শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১১:০৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
রাজশাহীতে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের মাঝে গ্লুকোজ বিতরণ রাজশাহীতে দৈনিক মানবিক বাংলাদেশ পত্রিকার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন দুর্গাপুরে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে রাতের আঁধারে আবাদি জমিতে পুকুর খনন মোহনপুরে মদ্যপান অবস্থায় বাইক আরোহী নিহত,আহত ২ মান্দায় মহান মে দিবস পালিত মে দিবসে খাবার স্যালাইন,ক্যাপ ও পানি বিতরণ করল রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড জাতীয় শ্রমিক লীগ রাজশাহী মহানগরের উদ্যোগে মহান মে দিবস পালন সারিয়াকান্দিতে দর্জি শ্রমিক ইউনিয়নের মহান মে দিবসে র‌্যালি ও শ্রমিক সমাবেশ সারিয়াকান্দিতে মে দিবস উপলক্ষে শ্রমিক দলের র‍্যালী ও শ্রমিক সমাবেশ সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
নোটিশ :
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘যমুনা প্রতিদিন ডট কম’

রপ্তানি আয়ে নজর দেয়া দরকার …

সম্প্রতি দেশের রপ্তানি আয় কমে যাওয়ার ফলে ক্রমাগত বাণিজ্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে। প্রতিটা রাষ্ট্রের সামগ্রিক অগ্রগতির প্রশ্নে রপ্তানির বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

অর্থনীতিবিদদের মতে, জাতীয় বাজেটের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ যোগান আসে রেমিট‍্যান্স থেকে।দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি হলো রেমিটেন্স। ফরেন কারেন্সি রিজার্ভের প্রধান অংশ হচ্ছে রেমিট্যান্স। বিদেশে কর্মরত প্রতিটা প্রবাসী দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে।বৈদেশিক কর্মসংস্থান খাতে সরকারের বিশেষ নজর দেয়া উচিত।

সংবাদপত্রের তথ্য অনুযায়ী গত তিন মাসে ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে দেশের রপ্তানি আয়। ফলে বাড়ছে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও মানুষের জীবনমান উন্নয়নে রেমিট‍্যান্সের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব‍্যুরো ও কেন্দ্রীয় ব‍্যংকের প্রতিবেদন মতে, চলতি বছরের শেষ তিনমাসেই কমেছে রপ্তানি আয়।তৈরি পোশাক খাত বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের অন্যতম উৎস। রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮২ শতাংশই আসে পোশাক শিল্প থেকে। কিন্তু বর্তমানে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটে ৫০% উৎপাদন হ্রাসের পাশাপাশি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ছোট ও মাঝারি মানের অসংখ্য কারখানা। পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠনগুলোর দাবি অনুযায়ী পরিমাণ মতো যদি জ্বালানি পাওয়া না গেলে ডিসেম্বরের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যাবে বড় কারখানাগুলোও। বৈশ্বিক মন্দা কেটে না ওঠা পর্যন্ত রপ্তানি বাজার চাঙ্গা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। রপ্তানিকারকরা বিকল্প বাজার ধরার চেষ্টা করলেও তেমন সুবিধা করতে পাচ্ছে না।

এহেন পরিস্থতিতে সরকারের উচিৎ রপ্তানিকারকদের চাহিদানুযায়ী জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করার পাশাপাশি বৈশ্বিক শ্রমবাজারের দিক নজর দেয়া। কারণ শ্রমবাজার সংকুচিত হলে বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভ কমে যাবে আর বাংলাদেশ ব‍্যংকে বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ার অর্থ হলো ডলারের মুল‍্য বৃদ্ধি। এতে দ্রব‍্যমুল‍্য বৃদ্ধির সাথে সাথে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

বিশেষজ্ঞদের মতে,রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয় হ্রাসের ফলে একদিকে রিজার্ভে যেমন চাপ পড়ে অন্যদিকে টাকার মান কমে যায়।অর্থনীতিবিদরা রেমিটেন্স বাড়াতে বিকল্প পথ খোঁজার পরামর্শ দিয়েছেন। এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদেরকে প্রোডাক্ট ডাইভারসিফাই করে রপ্তানি আয় বাড়ানোর পাশাপাশি আমদানি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। রিজার্ভ ধরে রাখতে আমদানি ব‍্যায় বিশেষ করে বিলাসী পণ‍্য আমদানিতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। রপ্তানি আয় হ্রাস ও ক্রমাগত বাণিজ্য ঘাটতির বিষয়টি আমলে নেয়ার বিকল্প নেই।

মাহমুদুল হক হাসান
কলাম লেখক


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × five =


অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ

x