ভারতের নতুন সংসদ ভবনে ‘অখন্ড ভারত’ মানচিত্র অপসারণে দিল্লীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীন আজ ৪ জুন (রোববার) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, “অখন্ড ভারত” মানচিত্র আন্তর্জাতিক আইনে অপরাধ, আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি। অথচ সরকার নিরব।এমন মানচিত্র প্রকাশ ভারতের “নেহেরু ডকট্রিন” পরিকল্পনার অংশ, যাতে আধিপত্যবাদী আগ্রাসনের ফলে স্বাধীনতা হারানা সিকিমের মতো প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর আশঙ্কা প্রবল।আঞ্চলিক অস্থিরতা ও উত্তেজনা সৃষ্টি করবে।এ দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তার হুমকি।কোন দেশপ্রেমিক এমন ঘটনায় নিশ্চুপ থাকতে পারে না।দেশ—জাতির চাইতেও যারা ক্ষমতাকে বেশি ভালবাসে তাদের নিকট দেশ ও জনগণ অনিরাপদ।এ সরকার এবং ভারতের অনুগত গণমাধ্যমের ভূমিকা ন্যক্কারজনক ও হতাশাব্যঞ্জক।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার নামে জনতাকে ধোঁকা দেয়া, ভাতা, চাকরি, প্লট-ফ্ল্যাট নেয়া লোভীরা কখনো দেশপ্রেমিক হতে পারে না।দেশের মানচিত্র গ্রাস করার মাধ্যমে স্বাধীনতা হরণের হুমকিতে কোন স্বাধীনতা প্রিয় মানুষ চুপ থাকতে পারে না।এমতাবস্থায় দেশের স্বাধীনতা প্রিয় দেশপ্রেমিক জনগণকে দিল্লীর হুমকির বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে।প্রয়োজনে যে কোন ত্যাগের বিনিময়ে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
নাগরিক পরিষদ আহ্বায়ক বাংলার স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ঘসেটি বেগম, মীরজাফর, জগৎ শেঠের উত্তরসূরীরা যেন রবার্ট ক্লাইভের মতো নরেন্দ্র মোদীর সাথে হাত মেলাতে না পারে সে জন্য সকল দেশপ্রেমিক গণমাধ্যম কর্মী এবং প্রতিরক্ষা সংশ্লিষ্টদের সজাগ থাকার আহ্বান জানান।