ঢাকা ০২:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩, ১১ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ::
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল 'যমুনা প্রতিদিন ডট কম' এ আপনাকে স্বাগতম...
সংবাদ শিরোনাম ::
কালীগঞ্জে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ,স্থানীয় দালাল চক্রের রফাদফার চেষ্টা দান-সাদকায় মানুষের দুনিয়া ও পরকালের জীবন হয় সম্মান ও গৌরব মণ্ডিত সাংবাদিককে রেল কর্মকর্তার হুমকির প্রেক্ষিতে মহাপরিচালক বরাবর অভিযোগ ৪০০ পথচারী রোজাদারের হাতে ইফতারি তুলে দিলেন  মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত মান্দায় প্রতিপক্ষের মারপিটে নারীসহ আহত ৫ সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়া গলাচিপায় জেলা প্রশাসককে ফুলেল শুভেচ্ছা ঈশ্বরদীতে একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৮ শিক্ষক-কর্মচারীকে শোকজ মোরেলগঞ্জে বিশ্ব যক্ষা দিবস পালন

নবাবগঞ্জে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

জুলহাজুল কবীর,নবাবগঞ্জঃ
  • আপডেট সময় : ০১:১৮:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ১৯৫ বার পড়া হয়েছে

Exif_JPEG_420

যমুনা প্রতিদিন অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবাবেগের মধ্যদিয়ে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ডিগ্রী কলেজে পালিত হলো মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দিবসটি উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৬টায় কলেজ ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলনের পর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ বেলাল হোসেনের নেতৃত্বে প্রভাতফেরি, বর্ণাঢ্য র‍্যালী দাউদপুর বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়।কলেজের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ বেলাল হোসেন শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।

এ সময় দাউদপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, দাউদপুর বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ, দাউদপুর সঃপ্রাঃবি, দাউদপুর ব্লাড ডোনেশন সোসাইটিসহ বিভিন্ন স্কুলের প্রধান, শিক্ষার্থী, বিভিন্ন শ্রেণী পেশার উৎসুক জনতা উপস্থিত ছিলেন।

আশপাশের স্কুল-কলেজের শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রী ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।

শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে আলোচনা সভায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ বেলাল হোসেন বলেন, মাতৃভাষা মহান আল্লাহর দান। তাই কোনো ভাষাকে অবজ্ঞা করা যাবে না।মাতৃভাষাকে ভালোবাসতে হবে, মর্যাদা দিতে হবে এবং সকল ক্ষেত্রে মাতৃভাষা চর্চায় এগিয়ে আসতে হবে।মাতৃভাষা চর্চা বা ব্যবহারে ধর্মের সঙ্গে কোনো সাংঘর্ষিকতা নেই।আসলে মাতৃভাষাকে আমাদের মনে স্থান দিতে হবে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭০ সালেই ঘোষণা দিয়েছিলেন আমরা যেদিন ক্ষমতায় আসবো সেদিন থেকেই বাংলা রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চালু হবে, আর কোনো ঘোষণা লাগবে না।

একুশের আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতার কথা উল্লেখ করে বলেন, তিনি সেদিন পৃথিবীর জ্ঞানরাজ্যে টিকে থাকতে বাংলাভাষা চর্চা ও প্রসার সর্ম্পকে জ্ঞানলাভে অনুবাদকেন্দ্র গড়ে তোলার ওপর জোর দিয়েছিলেন।তারপর বাংলা একাডেমিতে অনুবাদকেন্দ্র খোলা হলেও পঁচাত্তরের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর অন্য অনেক কিছুর সঙ্গে তা বন্ধ হয়ে যায়।প্রত্যেক জাতির আত্মপরিচয়ের উপাদান থাকে, আর তা হচ্ছে ওই জাতির ভাষা ও সংস্কৃতি।বাঙালির হাজার বা তারও কয়েক হাজার বছরের ইতিহাসে দেখা যাবে সে প্রতিনিয়ত বহিরাগত শক্র, শাসকগোষ্ঠী, দখলদারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে।চিরকাল বাঙালি সংগ্রাম করে টিকে থেকেছে এবং সে অন্য ভাষা থেকে গ্রহণ করেছে কিন্তু নিজ ভাষাকে বর্জন করেনি।আরও একটি দিক লক্ষ্য করা যায় তা হচ্ছে বহিরাগত শক্তি এদেশে এসে শাসন করেছে, সম্রাজ্য বিস্তার করেছে। কিন্তু তারপরও তারা বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি বিকাশে পৃষ্ঠপোষকতা করেছে এবং এ ভাষা ও সংস্কৃতি থেকে কিছু নিয়েছে।তিনি শুদ্ধভাবে বাংলা চর্চা এবং বিশেষ করে কারিগরি ও চিকিৎসা বিদ্যায় বাংলা চর্চার ওপর জোর দেন।

আলোচনা সভা শেষে মায়ের ভাষার জন্য যারা হাসতে হাসতে নিজের তাজা প্রাণ বিসর্জন দিয়ে আজ ইতিহাসের পাতায় নাম লেখিয়েছে সেই ভাষা শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

নবাবগঞ্জে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

আপডেট সময় : ০১:১৮:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবাবেগের মধ্যদিয়ে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ডিগ্রী কলেজে পালিত হলো মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দিবসটি উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৬টায় কলেজ ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলনের পর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ বেলাল হোসেনের নেতৃত্বে প্রভাতফেরি, বর্ণাঢ্য র‍্যালী দাউদপুর বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়।কলেজের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ বেলাল হোসেন শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।

এ সময় দাউদপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, দাউদপুর বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ, দাউদপুর সঃপ্রাঃবি, দাউদপুর ব্লাড ডোনেশন সোসাইটিসহ বিভিন্ন স্কুলের প্রধান, শিক্ষার্থী, বিভিন্ন শ্রেণী পেশার উৎসুক জনতা উপস্থিত ছিলেন।

আশপাশের স্কুল-কলেজের শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রী ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।

শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে আলোচনা সভায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ বেলাল হোসেন বলেন, মাতৃভাষা মহান আল্লাহর দান। তাই কোনো ভাষাকে অবজ্ঞা করা যাবে না।মাতৃভাষাকে ভালোবাসতে হবে, মর্যাদা দিতে হবে এবং সকল ক্ষেত্রে মাতৃভাষা চর্চায় এগিয়ে আসতে হবে।মাতৃভাষা চর্চা বা ব্যবহারে ধর্মের সঙ্গে কোনো সাংঘর্ষিকতা নেই।আসলে মাতৃভাষাকে আমাদের মনে স্থান দিতে হবে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭০ সালেই ঘোষণা দিয়েছিলেন আমরা যেদিন ক্ষমতায় আসবো সেদিন থেকেই বাংলা রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চালু হবে, আর কোনো ঘোষণা লাগবে না।

একুশের আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতার কথা উল্লেখ করে বলেন, তিনি সেদিন পৃথিবীর জ্ঞানরাজ্যে টিকে থাকতে বাংলাভাষা চর্চা ও প্রসার সর্ম্পকে জ্ঞানলাভে অনুবাদকেন্দ্র গড়ে তোলার ওপর জোর দিয়েছিলেন।তারপর বাংলা একাডেমিতে অনুবাদকেন্দ্র খোলা হলেও পঁচাত্তরের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর অন্য অনেক কিছুর সঙ্গে তা বন্ধ হয়ে যায়।প্রত্যেক জাতির আত্মপরিচয়ের উপাদান থাকে, আর তা হচ্ছে ওই জাতির ভাষা ও সংস্কৃতি।বাঙালির হাজার বা তারও কয়েক হাজার বছরের ইতিহাসে দেখা যাবে সে প্রতিনিয়ত বহিরাগত শক্র, শাসকগোষ্ঠী, দখলদারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে।চিরকাল বাঙালি সংগ্রাম করে টিকে থেকেছে এবং সে অন্য ভাষা থেকে গ্রহণ করেছে কিন্তু নিজ ভাষাকে বর্জন করেনি।আরও একটি দিক লক্ষ্য করা যায় তা হচ্ছে বহিরাগত শক্তি এদেশে এসে শাসন করেছে, সম্রাজ্য বিস্তার করেছে। কিন্তু তারপরও তারা বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি বিকাশে পৃষ্ঠপোষকতা করেছে এবং এ ভাষা ও সংস্কৃতি থেকে কিছু নিয়েছে।তিনি শুদ্ধভাবে বাংলা চর্চা এবং বিশেষ করে কারিগরি ও চিকিৎসা বিদ্যায় বাংলা চর্চার ওপর জোর দেন।

আলোচনা সভা শেষে মায়ের ভাষার জন্য যারা হাসতে হাসতে নিজের তাজা প্রাণ বিসর্জন দিয়ে আজ ইতিহাসের পাতায় নাম লেখিয়েছে সেই ভাষা শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়েছে।