স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে সাধারন মানুষ,নন্দীগ্রামে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে বেকারির খাদ্যদ্রব্য

- আপডেট সময় : ১২:৫৮:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ৮৫ বার পড়া হয়েছে

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় বেশ কয়েকটি বেকারির খাদ্যদ্রব্য অস্বাস্থ্যকর, নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।আর নিম্নমানের এসব খাদ্যদ্রব্য তুলে দেয়া হচ্ছে ক্রেতার হাতে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার কুন্দারহাট, কলেজপাড়া, দাঁড়িয়াপুর চৌমুহুনী, পন্ডিতপুকুর পেং হাজারকি, তালগাছি সহ ছোট-বড় প্রায় ১০-১২টি বেকারির পণ্যসামগ্রী তৈরির কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়।ওইসব বেকারিতে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে প্রতিনিয়ত তৈরি করা হচ্ছে খাদ্যসামগ্রী।
এসব বেকারি থেকে বিভিন্ন বাজার ও পাড়া-মহল্লায় ছোট-বড় দোকান থেকে শুরু করে ফাস্ট ফুডের দোকানে বিক্রি হচ্ছে কেক, বিভিন্ন ধরনের বিস্কুট, চানাচুর, পাউরুটি, বাটারবন, মিষ্টি, সন্দেশ, ক্রিমরোল, পেটিস, ড্যানিশ, টোস্ট বিস্কুটসহ মুখরোচক সব খাবার।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় কারখানার ভেতরে স্যাঁতসেঁতে অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে ভেজালসহ নিম্নমানের সব উপকরণ দিয়ে অবাধে তৈরি করা হচ্ছে বেকারির সব ধরনের পণ্যসামগ্রী।কারখানার অভ্যন্তরে যেখানে তৈরি করা খাবার রাখা আছে, সেখানেই ময়দা-আটার গোডাউন।পাশে রাখা আছে জ্বালানি কাঠও।সঙ্গে রয়েছে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর কেমিক্যাল এবং একাধিক পাম অয়েলের ড্রাম।এর পাশেই ছড়ানো-ছিটানো আছে বিভিন্ন প্রকার তৈরি খাদ্যপণ্য।এসব খাদ্যপণ্য তৈরির জন্য আটা-ময়দা প্রক্রিয়াজাতকরণের কড়াইগুলোও রয়েছে অপরিস্কার ও নোংরা।যেসব কর্মচারী এসব পণ্য তৈরি করছেন, তাদের শরীর থেকে ঝরছে ঘাম। ওই অবস্থায় কর্মচারীরা খাদ্য তৈরির উপকরণ নাড়াচাড়া করছেন আর শরীরের ঘাম বেয়ে পড়ছে খাদ্য তৈরির উপকরণের মধ্যে।ডিমের খাঁচাগুলোতে দেখা গেছে ভাঙা ও পচা ডিম, যা অনেক কমদামে কেনা হয় বাজার থেকে। ক্রিম রাখা পাত্রগুলোতে শতশত মাছি বসে ভনভন করছে।
আল-আমিন বেকারির মালিক আব্দুল মজিদ বলেন, অনেক সময় সপ্তাহের ছুটির দিন কাড়াইগুলো পরিস্কার না করেই শ্রমিকরা চলে যায়।পরে কারখানায় এসে শ্রমিকরা পরিস্কার করে কাড়াইয়ে আটা-ময়দা প্রক্রিয়াজাতকরণ করে।
এবিষয়ে নন্দীগ্রাম উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম জানান, খাদ্য নীতিমালা অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।