সম্প্রতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে নবীন ছাত্রীকে নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।এ ঘটনায় গত ১১ মার্চ তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।কিন্তু ঘটনার ৩৬ দিন পার হলেও উদ্ধার হইনি সিসিটিভি ফুটেজ।
এদিকে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে সংঘটিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের রিট পিটিশনের আলোকে হল কর্তৃপক্ষ ভিডিও ফুটেজ সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়।এ বিষয়ে হল প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা এবং কিভাবে ক্যামেরা সিস্টেম আরও কার্যকরভাবে পরিচালনা করা যায় সে বিষয়ে এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এতে আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. আহসান- উল-আম্বিয়া কে দায়িত্ব দেওয়া হয়।একইসাথে কমিটিকে আগামী ০৭ (সাত) কার্যদিবসের মধ্যে কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. আহসান-উল-আম্বিয়া বলেন, আমি সাত কার্যদিবসের মধ্যে কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছি।আগে যেটা বলেছি সেটাই যে, রিপোর্টে আলাদা করে কিছুই থাকবে না।ওটা ওখান থেকে রিকোভার করার মতো আর অবস্থা নেই।তারপরও কিভাবে ওটা রিকোভার করবো? টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে রিকভার করা যায়নি।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১১ ও ১২ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে দুই দফায় এক নবীন ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠে শাখা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, হল প্রশাসন ও শাখা ছাত্রলীগ কর্তৃক পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়।এছাড়া হাইকোর্টের নির্দেশে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন।