বগুড়ার সারিয়াকান্দির ফুলবাড়ী গমির উদ্দিন বহুমুখী স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক লাল মাহমুদকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সদস্যরা।এ বিষয়ে গভর্নিং বডির সভাপতি মমতাজুর রহমানের স্বাক্ষরিত একটি সাময়িক বরখাস্তের নোটিশ প্রধান শিক্ষকসহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে গত ৯ নভেম্বর।
নোটিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ আগষ্ট প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ ও গোপনীয় তথ্য ও দলিলাদি ফাঁস, গত ২৭ আগষ্ট বিধি বহির্ভূত ভাবে নবম শ্রেণির জেনারেল ও কারিগরি শাখার বোর্ডের নির্ধারিত রেজিষ্ট্রেশন ফি এর অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ, গত ৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ সালের পরিপত্র মোতাবেক নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকা সত্তেও তথ্য গোপন করে প্রধান শিক্ষকের চাকুরী গ্রহণ করাসহ নানাবিধ অপরাধে তাকে উপরোক্ত তারিখের প্রতিটি সভায় পরপর ৩ বার কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করে গভর্নিং বডির সদস্যরা।কিন্তু প্রধান শিক্ষক এসব নোটিশের কোনও জবাব না দেওয়ার কারণে গত ১৭ সেপ্টেম্বর গভর্নিং বডির সভায় তাকে সাময়িকভাবে বহিস্কার করা হয়।যার অনুলিপি রাজশাহী মাউসির মহাপরিচালক, আঞ্চলিক পরিচালক, চেয়ারম্যান, বগুড়া জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং উপ পরিচালক দুদক বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কথা হলে প্রধান শিক্ষক লাল মাহমুদ বলেন, এ বিষয়ে আমি সঠিক তদন্ত চাই।নোটিশটি আমি ডাকযোগে পেয়েছি।আমার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মমতাজুর রহমান বলেন, প্রধান শিক্ষক এ প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর থেকেই গভর্নিং বডির সদস্যদের কোনরূপ তোয়াক্কা না করে নানা ধরনের অন্যায় দুর্নীতি করছেন।এছাড়া গভর্নিং বডির ৩ বারের কারণ দর্শানোর কোনও জবাব তিনি দেননি।তাই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং সহকারী প্রধান শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সারিয়াকান্দি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সারোয়ার ইউসুফ জামান বলেন, সাময়িক বরখাস্তের নোটিশটি আমি এখনো হাতে পাইনি।নোটিশটি হাতে পেলে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থ গ্রহণ করা হবে।