ঢাকা ০৪:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৬ জুন ২০২৩, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ::
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল 'যমুনা প্রতিদিন ডট কম' এ আপনাকে স্বাগতম...
সংবাদ শিরোনাম ::
ডোমারে গোপনে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার সময় অবরুদ্ধ প্রধান শিক্ষক ভূরুঙ্গামারীতে জামাই শ্বাশুড়ি আপত্তিকর অবস্থায় আটক রাসিকের ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী জানে আলম বিজয়ে শতভাগ আশাবাদী ৬ দফা আন্দোলন বাংলাদেশ সৃষ্টির বীজবপন হয়েছিল : শাজাহান খান এমপি ভারতের নতুন সংসদ ভবনে ‘অখণ্ড ভারতের’ ম্যুরাল স্থাপন স্বাধীন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের উপর হস্তক্ষেপ : হানিফ বাংলাদেশী ধামইরহাটে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণকারী অফিসারদের প্রশিক্ষণ তাড়াশে মাদ্রাসা ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ জনতার রোদন গবেষণায় ডিনস্ অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন রাবি অধ্যাপক নকীব ছেলের খরচে ২৯ দিনের ছুটিতে আমেরিকা যাচ্ছেন রাবি উপাচার্য

শীতের তীব্রতায় ফুটপাত দোকানে নিম্ন আয়ের ক্রেতাদের ভিড়!

আবু মুছা,বেলকুচি প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় : ০৬:১৪:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৩ ১৩০ বার পড়া হয়েছে
যমুনা প্রতিদিন অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শীত বাড়তে থাকার সাথে সাথে সিরাজগঞ্জ বেলকুচি পৌর হাট বাজারে ফুটপাতে পুরাতন শীতের গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় জমাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ। এ বছর সবকিছুর দাম বৃদ্ধির সাথে সাথে শীতবস্ত্র ক্রয় করতে হিমশিম খাচ্ছে স্থানীয় দরিদ্র শ্রেণীর মানুষ।

আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয় সপ্তাহ জুড়ে ঘন কুয়াশার সাথে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ থাকতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস কর্তৃক বার্তা দেয়া হয়েছে।

গতকাল সন্ধ্যায় বেলকুচি পৌর এলাকার মুকন্দগাঁতী বাজার গার্লস স্কুল সংলগ্ন ও মুকুন্দগাঁতী ওয়াবদা বাঁধের উপর বসা পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানে অত্যধিক ভিড় চোখে পড়ে। শুধু একেবারে দরিদ্র শ্রেণীর মানুষই নয়, অনেক মধ্যবিত্ত নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকও ঝুঁকছেন গরম কাপড় ক্রয়ের লক্ষ্যে এ সমস্ত দোকানে।

স্থানীয় বিক্রেতরা জানায়, পুরাতন জ্যাকেট, সোয়েটার, মাফলার, মোজা ও কোটি বিক্রি করে থাকেন তারা। কেউ উচ্চ মূল্যের আবার কোন কোন দোকানদার কম মূল্যের গরম কাপড় বিক্রি করে থাকেন। গত বছরের তুলনায় এ বছর শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে স্থানীয় ফুটপাতের দোকানে।বিশেষ করে বেলকুচিতে তাঁত শ্রমিক, ভ্যান চালক, দিনমজুর, নির্মাণ শ্রমিক বেশি আসে।

মুকন্দগাঁতী বাজার হতে একটি পুরাতন জাম্পার ও হাত মোজা ক্রয় করে ফেরার পথে অটো ভ্যানচালক রুবেলের সাথে দেখা হলে তিনি জানান, “সকালে ভ্যান নিয়্যা বাড়লি শীতে কাহিল অয়া যাই। মনে করছিল্যাম কম ট্যাহার মোদে একটো জ্যাকেট কিনমু কিন্তু তা আর ওইলো না, একটো জামপার আর মুজা কিনল্যাম। এবার দেহি শীতে পুরান কাপড়ের দাম আরও বেশি”।

আদালত পাড়ার পাওয়ার লুম শ্রমিক হাসেম আলী জানান, “মিয়ার নিগ্যা একটো কাটিগ্যানের মতো একটো কিছু কিনমু কিন্তু পাইল্যাম না, আবার যাও দু’একটা পাই তাও দামে ম্যালা চড়া। আইজ আর মনে কয় কেনা ওবোনা”।

বেলকুচি উপজেলার বড়ধুল ইউনিয়নের কোলের চরের “রহম আলী কলেজ মোড় এলাকার একটি ফুটপাত দোকানি থেকে বউর নিগ্যা একটো জাম্পার কিনল্যাম কিন্তু আমার নিগ্যা কিছু পাইল্যাম না, অন্যদিন আইসা আমার আর মাইয়া নিগ্যা কিছু নেয়া লাইগবো। নইলে শীতে পোলাপান মইরা যাইবো”।

ফুটপাতের অনেকের সাথে কথা হয়, গরম কাপড়ের দোকানে ক্রয় করতে আসা ভ্যান চালক মাকেল, অটো চালক শহিদুল, জুড়ানসহ আরও অনেক লোকের সাথে তারা জানায়, শোরুম গুলোতে অনেক সুন্দর শীতের কাপড় ঝুলানো রয়েছে, কিন্তু ওরা একেবারে গলাকাটা দাম রাখে। তাই ফুটপাত দোকানে আসি। এখানে কাপড়ও অনেক সুন্দর গরম কাপড়ও মিলে যায়।

স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ী জানায়, শীতের মৌসুমে প্রতি বছরেই পুরাতন কাপড়ের ব্যবসা করি। শীতের মৌসুমে ব্যবসা করে ভালোই আয় হয়, তবে এ বছর দোকানে ভিড় থাকলেও দাম বেশি হওয়ায় অনেক ক্রেতাই কিনতে পারছে না।

আবহাওয়া পূর্বাভাস সূত্রে জানাযায়, এক সপ্তাহ ধরে প্রায় দিনই তাপমাত্রা কমছে। গতরাতে বেলকুচিতে তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সকালের দিকে ছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ আরও কয়েক দিন থাকতে পারে বলেও জানাযায়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

শীতের তীব্রতায় ফুটপাত দোকানে নিম্ন আয়ের ক্রেতাদের ভিড়!

আপডেট সময় : ০৬:১৪:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৩

শীত বাড়তে থাকার সাথে সাথে সিরাজগঞ্জ বেলকুচি পৌর হাট বাজারে ফুটপাতে পুরাতন শীতের গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় জমাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ। এ বছর সবকিছুর দাম বৃদ্ধির সাথে সাথে শীতবস্ত্র ক্রয় করতে হিমশিম খাচ্ছে স্থানীয় দরিদ্র শ্রেণীর মানুষ।

আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয় সপ্তাহ জুড়ে ঘন কুয়াশার সাথে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ থাকতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস কর্তৃক বার্তা দেয়া হয়েছে।

গতকাল সন্ধ্যায় বেলকুচি পৌর এলাকার মুকন্দগাঁতী বাজার গার্লস স্কুল সংলগ্ন ও মুকুন্দগাঁতী ওয়াবদা বাঁধের উপর বসা পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানে অত্যধিক ভিড় চোখে পড়ে। শুধু একেবারে দরিদ্র শ্রেণীর মানুষই নয়, অনেক মধ্যবিত্ত নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকও ঝুঁকছেন গরম কাপড় ক্রয়ের লক্ষ্যে এ সমস্ত দোকানে।

স্থানীয় বিক্রেতরা জানায়, পুরাতন জ্যাকেট, সোয়েটার, মাফলার, মোজা ও কোটি বিক্রি করে থাকেন তারা। কেউ উচ্চ মূল্যের আবার কোন কোন দোকানদার কম মূল্যের গরম কাপড় বিক্রি করে থাকেন। গত বছরের তুলনায় এ বছর শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে স্থানীয় ফুটপাতের দোকানে।বিশেষ করে বেলকুচিতে তাঁত শ্রমিক, ভ্যান চালক, দিনমজুর, নির্মাণ শ্রমিক বেশি আসে।

মুকন্দগাঁতী বাজার হতে একটি পুরাতন জাম্পার ও হাত মোজা ক্রয় করে ফেরার পথে অটো ভ্যানচালক রুবেলের সাথে দেখা হলে তিনি জানান, “সকালে ভ্যান নিয়্যা বাড়লি শীতে কাহিল অয়া যাই। মনে করছিল্যাম কম ট্যাহার মোদে একটো জ্যাকেট কিনমু কিন্তু তা আর ওইলো না, একটো জামপার আর মুজা কিনল্যাম। এবার দেহি শীতে পুরান কাপড়ের দাম আরও বেশি”।

আদালত পাড়ার পাওয়ার লুম শ্রমিক হাসেম আলী জানান, “মিয়ার নিগ্যা একটো কাটিগ্যানের মতো একটো কিছু কিনমু কিন্তু পাইল্যাম না, আবার যাও দু’একটা পাই তাও দামে ম্যালা চড়া। আইজ আর মনে কয় কেনা ওবোনা”।

বেলকুচি উপজেলার বড়ধুল ইউনিয়নের কোলের চরের “রহম আলী কলেজ মোড় এলাকার একটি ফুটপাত দোকানি থেকে বউর নিগ্যা একটো জাম্পার কিনল্যাম কিন্তু আমার নিগ্যা কিছু পাইল্যাম না, অন্যদিন আইসা আমার আর মাইয়া নিগ্যা কিছু নেয়া লাইগবো। নইলে শীতে পোলাপান মইরা যাইবো”।

ফুটপাতের অনেকের সাথে কথা হয়, গরম কাপড়ের দোকানে ক্রয় করতে আসা ভ্যান চালক মাকেল, অটো চালক শহিদুল, জুড়ানসহ আরও অনেক লোকের সাথে তারা জানায়, শোরুম গুলোতে অনেক সুন্দর শীতের কাপড় ঝুলানো রয়েছে, কিন্তু ওরা একেবারে গলাকাটা দাম রাখে। তাই ফুটপাত দোকানে আসি। এখানে কাপড়ও অনেক সুন্দর গরম কাপড়ও মিলে যায়।

স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ী জানায়, শীতের মৌসুমে প্রতি বছরেই পুরাতন কাপড়ের ব্যবসা করি। শীতের মৌসুমে ব্যবসা করে ভালোই আয় হয়, তবে এ বছর দোকানে ভিড় থাকলেও দাম বেশি হওয়ায় অনেক ক্রেতাই কিনতে পারছে না।

আবহাওয়া পূর্বাভাস সূত্রে জানাযায়, এক সপ্তাহ ধরে প্রায় দিনই তাপমাত্রা কমছে। গতরাতে বেলকুচিতে তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সকালের দিকে ছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ আরও কয়েক দিন থাকতে পারে বলেও জানাযায়।