ঢাকা ০১:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩, ১১ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ::
দেশের জনপ্রিয় সর্বাধুনিক নিয়ম-নীতি অনুসরণকৃত রাজশাহী কর্তৃক প্রকাশিত নতুনধারার অনলাইন নিউজ পোর্টাল 'যমুনা প্রতিদিন ডট কম' এ আপনাকে স্বাগতম...
সংবাদ শিরোনাম ::
কালীগঞ্জে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ,স্থানীয় দালাল চক্রের রফাদফার চেষ্টা দান-সাদকায় মানুষের দুনিয়া ও পরকালের জীবন হয় সম্মান ও গৌরব মণ্ডিত সাংবাদিককে রেল কর্মকর্তার হুমকির প্রেক্ষিতে মহাপরিচালক বরাবর অভিযোগ ৪০০ পথচারী রোজাদারের হাতে ইফতারি তুলে দিলেন  মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত মান্দায় প্রতিপক্ষের মারপিটে নারীসহ আহত ৫ সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়া গলাচিপায় জেলা প্রশাসককে ফুলেল শুভেচ্ছা ঈশ্বরদীতে একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৮ শিক্ষক-কর্মচারীকে শোকজ মোরেলগঞ্জে বিশ্ব যক্ষা দিবস পালন

স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে সাধারন মানুষ,নন্দীগ্রামে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে বেকারির খাদ্যদ্রব্য

মাসুদ রানা,নন্দীগ্রাম(বগুড়া)
  • আপডেট সময় : ১২:৫৮:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ৮৫ বার পড়া হয়েছে
যমুনা প্রতিদিন অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় বেশ কয়েকটি বেকারির খাদ্যদ্রব্য অস্বাস্থ্যকর, নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।আর নিম্নমানের এসব খাদ্যদ্রব্য তুলে দেয়া হচ্ছে ক্রেতার হাতে

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার কুন্দারহাট, কলেজপাড়া, দাঁড়িয়াপুর চৌমুহুনী, পন্ডিতপুকুর পেং হাজারকি, তালগাছি সহ ছোট-বড় প্রায় ১০-১২টি বেকারির পণ্যসামগ্রী তৈরির কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়।ওইসব বেকারিতে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে প্রতিনিয়ত তৈরি করা হচ্ছে খাদ্যসামগ্রী।

এসব বেকারি থেকে বিভিন্ন বাজার ও পাড়া-মহল্লায় ছোট-বড় দোকান থেকে শুরু করে ফাস্ট ফুডের দোকানে বিক্রি হচ্ছে কেক, বিভিন্ন ধরনের বিস্কুট, চানাচুর, পাউরুটি, বাটারবন, মিষ্টি, সন্দেশ, ক্রিমরোল, পেটিস, ড্যানিশ, টোস্ট বিস্কুটসহ মুখরোচক সব খাবার।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় কারখানার ভেতরে স্যাঁতসেঁতে অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে ভেজালসহ নিম্নমানের সব উপকরণ দিয়ে অবাধে তৈরি করা হচ্ছে বেকারির সব ধরনের পণ্যসামগ্রী।কারখানার অভ্যন্তরে যেখানে তৈরি করা খাবার রাখা আছে, সেখানেই ময়দা-আটার গোডাউন।পাশে রাখা আছে জ্বালানি কাঠও।সঙ্গে রয়েছে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর কেমিক্যাল এবং একাধিক পাম অয়েলের ড্রাম।এর পাশেই ছড়ানো-ছিটানো আছে বিভিন্ন প্রকার তৈরি খাদ্যপণ্য।এসব খাদ্যপণ্য তৈরির জন্য আটা-ময়দা প্রক্রিয়াজাতকরণের কড়াইগুলোও রয়েছে অপরিস্কার ও নোংরা।যেসব কর্মচারী এসব পণ্য তৈরি করছেন, তাদের শরীর থেকে ঝরছে ঘাম। ওই অবস্থায় কর্মচারীরা খাদ্য তৈরির উপকরণ নাড়াচাড়া করছেন আর শরীরের ঘাম বেয়ে পড়ছে খাদ্য তৈরির উপকরণের মধ্যে।ডিমের খাঁচাগুলোতে দেখা গেছে ভাঙা ও পচা ডিম, যা অনেক কমদামে কেনা হয় বাজার থেকে। ক্রিম রাখা পাত্রগুলোতে শতশত মাছি বসে ভনভন করছে।

আল-আমিন বেকারির মালিক আব্দুল মজিদ বলেন, অনেক সময় সপ্তাহের ছুটির দিন কাড়াইগুলো পরিস্কার না করেই শ্রমিকরা চলে যায়।পরে কারখানায় এসে শ্রমিকরা পরিস্কার করে কাড়াইয়ে আটা-ময়দা প্রক্রিয়াজাতকরণ করে।

এবিষয়ে নন্দীগ্রাম উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম জানান, খাদ্য নীতিমালা অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে সাধারন মানুষ,নন্দীগ্রামে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে বেকারির খাদ্যদ্রব্য

আপডেট সময় : ১২:৫৮:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় বেশ কয়েকটি বেকারির খাদ্যদ্রব্য অস্বাস্থ্যকর, নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।আর নিম্নমানের এসব খাদ্যদ্রব্য তুলে দেয়া হচ্ছে ক্রেতার হাতে

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার কুন্দারহাট, কলেজপাড়া, দাঁড়িয়াপুর চৌমুহুনী, পন্ডিতপুকুর পেং হাজারকি, তালগাছি সহ ছোট-বড় প্রায় ১০-১২টি বেকারির পণ্যসামগ্রী তৈরির কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়।ওইসব বেকারিতে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে প্রতিনিয়ত তৈরি করা হচ্ছে খাদ্যসামগ্রী।

এসব বেকারি থেকে বিভিন্ন বাজার ও পাড়া-মহল্লায় ছোট-বড় দোকান থেকে শুরু করে ফাস্ট ফুডের দোকানে বিক্রি হচ্ছে কেক, বিভিন্ন ধরনের বিস্কুট, চানাচুর, পাউরুটি, বাটারবন, মিষ্টি, সন্দেশ, ক্রিমরোল, পেটিস, ড্যানিশ, টোস্ট বিস্কুটসহ মুখরোচক সব খাবার।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় কারখানার ভেতরে স্যাঁতসেঁতে অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে ভেজালসহ নিম্নমানের সব উপকরণ দিয়ে অবাধে তৈরি করা হচ্ছে বেকারির সব ধরনের পণ্যসামগ্রী।কারখানার অভ্যন্তরে যেখানে তৈরি করা খাবার রাখা আছে, সেখানেই ময়দা-আটার গোডাউন।পাশে রাখা আছে জ্বালানি কাঠও।সঙ্গে রয়েছে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর কেমিক্যাল এবং একাধিক পাম অয়েলের ড্রাম।এর পাশেই ছড়ানো-ছিটানো আছে বিভিন্ন প্রকার তৈরি খাদ্যপণ্য।এসব খাদ্যপণ্য তৈরির জন্য আটা-ময়দা প্রক্রিয়াজাতকরণের কড়াইগুলোও রয়েছে অপরিস্কার ও নোংরা।যেসব কর্মচারী এসব পণ্য তৈরি করছেন, তাদের শরীর থেকে ঝরছে ঘাম। ওই অবস্থায় কর্মচারীরা খাদ্য তৈরির উপকরণ নাড়াচাড়া করছেন আর শরীরের ঘাম বেয়ে পড়ছে খাদ্য তৈরির উপকরণের মধ্যে।ডিমের খাঁচাগুলোতে দেখা গেছে ভাঙা ও পচা ডিম, যা অনেক কমদামে কেনা হয় বাজার থেকে। ক্রিম রাখা পাত্রগুলোতে শতশত মাছি বসে ভনভন করছে।

আল-আমিন বেকারির মালিক আব্দুল মজিদ বলেন, অনেক সময় সপ্তাহের ছুটির দিন কাড়াইগুলো পরিস্কার না করেই শ্রমিকরা চলে যায়।পরে কারখানায় এসে শ্রমিকরা পরিস্কার করে কাড়াইয়ে আটা-ময়দা প্রক্রিয়াজাতকরণ করে।

এবিষয়ে নন্দীগ্রাম উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম জানান, খাদ্য নীতিমালা অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।