শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫০ অপরাহ্ন
নোটিশ :
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘যমুনা প্রতিদিন ডট কম’

আ’লীগ ক্ষমতায় থাকলে ধর্মীয় অনুভুতিতে খড়কহস্ত হয় : এনডিপি

পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বটতলায় অনুষ্ঠিত কোরআন তেলাওয়াতবিষয়ক অনুষ্ঠান নিয়ে বিশ্বদ্যিালয় কর্তৃপক্ষের নানা বিতর্কিত কর্মকান্ড ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইফতার পার্টির ওপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানিয়ে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা বলেন, এরুপ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে হাজার বছরের বাঙ্গালি মুসলিম সংস্কৃতির উপর নগ্ন হস্তক্ষেপ করা হয়েছে।মূলতঃ আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বললেও প্রকৃত অর্থে ইসলাম ও মুসলমানদের উপরই আগ্রাসন চালায়।ধর্মকে ব্যবহার করে তারা সবসময় ক্ষমতায় আসে, কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর তারা ধর্মের বিরুদ্ধেই খড়কহস্ত হয়। আ’লীগ ক্ষমতায় থাকলে ধর্মীয় অনুভুতিতে খড়কহস্ত হয়।

আজ সোমবার (১৮ মার্চ) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইসলামি ইতিহাস-ঐতিহ্যের দেশ।এখানে হাজার বছর ধরে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মানুষ একত্রে ইফতারে শামিল হন।কিন্তু এমন ফ্যাসিবাদ আমাদের ঘাড়ে চেপে বসেছে, যারা এখন ইফতার মাহফিল বন্ধেরও হুকুম জারি করছে।কাজেই আমাদের এই সমস্ত ইসলামবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদ করতে হবে।ইসলামের মৌলিক বিষয় সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠায় আমাদের ভূমিকা রাখতে হবে।

এনডিপি চেয়ারম্যান আরো বলেন, মুসলিমদের হাজার বছরের ঐতিহ্য রোজা রাখা, ইফতার করা।মুসলিমরা রোজা রাখবে এটাই স্বাভাবিক।একটা গোষ্ঠী চাচ্ছে মুসলমানদের সংস্কৃতি থেকে এটা মুছে দিতে।তারই অংশ হিসেবে তারা বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইফতার পার্টির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।অন্যদিকে ঢাবিতে ‘আল কোরআন রিসাইটেশন প্রোগাম’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় সংশ্লিষ্টদের হয়রানি করছে।দেশবাসী এটা মানতে পারে না।

তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে কোন অনুমতির প্রয়োজন হয় না।এগুলো রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ।অনুমতি না নিয়ে ছাত্ররা কুরআন তেলাওয়াতের আয়োজন করে থাকলেও, এটা নিয়ে অতিরিক্ত বাড়াবাড়ির কী কারণ থাকতে পারে, এটা প্র্রশ্ন ? আয়োজকদের বিরুদ্ধে যদি ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তাহলে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুন্নকারী হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে কলংক হিসাবে থেকে যাবে।যার মাসুল দিতে হবে সমগ্র জাতিকে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 + nineteen =


অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ

x