মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৪:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
আমি নির্বাচিত হয়ে,মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে চাই: ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউনুছ আলী আমি নির্বাচিত হয়ে ,মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে চাই: ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউনুছ আলী সারিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী লিখন মিয়া সারিয়াকান্দিতে দিনব্যাপী গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক করেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহজাহান আলী সারিয়াকান্দিতে দিনব্যাপী গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক করেছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী লিখন মিয়া বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরন করা হলো না এনজিও কর্মী সঞ্জয়ের সারিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদ নিবার্চন থেকে সরে দাঁড়ালেন চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুস সালাম ও আশিক রাজশাহীতে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের মাঝে গ্লুকোজ বিতরণ রাজশাহীতে দৈনিক মানবিক বাংলাদেশ পত্রিকার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন দুর্গাপুরে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে রাতের আঁধারে আবাদি জমিতে পুকুর খনন
নোটিশ :
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘যমুনা প্রতিদিন ডট কম’

গলাচিপায় সতিনের হাতে সতিন খুন,ভাই-বোনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

পটুয়াখালীতে সাজেদা বেগম খুনের ঘটনায় মোসা. ফজিলাতুন্নেছা বেগম (৫৭) নামে এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন আদালত।একই অভিযোগে ফজিলাতুন্নেছার ছোট ভাই বশির উদ্দিন খলিফাকেও একই দণ্ড দিয়েছেন আদালত।

গত ৩০ মে পটুয়াখালী অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. এনামুল হক এ আদেশ দেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী ইউসুফ হোসেন এমন তথ্য নিশ্চিত করেন।যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের আর্থিক দণ্ডও দেয়া হয়েছে।

দণ্ডিত দুই ব্যক্তি গলাচিপা উপজেলার রতনদি গ্রামের মৃত মোতালেব খলিফার সন্তান।দীর্ঘ ১৬ বছর পরে এই রায় কার্যকর হয়েছে।

নিহত সাজেদা বেগমের ছেলে মো. সাইদুর রহমান জানান, তার বাবা নয়া মিয়া ফজিলাতুন্নেছাকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন।বিয়ের পর থেকে একই বাড়িতে থাকতেন তার মা সাজেদা বেগম ও দ্বিতীয় মা ফজিলাতুন্নেছা।একপর্যায় পরিবারে কলহের সৃষ্টি হয়।এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর রাতে তার সৎ মা দণ্ডিত ফজিলাতুন্নেছা ও তার ছোট ভাই বশির উদ্দিন মিলে তার মাকে শ্বাসরোধে করে খুন নিশ্চিত হয়ে মৃতদেহ পুকুরে ফেলে দেন।পরদিন সকালে পুকুরের পানিতে তার মায়ের মৃতদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা।এ সময় পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে বলে অপপ্রচার চালায় অভিযুক্তরা।

এ ঘটনায় প্রথমদিকে তার বাবা নয়া মিয়া গলাচিপা থানায় অপমৃত্যুর অভিযোগ করেন।পরবর্তীতে বিষয়টি সাইদুর রহমানের মামা অর্থাৎ মৃত সাজেদার ভাই কামরুল ইসলামের সন্দেহ হয়।

পরে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে খুনের আলামত প্রমাণিত হলে সাজেদার ভাই কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে ২০০৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর গলচিপা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন।ওই মামলায় ৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।

এরপর মামলাটির তদন্তে ন্যস্ত হন সিআইডি পুলিশ।২০১৯ সালে ৪ জনকে অভিযুক্ত করেন আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন সিআইডি পুলিশ।

আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে ফজিলাতুন্নেছা ও তার ছোট ভাই বশিরকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন দণ্ডে দণ্ডিত করেন।অপর দুই আসামি নিহত সাজেদার জা মনোয়ারা বেগম ও তার ছেলে বশির উদ্দিন হাওলাদারকে খালাস দেন আদালত।

এর আগে মামলায় অভিযুক্ত মাসুদ খন্দকারকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন সিআইডি পুলিশ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × 1 =


অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ

x