?

যমুনা প্রতিদিন ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০২:২৬:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩ ২১৩ বার পড়া হয়েছে
যমুনা প্রতিদিন অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হওয়ার পর স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনকে নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই।সবার মনে একটাই জিজ্ঞাসা-কে এই জায়েদা খাতুন? তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য সবাই আগ্রহী।

জায়েদা খাতুন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা।একই সঙ্গে তিনি গাজীপুর সিটির নির্বাচিত প্রথম নারী মেয়র ও দেশের দ্বিতীয় নারী মেয়র।

জানা যায়, আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাহ খানকে ১৬ হাজার ১৯৭ ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছেন।গাজীপুর সিটির তৃতীয় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী জায়েদা।

জায়েদা খাতুনের ছেলে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ছিলেন এ নগরীর দ্বিতীয় মেয়র।২০১৮ সালে তিনি বিএনপির প্রার্থীকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন।তবে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তির অভিযোগ ওঠায় তিনি মেয়াদ শেষ করতে পারেননি।

স্থানীয়রা বলছেন, এলাকায় জনদরদি হিসেবে পরিচিত জায়েদা খাতুন।শিক্ষার্থীসহ গরিব-দুঃখী মানুষকে বরাবরই আর্থিক সহায়তা করেন।একই সঙ্গে সামাজিক আচার-অনুষ্ঠানেও সহায়তা করেন তিনি।

হলফনামা সূত্রে জানা যায়, জায়েদা খাতুন গৃহিণী ও স্বশিক্ষিত।তার জন্ম গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কানাইয়া এলাকায় ১৯৬২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি।জাহাঙ্গীর আলমসহ তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছেন।

নির্বাচনী ইশতেহারে জায়েদা খাতুন জানিয়েছেন, তার স্বামী মো. মিজানুর রহমান পাঁচ বছর আগে মারা গেছেন।তার বিরুদ্ধে কোনো মামলার তথ্য নেই।

জায়েদা খাতুন নির্বাচিত হলে পাঁচ বছরের জন্য হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফের প্রতিশ্রুতি দেন।পাশাপাশি সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের অসমাপ্ত কাজ শেষ করারও অঙ্গীকার করেন।এছাড়াও সেখানে নানা উন্নয়ন কার্যক্রমের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

উল্লেখ্য, নির্বাচনে মেয়র পদে টেবিল ঘড়ি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী এডভোকেট মো. আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট।

নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার মো. ফরিদুল ইসলাম গাজীপুর সিটির বঙ্গতাজ অডিটরিয়ামে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এই ফল ঘোষণা করেন।

নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এমএম নিয়াজ উদ্দিন পেয়েছেন ১৬ হাজার ৩৬২ ভোট, মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম পেয়েছেন ১৬ হাজার ৯৭৪ ভোট, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাজী আতাউর রহমান পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৩৫২ ভোট, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির প্রার্থী মো. রাজু আহাম্মেদ পেয়েছেন ৭ হাজার ২০৬ ভোট।

এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকে মো. হারুন-অর-রশীদ পেয়েছেন ২ হাজার ৪২৬ ভোট ও হাতি প্রতীকে সরকার শাহনূর ইসলাম পেয়েছেন ২৩ হাজার ২৬৫ ভোট।

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৪৮০টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।এই সিটির মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন।ভোট দিয়েছেন ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৫০ জন ভোটার।এরমধ্যে বাতিল ভোট ১ হাজার ৭৯৪।মোট বৈধ ভোট ৫ লাখ ৭৩ হাজার ২৫৬টি।প্রদত্ত ভোটের হার ৪৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

গৃহিণী থেকে চমক সৃষ্টি করে সিটি মেয়র,কে এই জায়েদা খাতুন?

আপডেট সময় : ০২:২৬:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হওয়ার পর স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনকে নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই।সবার মনে একটাই জিজ্ঞাসা-কে এই জায়েদা খাতুন? তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য সবাই আগ্রহী।

জায়েদা খাতুন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা।একই সঙ্গে তিনি গাজীপুর সিটির নির্বাচিত প্রথম নারী মেয়র ও দেশের দ্বিতীয় নারী মেয়র।

জানা যায়, আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাহ খানকে ১৬ হাজার ১৯৭ ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছেন।গাজীপুর সিটির তৃতীয় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী জায়েদা।

জায়েদা খাতুনের ছেলে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ছিলেন এ নগরীর দ্বিতীয় মেয়র।২০১৮ সালে তিনি বিএনপির প্রার্থীকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন।তবে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তির অভিযোগ ওঠায় তিনি মেয়াদ শেষ করতে পারেননি।

স্থানীয়রা বলছেন, এলাকায় জনদরদি হিসেবে পরিচিত জায়েদা খাতুন।শিক্ষার্থীসহ গরিব-দুঃখী মানুষকে বরাবরই আর্থিক সহায়তা করেন।একই সঙ্গে সামাজিক আচার-অনুষ্ঠানেও সহায়তা করেন তিনি।

হলফনামা সূত্রে জানা যায়, জায়েদা খাতুন গৃহিণী ও স্বশিক্ষিত।তার জন্ম গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কানাইয়া এলাকায় ১৯৬২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি।জাহাঙ্গীর আলমসহ তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছেন।

নির্বাচনী ইশতেহারে জায়েদা খাতুন জানিয়েছেন, তার স্বামী মো. মিজানুর রহমান পাঁচ বছর আগে মারা গেছেন।তার বিরুদ্ধে কোনো মামলার তথ্য নেই।

জায়েদা খাতুন নির্বাচিত হলে পাঁচ বছরের জন্য হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফের প্রতিশ্রুতি দেন।পাশাপাশি সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের অসমাপ্ত কাজ শেষ করারও অঙ্গীকার করেন।এছাড়াও সেখানে নানা উন্নয়ন কার্যক্রমের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

উল্লেখ্য, নির্বাচনে মেয়র পদে টেবিল ঘড়ি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী এডভোকেট মো. আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট।

নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার মো. ফরিদুল ইসলাম গাজীপুর সিটির বঙ্গতাজ অডিটরিয়ামে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এই ফল ঘোষণা করেন।

নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এমএম নিয়াজ উদ্দিন পেয়েছেন ১৬ হাজার ৩৬২ ভোট, মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম পেয়েছেন ১৬ হাজার ৯৭৪ ভোট, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাজী আতাউর রহমান পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৩৫২ ভোট, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির প্রার্থী মো. রাজু আহাম্মেদ পেয়েছেন ৭ হাজার ২০৬ ভোট।

এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকে মো. হারুন-অর-রশীদ পেয়েছেন ২ হাজার ৪২৬ ভোট ও হাতি প্রতীকে সরকার শাহনূর ইসলাম পেয়েছেন ২৩ হাজার ২৬৫ ভোট।

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৪৮০টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।এই সিটির মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন।ভোট দিয়েছেন ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৫০ জন ভোটার।এরমধ্যে বাতিল ভোট ১ হাজার ৭৯৪।মোট বৈধ ভোট ৫ লাখ ৭৩ হাজার ২৫৬টি।প্রদত্ত ভোটের হার ৪৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ।